কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে স্মার্টফোনের বার্তা পড়ার কৌশল
Published: 26th, October 2025 GMT
ব্যক্তিগত বা কাজের প্রয়োজনে স্মার্টফোনে নিয়মিত বার্তা আদান-প্রদান করেন অনেকে। তবে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকার কারণে স্মার্টফোনে অন্যদের পাঠানো সব বার্তা সময়মতো পড়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। ফলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অজানা থেকে যায়। চাইলে গুগল মেসেজেস অ্যাপের ওয়েব সংস্করণ ব্যবহার করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে আসা সব বার্তা পড়া সম্ভব।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে স্মার্টফোনে বার্তা পড়ার জন্য প্রথমে ফোনে এসএমএস পাঠানোর ডিফল্ট অ্যাপ হিসেবে গুগল মেসেজেস নির্বাচন করতে হবে। বেশির ভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই গুগল মেসেজেস আগে থেকে ডিফল্ট অ্যাপ হিসেবে ইনস্টল করা থাকে। কিন্তু যদি অন্য কোনো এসএমএস অ্যাপ ফোনে ডিফল্ট হিসেবে সেট করা থাকে, তাহলে সেটিংস মেনুতে প্রবেশের পর অ্যাপস অপশনে ক্লিক করে ডিফল্ট অ্যাপস নির্বাচন করতে হবে। এরপর এসএমএস অ্যাপ অপশন থেকে মেসেজেস নির্বাচন করলেই ফোনে আসা সব বার্তা গুগল মেসেজেস অ্যাপে দেখা যাবে।
ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে গুগল মেসেজেস অ্যাপ চালুর জন্য ব্রাউজারে ‘গুগল মেসেজেস ফর ওয়েব’ চালু করতে হবে। এরপর নিজের গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পর্দায় একটি ইমোজি দেখা যাবে। ফোনে গুগল মেসেজেস অ্যাপ খুলে সেই ইমোজিতে স্পর্শ করলেই ব্যবহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ফোনের সঙ্গে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সংযুক্ত হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনগুগল মেসেজেস অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো বার্তা প্রাপকের ফোন থেকেও মুছে যাবে, তবে...২২ আগস্ট ২০২৫
ইমোজি শনাক্তকরণ পদ্ধতি যদি কাজ না করে, সে ক্ষেত্রে কিউআর কোড স্ক্যান করে ফোন ও কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে সংযুক্ত করা যাবে। এরপর ফোনের মেসেজেস অ্যাপের প্রোফাইল আইকন ট্যাপ করে ডিভাইস পেয়ারিং অপশন থেকে কিউআর পেয়ারিং নির্বাচনের মাধ্যমে স্ক্যানার চালু করতে হবে। এবার পর্দায় থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফোনের সঙ্গে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সংযোগ সম্পন্ন হবে। ফলে কম্পিউটার এবং ব্রাউজারে বার্তাগুলো দেখা যাবে। প্রসঙ্গত, কিউআর কোড স্ক্যান করার আগে ‘রিমেমবার দিস কম্পিউটার’ অপশন চালু করলে প্রতিবার নতুন করে লগইন করতে হবে না।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ
আরও পড়ুনগুগল মেসেজেসেও যুক্ত হচ্ছে জেমিনির ভাইরাল ন্যানো বানানা মডেল২০ অক্টোবর ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ গল ম স জ স অ য প ল য পটপ ড ফল ট ক উআর
এছাড়াও পড়ুন:
আহমদ রফিকের কাজ ও আদর্শ আরও বড় মাপে থেকে যাবে
ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক এখন নেই। কিন্তু তাঁর কাজ ও আদর্শ আরও বড় মাপে থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে আহমদ রফিকের শোকসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক শোকসভা জাতীয় কমিটি’র আয়োজনে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আহমদ রফিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শোকসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। দুটি রবীন্দ্রসংগীত ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু বিরহ দহন লাগে’ এবং ‘তোমায় নতুন করে পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ’ পরিবেশন করেন অসীম দত্ত। এরপর আহমদ রফিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ২ অক্টোবর ৯৬ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।
এরপর শুরু হয় আলোচনাপর্ব। আলোচকেরা আহমদ রফিককে নিয়ে স্মৃতিচারণা, তাঁর সমাজতান্ত্রিক, রাজনৈতিক মতাদর্শ ও ব্যক্তিজীবন, কাব্য ও সাহিত্যচর্চা, রবীন্দ্র গবেষণাসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তাঁর জীবনকর্ম পাঠ করেন সংস্কৃতিকর্মী ইশরাত রহমান। সঞ্চালনা করেন শোকসভা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব ইসমাইল সাদী।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আহমদ রফিক ছিলেন আমাদের সবার অত্যন্ত আপনজন। বয়সের ব্যবধান সত্ত্বেও সবাই তাঁকে “ভাই” বলে ডাকতেন, তিনিও “ভাই” বলে আপন করে নিতেন। এক অসাধারণ ব্যক্তিক্রম চরিত্রের মানুষ ছিলেন তিনি। আহমদ রফিক দুই অর্থেই ভাষাসংগ্রামী ছিলেন। একদিকে তিনি সরাসরি মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের যুক্ত ছিলেন। দ্বিতীয়ত তিনি ছিলেন সাহিত্যিক। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তিনি ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করা, সমৃদ্ধ করা, ভাষার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চাকে উন্নত করতে আজীবন সংগ্রাম করেছেন।’
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আহমদ রফিকের সংস্কৃতিচর্চার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল। তিনি সমাজবিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন। সেই সমাজবিপ্লবের জন্য সাংস্কৃতিক চর্চার ভেতর দিয়ে জনমানসের প্রস্তুতির ক্ষেত্র তৈরি করার কাজ করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে বিশ্বাস করতেন না। নিজে জীবনে তা প্রতিষ্ঠা করেছেন। কোনো ব্যক্তিগত সম্পদ তাঁর ছিল না। জীবনের পরিণামের কথা না ভেবে সব ব্যক্তিগত সম্পদ তিনি দান করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ কারণে জীবনের অন্তিম পর্যায়ে তাঁকে অর্থকষ্টেও পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে এখন সভ্যতার সংকটের চেয়ে মানবিকতার সংকটই প্রধান। এমন সংকটময় সময়ে আহমদ রফিকের মতো মানুষের কাজ ও আদর্শ আমাদের অনুসরণ করতে হবে।’
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আহমদ রফিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শোকসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন