প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন প্রবর্তিত ‘ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার ২০২৫’ পেয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক আলিমুজ্জামান। শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, রন্ধনবিদ কেকা ফেরদৌসী, সাংবাদিক আবদুর রহমান, অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন, ‘আনন্দ আলো’-এর সম্পাদক রেজানুর রহমান, বাচসাস-এর সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, ‘অন্যপ্রকাশ’-এর প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম, অভিনেত্রী ও নির্মাতা আফসানা মিমিসহ চলচ্চিত্র সাংবাদিক, লেখক, প্রকাশক ও পরিচালকবৃন্দ। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় একসঙ্গে চঞ্চল-ফারিণ

পুরুষদের ইগো সামলানো আসল চ্যালেঞ্জ ছিল: জাহ্নবী

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, “আমরা ফজলুল হককে সরাসরি পাইনি, কিন্তু তার কাজ দেখেছি ও অনুভব করেছি। শিল্পকলার আগামী দিনের কর্মসূচিতে ফজলুল হকের ওপর নির্মিত ডকুফিল্ম প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে।” 

স্মৃতিচারণ করেন প্রকৃতিবিদ মুকিত মজুমদার বাবু, রন্ধনবিদ কেকা ফেরদৌসী, সাংবাদিক রাজু আলীম, কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম ও অভিনেতা কেরামত মাওলা। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন—ফজলুল হককে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা দেওয়া উচিত। কারণ তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সাংবাদিকতা ও নির্মাণে পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। 

উল্লেখ্য, প্রয়াত ফজলুল হক ছিলেন দেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’-এর সম্পাদক এবং বাংলাদেশের প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘সান অব পাকিস্তান (প্রেসিডেন্ট)’-এর নির্মাতা। তার স্মরণে গত ২২ বছর ধরে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র পরিচালক রায়হান রাফি তার মমতাময়ী মাকে সঙ্গে নিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন, যা মুহূর্তটিকে আরো আবেগময় ও স্মরণীয় করে তোলে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র প রস ক র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশে পড়ার জন্য জরুরি এসওপি কী, কীভাবে লিখতে হয়

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তির আবেদনের জন্য ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ (এসওপি), অর্থাৎ অভীষ্ট লক্ষ্যের বিবৃতি লিখতে হয়। স্টেটমেন্ট অব পারপাসকে আগ্রহপত্র বা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যের পরিকল্পনা ও ভাবনা বর্ণনাপত্রও বলা যায়।

কেন পড়ব, কী পড়ব, কোন কারণে পড়তে চাই, কী গবেষণা করব, গবেষণার সঙ্গে নিজেকে কীভাবে সম্পৃক্ত করব—এসব বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয় এসওপিতে। স্টেটমেন্ট অব পারপাসকে লেটার অব ইনটেন্ট বা রিসার্চ স্টেটমেন্টও বলা হয়।

এসওপির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা। গবেষণাধর্মী প্রোগ্রাম যেমন পিএইচডি ও বিভিন্ন মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য এসওপিতে অতীতের গবেষণা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা লিখতে হয়।

পেশা-সংশ্লিষ্ট স্নাতক কোর্সের জন্য এসওপিতে অতীতের কাজের সঙ্গে পড়াশোনার সম্পর্ক ও ভবিষ্যতে কীভাবে পড়াশোনার মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা পেশা খাতে যুক্ত করা যাবে, সেটি উল্লেখ করতে হয়। এককথায়, এসওপিতে আপনি কেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জন্য উপযুক্ত, তা-ই লিখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা কীভাবে আপনার আগ্রহ ও গবেষণার জন্য কাজে আসবে, লিখতে হবে তা-ও। 

আরও পড়ুনজিআরই পরীক্ষায় ৩৪০-এ ৩৪০–ই পেয়েছেন তানভীর, কীভাবে এত ভালো করলেন১২ ঘণ্টা আগেএসওপিতে যা থাকবে

দারুণ একটি এসওপি উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে বেশ কার্যকর। এসওপি হুবহু কখনোই অনুকরণ করে লেখা ঠিক না। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে।

একটি দারুণ ও কার্যকর এসওপিতে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নভাবে আপনি কোন বিষয়ে পড়বেন এবং এই শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আপনি কী প্রত্যাশা করছেন, তা লিখতে হয়। আপনি কোন কোন বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী, তা স্পষ্ট করে গুছিয়ে লিখতে হবে।

আপনাকে অবশ্যই যতটা সম্ভব সুনির্দিষ্টভাবে কোন কোন বিষয় আপনার আগ্রহ তৈরি করে, তা লিখতে হবে। বিভিন্ন ঘটনা বা পরিস্থিতির মাধ্যমে আপনি আপনার আগ্রহের চিত্র লেখার মাধ্যমে তুলে আনতে পারেন। আপনার আগ্রহের চিত্র যদি অস্পষ্ট হয় তাহলে ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।

থিসিস গবেষণা, বিভিন্ন প্রকল্প, প্রকাশিত নিবন্ধ, প্রেজেন্টেশন, যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কিন্তু সংক্ষিপ্ত ধারণা গল্পের মতো করে লিখতে হবে এসওপিতে। পুরো লেখাটি এক সুতোয় বাঁধতে হবে।

এসওপির ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হচ্ছে, আপনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন গবেষণা বা বিভাগের জন্য উপযুক্ত, তা স্পষ্টভাবে লিখতে হবে। এসওপির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, আপনি সংশ্লিষ্ট কোর্স বা গবেষণায় কতটা আগ্রহী।

কেন পড়ব, কী পড়ব, কোন কারণে পড়তে চাই, কী গবেষণা করব, গবেষণার সঙ্গে নিজেকে কীভাবে সম্পৃক্ত করব—এসব বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয় এসওপিতে

সম্পর্কিত নিবন্ধ