দেশের ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে।

নির্দেশনায় জানানো হয়, তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারবেন না।

তবে অপরিহার্য কারণ যেমন চিকিৎসা, তীর্থযাত্রা বা জরুরি দাপ্তরিক প্রয়োজন থাকলে অনুমোদন সাপেক্ষে বিদেশ যাত্রা করা যাবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে নির্দেশনাটি জারি করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে ৬১টি তফসিলি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ব্যাংকগুলোর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য। অতীতেও বিভিন্ন সময় ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আর শিথিলতার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার নির্বাচনের কারণে নতুন করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

ঢাকা/নাজমুল//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব দ শ ভ রমণ কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ৬ হার

দেশের মাটিতে রানের দিক দিয়ে নিজেদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টেস্ট পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল ভারত। গুয়াহাটিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৪০৮ রানে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশও হয়েছে। এতে করে ঘরের মাঠের দূর্গ ভেঙে খানখান হয়ে যাওয়ার গল্প রচিত হলো।

কলকাতায় তিন দিনে হারানোর পর গুয়াহাটিতে পাঁচ দিনের ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতকে উড়িয়ে দিল। ২০০০-০১ সালের পর প্রথমবার ভারতের মাটিতে সিরিজ জিতলো প্রোটিয়ারা। শুধু তাই নয়, ভারতকে টেস্টে ৪০০ রানের বেশি ব্যবধানে হারানো ইতিহাসে প্রথম দলও হলো তারা। আগের রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার দখলে।

আরো পড়ুন:

৪০৮ রানে ভারতকে হারিয়ে ২৫ বছরের পুরনো রেকর্ড ছুঁল দ. আফ্রিকা

সাকিবকে ছাড়িয়ে উইকেট শৃঙ্গে তাইজুল

ভারতের আগের সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে হার ছিল ২০০৪ সালে নাগপুর টেস্টে। সেবার তারা হেরেছিল ৩৪২ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফরে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডও নবায়ন হলো, ১৯৯৬ সালের রেকর্ডকে পেছনে ফেলে।

রানের ব্যবধানে ভারতের সবচেয়ে বড় টেস্ট পরাজয়গুলো:
৪০৮ রানে - দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০২৫
৩৪২ রানে - অস্ট্রেলিয়া, ২০০৪
৩৪১ রানে - পাকিস্তান, ২০০৬
৩৩৭ রানে - অস্ট্রেলিয়া, ২০০৭
৩৩৩ রানে - অস্ট্রেলিয়া, ২০১৭
৩২৯ রানে - দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৯৯৬।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট ৩০ রানে জয় তুলে নেওয়ার পর গুয়াহাটিতে ৪০৮ রানের দুর্দান্ত জয়ে সিরিজটাই পকেটে পুরে ফেললো।

৫৪৯ রানের অবিশ্বাস্য লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুই হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো। চতুর্থ দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে ২৭ রানে ২ উইকেট। পঞ্চম দিনে নেমে একে একে উইকেটগুলো ভাঙা ঘরের মতো ধসে পড়তে থাকে। সাই সুদর্শনের ১৩৯ বল খেলে ১৪ রানের লড়াই ছিল ড্র বাঁচানোর মরিয়া প্রচেষ্টার প্রতিচ্ছবি। রবীন্দ্র জাডেজা একটি প্রতিরোধী অর্ধশতক করলেও দলকে রক্ষা করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন ত্রাস সাইমন হারমার ও সেনুরান মুথুসামি ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে এমনভাবে ঘিরে ধরেন যে বের হওয়ার কোনো পথই ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত থামে মাত্র ১৪০ রানে। হারমার নেন ৬ উইকেট ৩৭ রানে। কেশব মহারাজ, মুথুসামি ও মার্কো ইয়ানসেন নেন যথাক্রমে ২, ১ ও ১ উইকেট।

প্রথম ইনিংসেই প্রোটিয়াদের আধিপত্য ছিল স্পষ্ট। মার্কো জানসেনের (৪৮ রানে ৬ উইকেট) বোলিংয়ে ভারত ২০১ রানে গুটিয়ে যায়। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে করে ৪৮৯ রান। তাতে প্রথম ইনিংসে ৩১৪ রানে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে ভারত।

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৬০ রান করে ঘোষণা করলে ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় অসম্ভব ৫৪৯ রান। সেটা তাড়া করতে নেমে ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। আর দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৪০৮ রানের বিরাট জয়। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ