মৌলভীবাজারের রাজনগরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এক মাদক কারবারির বাড়ি ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড় ১১টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ খারপাড়া গ্রামের ওই বাড়িতে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদক কারবারিদের হামলায় পাঁচজন আহত হওয়ার জেরে ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

দুর্গাপুরে ২৬৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

চবির হলে মাদকের রমরমা কারবার

এলাকাবাসী জানান, মসুদ নামে এক ব্যক্তি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের ভেতর মাদক কারবার করছিলেন। ফলে এলাকার যুব সমাজ মদকের দিকে ঝুঁকছিল। পাশাপাশি চুরি-ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

গত শনিবার থেকে মাদক নির্মূলে এলাকায় পাহারা বসায় স্থানীয়রা। গতকাল রবিবার সকালে তারা একজনকে গাঁজাসহ আটক করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক করবারিরা রাত ১০টার দিকে প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালায়। অপু (২১), সোহান (২২), বাবু আহমদ (৫৫), ময়নু (৪৫) ও শরীফ (৩৭) আহত হন। তাদের মৌলভীবাজার ও সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে দক্ষিণ খারপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া ও রাসেল মিয়া জানান, হামলার জেরে গতকাল রাতে বিক্ষুব্ধ লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাদক কারবারি মসুদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ট হয়ে এলাকাবাসী এমনটি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে মসুদ ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

রাজনগর উপজেলা ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ আলী হোসেন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। ঘরটিতে থাকা সব মালামাল পুড়ে গেছে।”

রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অবস্থান প্রশংসনীয়। তবে, বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।”

ঢাকা/আজিজ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন অভ য গ এল ক ব স

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫–২০২৬ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ স্নাতক (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত এই ভর্তি পরীক্ষায় মোট ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৭ হাজার ৭০১ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ভর্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান এবং প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বেরোবিতে ঢাবির বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

জবিতে ভর্তির আবেদন ৫ ডিসেম্বর ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বৃদ্ধি

পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, “অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবছর প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, যা একটি কঠিন প্রতিযোগিতা।”ৎ

তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সন্তানদের ওপর কোনো ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। ভর্তির সুযোগ পাওয়া মানেই জীবনের শেষ কথা নয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব সক্ষমতা রয়েছে, যা বিকাশের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বাইরে কেন্দ্রগুলো ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

‎ঢাকা/ সৌরভ/জান্নাত

সম্পর্কিত নিবন্ধ