সাড়ে ২২ ঘণ্টা পর পুরোপুরি চালু মেট্রোরেল
Published: 27th, October 2025 GMT
বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় সাড়ে ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে উত্তরা ও মতিঝিল দিক থেকে দুটি ট্রেন একযোগে ফার্মগেট স্টেশনে পৌঁছায়।
এর আগে সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানায়, বেলা ১১টা থেকে পূর্ণ রুটে মেট্রোরেল সেবা পুনরায় চালু করা হবে। সাময়িক ভোগান্তির জন্য তারা যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে।
সোমবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে দেখা যায়, উত্তরা থেকে আসা ট্রেনে যাত্রী তুলনামূলক কম থাকলেও মতিঝিলগামী ট্রেনে ছিল ভিড়। নির্ধারিত সময়েই ট্রেন দুটি ফার্মগেট স্টেশন থেকে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। তবে স্টেশনে ট্রেনগুলোর গতি কিছুটা ধীর ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে আবুল কালাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
মতিঝিলগামী যাত্রী রুবিনা আক্তার বলেন, “মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় অফিসে যেতে বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। আজ আবার ট্রেন চালু হওয়ায় অনেক স্বস্তি লাগছে। তবে যেহেতু দুর্ঘটনা ঘটেছে, আশা করি কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে।”
উত্তরা থেকে সচিবালয়ে নামা যাত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, “মেট্রোরেল এখন আমাদের দৈনন্দিন যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন্ধ থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল। তবে আমার মনে হচ্ছে, আজ গতি কিছুটা কম। হয়তো সতর্কতার জন্যই এমনটা করা হয়েছে।”
ফার্মগেট স্টেশনে দায়িত্বে থাকা ডিএমটিসিএলের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিটি পিলার, ট্র্যাক এবং যন্ত্রাংশ পুনরায় পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ থেকে পূর্ণ রুটে ট্রেন চললেও আমরা অতিরিক্ত নজরদারি রাখছি যাতে যাত্রীরা নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারেন।”
ঢাকা/এএএম/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র মগ ট মত ঝ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শাপলা নয়, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে ইসি
বিধিমালায় না থাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তবে কমিশন নিজস্ব বিবেচনায় অন্য কোনো প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলেও তিনি জানান।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
আখতার আহমেদ বলেন, “শাপলা প্রতীক বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এখন পর্যন্ত এনসিপি কিংবা অন্য কোনো পক্ষ থেকে বিকল্প প্রস্তাব আসেনি। ফলে কমিশনের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।”
আরপিও (নির্বাচন আইন) সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে সচিব বলেন, “আরপিওতে পরিবর্তনের আগে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের বিরোধপূর্ণ বিষয় উঠে আসেনি, তাই অনুমান নির্ভর মন্তব্য করা অনুচিত।”
তিনি আরও বলেন, “কমিশন আরপিও প্রস্তাবনাগুলো পাঁচটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করেছে— যেগুলো স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, যেগুলো ভাষাগত বা সংখ্যাগতভাবে সামান্য সংশোধনযোগ্য, যেগুলো রাজনৈতিক ঐক্যমত ছাড়া সম্ভব নয়, যেগুলো বিদ্যমান আইনে পর্যাপ্তভাবে নির্ধারিত, এবং যেগুলো কমিশনের নিজস্ব বিবেচনায় সংশোধনযোগ্য মনে হয়েছে।”
গণভোটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, “নির্বাচন কমিশনে এখনো পর্যন্ত কোনো গণভোট সম্পর্কিত তথ্য আসেনি। তাই অনুমানভিত্তিক কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। যে বিষয়টি কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”
ঢাকা/এএএম/ইভা