মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজকে বাঁচাতে এখনই গভর্নিং বডি নির্বাচন দিতে হবে
Published: 26th, October 2025 GMT
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নির্মূল হলেও মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজে এখনো তাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছে। এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে হলে এখনই গভর্নিং বডি নির্বাচন দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচিত কমিটি গঠনের লক্ষ্যে তিন দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের মূল বালক শাখায় অভিভাবকদের ব্যানারে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধন শেষে অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে গভর্নিং বডি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি জানায়।
অভিভাবকদের দাবি, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত স্কুলটি সিলেক্টেড বা পকেট কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আট বছর ধরে অ্যাডহক কমিটি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, ‘৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার নির্মূল হলেও মনিপুর স্কুলে এখনো তাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অ্যাডহক কমিটি কর্তৃক বিদ্যালয় পরিচালিত হওয়ায় শিক্ষার মান, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও বিপর্যয় ঘটেছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, অদক্ষ ও অযোগ্য প্রশাসনের কারণে একাডেমিক কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে।
অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বহিষ্কৃত কিছু শিক্ষককে অর্থের বিনিময়ে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি শিক্ষক ও কর্মচারীদের ক্যাম্পাস ও শিফট পরিবর্তনেও অর্থ লেনদেন হচ্ছে। একইভাবে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও টাকার বিনিময়ে শিফট পরিবর্তনের ঘটনা ঘটছে।
অভিভাবকেরা বলেন, এসব অনিয়মে ক্যাম্পাস ও শিফটের শিক্ষার্থীদের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উভয়ই। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৈধ গভর্নিং বডি কমিটি এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক সাইফুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন, আবদুল মুতাকাব্বির, আবদুল্লাহ আল আমান, শাহবুদ্দিনসহ অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে