‘মেসি আসছেন শহরে’—ভারতের হায়দরাবাদ শহরে তাই সাজসাজ রবই পড়ে গেছে। ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে কাছ থেকে দেখতে তর সইছে না হায়দরাবাদবাসীর। মেসিকে দেখার তাঁদের অপেক্ষা ফুরাচ্ছে আগামী শনিবার। সেদিনই ‘দ্য গোট ইন্ডিয়া ট্যুরে’র অংশ হিসেবে হায়দরাবাদ যাওয়ার কথা মেসির।

সেদিন মেসির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ যাবেন আগ্রহী ব্যক্তিরা। তবে সেই সৌভাগ্য হবে মাত্র ১০০ জনের। আর সেই ভাগ্যবানদের মধ্যে থাকতে হলে ব্যাংক হিসাবে মোটা অঙ্কের টাকাপয়সা থাকতে হবে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে জনপ্রতি ৯.

৯৫ লাখ রুপি খরচ করতে হবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। মেসির সঙ্গে ছবি তোলার ভেন্যু হায়দরাবাদের বিখ্যাত ফালাকনুমা প্যালেস হোটেলে। অনলাইনে বিশেষ অ্যাপে বুকিং দিতে পারবেন আগ্রহী ব্যক্তিরা।

মেসি হায়দরাবাদে পা রাখবেন শনিবার বিকেল ৪টায়। বিমানবন্দর থেকে হায়দরাবাদের ক্রিকেট ভেন্যু উপল স্টেডিয়ামে যাবেন মেসি। সেখানে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে তিন ঘণ্টার এক জমকালো অনুষ্ঠান। মেসির সঙ্গী হিসেবে ভারতে যাচ্ছেন তাঁর বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য রদ্রিগো দি পল এবং দীর্ঘদিনের বন্ধু ও ক্লাব–সতীর্থ উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজ।

মেসির সঙ্গে ভারতে যাচ্ছেন দি পল ও সুয়ারেজও

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে তীব্র অনাহারের মুখোমুখি হবে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ

ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে আরো বেশি লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়ায় মিয়ানমারে আগামী বছর ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র অনাহারের মুখোমুখি হবে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ জরুরি পর্যায়ের ক্ষুধার মুখোমুখি হবে, যার অর্থ তাদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার প্রয়োজন হবে।

মিয়ানমারে সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর মাইকেল ডানফোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সংঘাত ও বঞ্চনা মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক উপায় কেড়ে নেওয়ার জন্য একত্রিত হচ্ছে, তবুও বিশ্ব মনোযোগ দিচ্ছে না। এটি গ্রহের সবচেয়ে খারাপ ক্ষুধা সংকটগুলোর মধ্যে একটি এবং সবচেয়ে কম তহবিলপ্রাপ্তদের মধ্যে একটি।”

মিয়ানমারের শাসক জান্তার একজন মুখপাত্রের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।

২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে বিক্ষোভ দমন করার পর থেকে মিয়ানমার সংকটে রয়েছে। জান্তাকে হটাতে দেশব্যাপী সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমানে তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা চার লাখেরও বেশি শিশু ও মা সাধারণ ভাত বা ডাল খেয়ে বেঁচে আছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এর আগে খাদ্য-নিরাপত্তা গবেষকদের আটক করেছে এবং ত্রাণকর্মীদের লাখ লাখ মানুষ অনাহারে থাকার তথ্য প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দিয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ