পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর ভারত ও চীনের মধ্যে আবারও সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) ভারতীয় সময় রাত ১০টায় কলকাতা থেকে গুয়াংজুর উদ্দেশে যাত্রা করে ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

আরো পড়ুন:

বৃষ্টির বদৌলতে আরও ‘এক পয়েন্ট’ পেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের মাথাপিছু আয় কম: শিবির সেক্রেটারি

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হওয়ায় তা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। 

ভারতে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় বলেন, “ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের জন্য আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। পাঁচ বছরের স্থগিত থাকার পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় উন্নতি এই ফ্লাইট। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এটা প্রত্যাশা করেছিলাম এবং এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের প্রথম ফলাফল এই বিমান চলাচলের সূচনা।

২০২০ সালে প্রথমে কোভিডের সময় বন্ধ হয়েছিল ভারত-চিন ফ্লাইট। এরপর গালওয়ান উপত্যকায় সামরিক সংঘর্ষের পরে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। গত আগস্ট মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রবিবার কলকাতা থেকে সরাসরি চীনে ফ্লাইট চালু হলেও নয়াদিল্লি থেকে চালু হবে আগামী ৯ নভেম্বর। ওই ফ্লাইটটি চলবে নয়াদিল্লি এবং সাংহাইয়ের মধ্যে। ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে এরই মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চালু রয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দুই প্রতিবেশী দেশ এখনো কৌশলগত দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী। আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে শীতল প্রতিযোগিতাও চলছে। তবে চীন-ভারত সম্পর্কের বরফ সাম্প্রতিক সময়ে ধীরে ধীরে গলতে শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ল ইট চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা সংকট

মানিকগঞ্জ জেলায় গবাদিপশুর চিকিৎসা সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জনবল ঘাটতি এবং অতিরিক্ত অর্থ দাবির কারণে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খামারিরা। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ পশু সেবা ও কল্যাণ কেন্দ্র। ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে অসংখ্য পশু, যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল সংকটের কারণেই সেবা ব্যাহত হচ্ছে। খামারিদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা পেতে দিতে হয় অতিরিক্ত টাকা; অন্যথায় চিকিৎসা মেলে না।

শিবালয় উপজেলার খামারি আশিকুর রহমান শ্রাবণ বলেন, “সরকারি চিকিৎসক না পেয়ে হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছিল। ভুল চিকিৎসার কারণে ১০ দিনের মাথায় গরুটি মারা যায়। ক্ষতি হয়েছে দেড় লাখ টাকারও বেশি।”

ঘিওর উপজেলার খামারি আলতাফ হোসেন বলেন, “উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস অনেক দূরে। অসুস্থ গরু নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফোন করলেও চিকিৎসক সাড়া দেন না। একবার ভুল ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছিলাম। একদিনেই তিনটি গরু মারা গেল।”

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খামারি সর্দার মোশাররফের অভিযোগ, “পল্লী চিকিৎসকের তুলনায় সরকারি চিকিৎসকদের কাছে যেতে তিনগুণ খরচ হয়। সরকারি সহায়তা শুধু তাদেরই জন্য, যাদের সঙ্গে দপ্তরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে।”

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, “মানিকগঞ্জে পশু চিকিৎসক সংকট মারাত্মক। বিষয়টি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জেলায় প্রায় ১২ হাজার ছোট-বড় খামার রয়েছে, কিন্তু চিকিৎসাসহ ৫৫টি পদ এখনো শূন্য। এছাড়া ইউনিয়ন ও দুর্গম এলাকার ৩০টি পশু সেবা ও কল্যাণ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।”

ঢাকা/চন্দন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ