সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বেড়েছে
Published: 26th, October 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বর এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দিয়েছেন। বিচারপতি মো.
এ মামলার ১১ আসামির মধ্যে ৪ আসামির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও জিয়াউল আহসান। বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ মামলায় আজ মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, গুমের অভিযোগে একটি বিবিধ মামলা (মিস কেস) অনেক দিন ধরে চলছে। এ মামলায় ইতিমধ্যে দুটি ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। এ দুটি মামলায় ২৫ সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তাসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে, আরেকটি অংশের (আজ যে মামলার শুনানি হয়েছে) তদন্ত চলছে। সেই তদন্তও শেষ পর্যায়ে আছে। আজকের এ মামলায় কিছু আসামির নাম ওই দুটি মামলায় আসামি হিসেবে চলে এসেছে। তাই তাঁদের আর এই মামলায় যুক্ত করা হবে না।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর লালবাগে কারখানার শ্রমিক মো. হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মো. আবির নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনোমালিন্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি আবিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবিরের সঙ্গে নিহত হোসেনের বন্ধু নীরবের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় হোসেন তাঁর বন্ধুর পক্ষ নিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও আবির তা মেনে নেননি।
এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে হোসেন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লালবাগের শহিদনগর এলাকায় একটি দোকানের সামনে আবির পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরি মারেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবির ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। হোসেন সেখানে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।