৫ বছর পর চীন ও ভারতের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু
Published: 27th, October 2025 GMT
পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর ভারত ও চীনের মধ্যে আবারও সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) ভারতীয় সময় রাত ১০টায় কলকাতা থেকে গুয়াংজুর উদ্দেশে যাত্রা করে ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
বৃষ্টির বদৌলতে আরও ‘এক পয়েন্ট’ পেল বাংলাদেশ
বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের মাথাপিছু আয় কম: শিবির সেক্রেটারি
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হওয়ায় তা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
ভারতে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় বলেন, “ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের জন্য আজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। পাঁচ বছরের স্থগিত থাকার পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় উন্নতি এই ফ্লাইট। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এটা প্রত্যাশা করেছিলাম এবং এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের প্রথম ফলাফল এই বিমান চলাচলের সূচনা।
২০২০ সালে প্রথমে কোভিডের সময় বন্ধ হয়েছিল ভারত-চিন ফ্লাইট। এরপর গালওয়ান উপত্যকায় সামরিক সংঘর্ষের পরে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। গত আগস্ট মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রবিবার কলকাতা থেকে সরাসরি চীনে ফ্লাইট চালু হলেও নয়াদিল্লি থেকে চালু হবে আগামী ৯ নভেম্বর। ওই ফ্লাইটটি চলবে নয়াদিল্লি এবং সাংহাইয়ের মধ্যে। ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে এরই মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চালু রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এই দুই প্রতিবেশী দেশ এখনো কৌশলগত দিক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী। আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে শীতল প্রতিযোগিতাও চলছে। তবে চীন-ভারত সম্পর্কের বরফ সাম্প্রতিক সময়ে ধীরে ধীরে গলতে শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ল ইট চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের তফসিলে ভোটের তারিখ ছাড়াও যা যা থাকে
নির্বাচনকে ঘিরে দেশের মানুষের কৌতূহল ঘটতে যাচ্ছে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে। তবে এবার জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট একই দিনে হওয়ার কথা, যে কারণে আবহ কিছুটা আলাদা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করবে; এই তফসিলের মাধ্যমে ছাড়বে ভোটের ট্রেন। আর সেই ট্রেনের গন্তব্য অর্থাৎ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখেই থাকবে সবার দৃষ্টি।
আরো পড়ুন:
‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে কমিশন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে’
ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠালো ইসি
যতদূর জানা গেছে, ইসি ভোটগ্রহণের যে তারিখটি ঘোষণা করবে, ওই দিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট দেওয়ার সুবিধা থাকার কথা।
এবার যেহেতু দুটি ভোট হবে, ফলে দুটি পৃথক রঙের ব্যালট থাকবে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হওয়ার কথা সাদা-কালো। তবে গণভোটের ব্যালটের রং হওয়ার কথা গোলাপি।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হতে যাচ্ছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিলও ঘোষণা করবেন। এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতারে সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হয়।
তফসিলের মধ্যে কী কী থাকে
তফসিলে মূলত নির্বাচন আয়োজনের শুরু থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথগ্রহণ পর্যন্ত সময়সূচির বিস্তারিত বর্ণনা থাকে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “খুব সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে এটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের আইনি ঘোষণা।”
তফসিলে থাকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে প্রার্থীরা কবে থেকে মনোনয়নপত্র কিনতে ও জমা দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র বাছাই করতে কত দিন সময় লাগবে।
বাছাইয়ে বাতিল হলে প্রার্থীর আপিল করার সময়সীমা।
প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর তালিকা প্রকাশের তারিখ।
নির্বাচনি প্রচার কখন থেকে শুরু হবে এবং কতদিন চলবে।
ভোটের তারিখ ও সময়, ভোট গণনার প্রক্রিয়া ও স্থান।
নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণা ও প্রচারের সূচি।
তফসিলের সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হয়
সংবিধানে কিছু বিষয় নিশ্চিতভাবে বলা থাকে। তাই সেগুলোতে আলাদা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। উদাহরণস্বরূপ, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে এবারের নির্বাচন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতার বলে সংসদ ভেঙে দেন এবং এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন। তাই এবার ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতা নেই; কমিশন দুই মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করছে।
ঢাকা/এএএম/রাসেল