Risingbd:
2025-12-11@09:38:51 GMT

সীমানা ছাড়িয়ে হোপের ‘হোপ’

Published: 27th, October 2025 GMT

সীমানা ছাড়িয়ে হোপের ‘হোপ’

বিপিএল প্রায় নিয়মিত খেলায় শেই হোপের বাংলাদেশে হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের উইকেট কেমন হয় সেই সম্পর্কে ক‌্যারিবীয় অধিনায়কের পূর্ণ ধারনা রয়েছে। এজন‌্য চট্টগ্রামের ২২ গজ নিয়ে হোপের স্রেফ কথাটা এরকম, ‘‘আমি যখনই চট্টগ্রামে আসি, ব্যাটসম‍্যান হিসেবে ব্যাট করার জন্য এটি বেশ ভালো উইকেট।’’ শুনে বোঝাই যাচ্ছে হোপ চট্টগ্রামের ২২ গজে রানের প্রত‌্যাশা করছেন।

ঢাকাতে কালো মাটির উইকেট নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। যেখানে স্পিনের উইকেট বানানোয়  রান হয়নি তেমন। কিন্তু সাগরপাড়ের স্টেডিয়ামের ২২ গজ বরাবরই রান ফোয়ারা। সীমানা ছাড়িয়ে হোপ সেই প্রত‌্যাশাই করছেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে ভালো। শুধু চোখে দেখলেই বোঝা যায়, এটা ঠিক আছে। আমি যখনই চট্টগ্রামে আসি, ব্যাটসম‍্যান হিসেবে ব্যাট করার জন্য এটি বেশ ভালো উইকেট। তাই বলতে পারি, এটা ভালো মনে হচ্ছে। তবে আমি সবসময় বলি, যাচাই-বাছাই করার পরে দেখতে হবে আসল অবস্থাটা কেমন। আপনার ইনিংস কেমন হবে তা হিসাব করতে হবে। শেষ পর্যন্ত স্পিন বেশি হবে কিনা, না কি বলটা শেষ দিকে স্কিড করবে। এসব বিবেচনা করতে হবে, তারপর আসে আসল মূল্যায়নের সময়।”

চট্টগ্রামের উইকেট কেমন হবে সেটা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস উইকেট নিয়ে খোলামনে আছে। স্বাগতিক দেশ হিসেবে একটু বাড়তি সুবিধা তো পাবেন তা সবারই জানা। তবে উইকেট নিয়ে তিনি খোলামনেই আছেই। যে পরীক্ষা আসুক সেখানেই ভালো করতে চান, ‘‘মিরপুরের (উইকেটের) বিষয়টা আমি বলতে পারব না, কিন্তু চট্টগ্রামে আমরা আশা করতে পারি যে ভালো উইকেট এবারও হবে। তবে উইকেটের সার্ফেস কী আচরণ করবে, সার্ফেসের উপর তো আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ভালো উইকেটে হলে আমরা চেষ্টা করব রান করার। আর যদি উইকেট কঠিন হয়, তাহলে আমরা লড়াই করার চেষ্টা করব।” এই সংস্করণে বাংলাদেশের সাফল‌্য অবশ‌্য উইকেটের উপর তেমন নির্ভর করছে না।

বরাবরই খাবি খেয়ে আসা সংস্করণটিতে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো ছন্দে আছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ চারটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজেই জয় তার একটি বড় প্রমাণ বটে। মাঝে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিং ভরাডুবি না হলে রেকর্ডটা আরেকটু ঝকমকে দেখাত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচের পর আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে একই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে বলা যাবে বিশ্বকাপের আগে দারুণ ফর্মেই বাংলাদেশ।

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরের ডাবল শিরোপা: বিহাইন্ড দ‌্য সিনের গল্প শোনালেন আকবর

-রওণা দিয়েছেন
-হঁ‌্যা, ভাই। গাড়িতে। 
-ড্রাইভ করছেন না তো আবার?
-না। অন‌্যজন করছেন। 
-তাহলে কথা বলা যায়…অভিনন্দন। ট্রফি জেতাটা অভ‌্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন মনে হচ্ছে?
-ট্রফি জেতা হচ্ছে। ভালোই হচ্ছে। কিন্তু ট্রফি জেতাকে অভ্যাস মনে করি না। আমি ম্যাচ জেতাকে অভ্যাস মনে করি। আর ট্রফি হলো বাই প্রোডাক্ট।

এভাবে কথায় এগিয়ে যায়। রাইজিংবিডি-র প্রতিবেদক ইয়াসিন হাসানের মুখোমুখি হয়েছিলেন রংপুর বিভাগের অধিনায়ক আকবর আলী। ঘরোয়া ক্রিকেটে এক আসরে জোড়া শিরোপা জয়ের কীর্তির পর প্রতিক্রিয়া ব‌্যক্ত করছিলেন আকবর।  

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ট্রফি জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে সন্ধ‌্যায় রংপুরের উদ্দেশ‌্যে রওণা দিয়েছেন আকবর। গতকাল খেলা শেষে ট্রফিতে এক হাত দিয়ে রেখেছিলেন আকবর অ‌্যান্ড কোং। আজ সিলেট রাজশাহীতে বরিশালের বিপক্ষে ম‌্যাচ ড্র করায় রংপুর পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে থেকে জিতে নেয় জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপা। এর আগে তারা খুলনা বিভাগকে হারিয়ে জিতেছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি আসরের শিরোপা। দুটি শিরোপা জয়ের নেপথ‌্যের নায়ক আকবর।

‘আকবর মানেই শিরোপা’, মুখে-মুখে এ কথার বেশ প্রচলন আছে। সেই কথারই যেন প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন আকবর দ‌্য গ্রেট। তার মুখ থেকেই শুনুন বাকিটা… 

বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষিতে টানা দুইটি শিরোপা জেতা বিরল কিছু?
আকবর আলী:
হ‌্যাঁ, তা তো অবশ‌্যই। 

আমরা তো মাঠে খেলা দেখছি। কিন্তু আপনারা রংপুর দলটাকে সাজানোর আগে থেকে কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। একটু পেছনে ফিরে যদি বলতেন?
আকবর আলী:
সত‌্যিই যদি বলতে হয়…যখন রংপুরের ক্যাম্প শুরু হয় আগস্ট মাস থেকে। সেপ্টেম্বরে তো ক্যাম্প হয়েছিলই। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় আগস্ট থেকেই। আমাদের অনেক অনেক পরিকল্পনা ছিল এবার আমরা কিভাবে এবারের লিগগুলো খেলতে চাই। কিভাবে দলটাকে সাজাতে চাই। আমরা রংপুরে থাকি না। কেউ ঢাকায় থাকে। আমরা অনেকেই খেলার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছিলাম। আমি মাঝখানে ইংল্যান্ডেও ছিলাম।

কিন্তু আমরা ফোনে যুক্ত হয়ে যেতাম সবাই। একেকটা ফোন কলে প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট কথা বলেছি। পরিকল্পনা করেছি, মিটিং করেছি। কিভাবে কি করবো, কাদের নিয়ে আমরা মাঠে নামবো। বিহাইন্ড দ‌্য সিন অনেক কিছুই থাকে। আমার মনে হয়, আমরা যেসব পরিকল্পনা করেছিলাম, কোচিং স্টাফরা যা যা ভেবেছিল, সিনিয়র খেলোয়াড়রা যেভাবে চাচ্ছিল…আমি বলবো আমরা ৮০ শতাংশ ওইসব জায়গায় সফল হয়েছি।

মাঠে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চ‌্যালেঞ্জগুলো ছিল নিশ্চয়ই?
আকবর আলী:
হ্যাঁ। মাঠে এক্সিকিউশনটা মানে…আমাদের কিছু খেলোয়াড় ছিল যারা ফার্স্ট ডিভিশনে ভালো করেছিল। তাদেরকে দেখার একটা বিষয় ছিল যে তারা কিরকম। টি-টোয়েন্টিতে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় ছিল যাদেরকে আমরা ১৫ জনের দলে নিয়ে আসতে পারিনি। কিন্তু তারাও যোগ‌্য দাবিদার।

চারদিনের প্রতিযোগিতা লম্বা টুর্নামেন্ট। সাত থেকে আট সপ্তাহ ধরে চলে। এখানে নতুন কিছু খেলোয়াড় দেখার সুযোগ থাকে। আমরা চেষ্টা করেছি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানোর। যারাই এসেছে, বেশিরভাগই ভালো করেছে।



দুজন সিনিয়র, নাঈম ইসলাম ও নাসির হোসেনকে নিয়ে আলাদা করে জানতে চাইবো। তাদের সামলানোর কাজটা কতটা কঠিন নাকি একেবারেই সহজ?
আকবর আলী:
 আমার কাছে মনে হয়নি কঠিন। কারণ এটা তাদেরই দল। তারা আমার কাজটাকে সহজ করে দিয়েছে। 
আমি যখন প্রথম আসি রংপুর বিভাগে এবং প্রথম যখন আমি অধিনায়কত্ব নেই তারা আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে এটা ভাষার বাইরে। তারা আমার প্রত্যেকটা সিদ্ধান্তকে যেভাবে সম্মানিত করে, আমিও চেষ্টা করি তাদের থেকে সব সময় যখনই আমার প্রয়োজন পরে পরামর্শ নিতে। তারা সর্বাদা সেটার জন‌্য প্রস্তুতও থাকেন। 

আগে যেটা বললাম, মাঠের বাইরের পরিকল্পনা…মাঠে আমি অধিনায়কত্ব করি ঠিকই কিন্তু মাঠের বাইরের বিভিন্ন পরিকল্পনায় সিনিয়র খেলোয়াড়রা থাকেন। নাঈম ভাই, নাসির ভাই, তানভীর ভাই ও আমাদের কোচরা থাকেন। ম‌্যানেজারের আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটার সম্পর্কে ধারণা খুব ভালো। তিনিও অনেক সাহায‌্য করতেন। সব মিলিয়ে তাদের সঙ্গ দারুণ। খুব আন্তরিক।

ফাইনাল রাউন্ডে সেঞ্চুরি করলেন ইকবাল। তাকে নিয়ে দুয়েক জায়গায় কথা হচ্ছে। খুব প্রতিশ্রুতিশীল মনে হয়েছে আপনার কাছে?
আকবর আলী:
সত‌্যি বলতে, ইকবালকে আমি এবারই প্রথম দেখছি। আমাদের রংপুর জেলারও না, ঠাকুরগাঁও থেকে এসেছে। আগে কখনোই ওকে আমি দেখিনি। এবারের ফার্স্ট ডিভিশন আমি খুব ভালোভাবে ফলো করতেছিলাম। কারা ভালো করছে। যেই কয়েকজন ভালো করছে তার মধ্যে আরিফ রাজা ভাই ছিল, ইকবাল ছিল, মিম ভাই ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল সবাইকে আমরা ৩০ জনের মধ‌্যে রেখে দেখবো, কার কি অবস্থা।  

ইকবাল, আরিফ ভাই, আরিফ রাজা ভাই দারুণ ছিল। কিন্তু আরিফ ভাইয়ের জন্য আনফরচুনেট আমি তাকে নিতে পারিনি। আর ইকবালকে নিয়ে খুব খুবই প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় আমি বলবো। তাকে আমাদের ইচ্ছা ছিল সুযোগ দেয়ার এবং সে যখন যখনই সুযোগ পেয়েছে টি-টোয়েন্টিতে, ফোর ডেতে… খুব ভালোভাবে সেটা ব‌্যবহার করছে। এজন‌্য তাকেই ক্রেডিট দিতে হবে আসলে।

সামনে বিপিএল। ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেকটি শিরোপা কি আকবরের হাতে উঠবে?
আকবর আলী:
বিপিএল নিয়ে এখনো চিন্তা ভাবনা করিনি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে কিভাবে ব‌্যবহার করে সেটা দেখার আছে। এটা কোচ, অধিনায়কের সাথে কথা বলতে হবে যে, তারা আমার থেকে কি চায় বা কিভাবে আমি সাহায‌্য করতে পারি দলকে। আমার ভূমিকা কি হবে? যেই রোলটাই থাকবে চেষ্টা করব ওটা পূরণ করার। আর যেটা চ্যাম্পিয়ন হওয়া…ওটা তো অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রংপুরের ডাবল শিরোপা: বিহাইন্ড দ‌্য সিনের গল্প শোনালেন আকবর