বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় সাড়ে ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১১টা ১৬ মিনিটে উত্তরা ও মতিঝিল দিক থেকে দুটি ট্রেন একযোগে ফার্মগেট স্টেশনে পৌঁছায়।

এর আগে সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানায়, বেলা ১১টা থেকে পূর্ণ রুটে মেট্রোরেল সেবা পুনরায় চালু করা হবে। সাময়িক ভোগান্তির জন্য তারা যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে।

সোমবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে দেখা যায়, উত্তরা থেকে আসা ট্রেনে যাত্রী তুলনামূলক কম থাকলেও মতিঝিলগামী ট্রেনে ছিল ভিড়। নির্ধারিত সময়েই ট্রেন দুটি ফার্মগেট স্টেশন থেকে পুনরায় যাত্রা শুরু করে। তবে স্টেশনে ট্রেনগুলোর গতি কিছুটা ধীর ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে আবুল কালাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। 

মতিঝিলগামী যাত্রী রুবিনা আক্তার বলেন,  “মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় অফিসে যেতে বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। আজ আবার ট্রেন চালু হওয়ায় অনেক স্বস্তি লাগছে। তবে যেহেতু দুর্ঘটনা ঘটেছে, আশা করি কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবে।”

উত্তরা থেকে সচিবালয়ে নামা যাত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, “মেট্রোরেল এখন আমাদের দৈনন্দিন যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন্ধ থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল। তবে আমার মনে হচ্ছে, আজ গতি কিছুটা কম। হয়তো সতর্কতার জন্যই এমনটা করা হয়েছে।” 

ফার্মগেট স্টেশনে দায়িত্বে থাকা ডিএমটিসিএলের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিটি পিলার, ট্র্যাক এবং যন্ত্রাংশ পুনরায় পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ থেকে পূর্ণ রুটে ট্রেন চললেও আমরা অতিরিক্ত নজরদারি রাখছি যাতে যাত্রীরা নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারেন।” 

ঢাকা/এএএম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র মগ ট মত ঝ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের তফসিলে ভোটের তারিখ ছাড়াও যা যা থাকে

নির্বাচনকে ঘিরে দেশের মানুষের কৌতূহল ঘটতে যাচ্ছে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে। তবে এবার জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট একই দিনে হওয়ার কথা, যে কারণে আবহ কিছুটা আলাদা।  

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করবে; এই তফসিলের মাধ্যমে ছাড়বে ভোটের ট্রেন। আর সেই ট্রেনের গন্তব্য অর্থাৎ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখেই থাকবে সবার দৃষ্টি।

আরো পড়ুন:

‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে কমিশন সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে’

ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে জনপ্রশাসনকে চিঠি পাঠালো ইসি

যতদূর জানা গেছে, ইসি ভোটগ্রহণের যে তারিখটি ঘোষণা করবে, ওই দিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট দেওয়ার সুবিধা থাকার কথা। 

এবার যেহেতু দুটি ভোট হবে, ফলে দুটি পৃথক রঙের ব্যালট থাকবে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হওয়ার কথা সাদা-কালো। তবে গণভোটের ব্যালটের রং হওয়ার কথা গোলাপি।

দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হতে যাচ্ছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিলও ঘোষণা করবেন। এর আগে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতারে সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হয়।

তফসিলের মধ্যে কী কী থাকে
তফসিলে মূলত নির্বাচন আয়োজনের শুরু থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথগ্রহণ পর্যন্ত সময়সূচির বিস্তারিত বর্ণনা থাকে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “খুব সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে এটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের আইনি ঘোষণা।”

তফসিলে থাকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে প্রার্থীরা কবে থেকে মনোনয়নপত্র কিনতে ও জমা দিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র বাছাই করতে কত দিন সময় লাগবে।

বাছাইয়ে বাতিল হলে প্রার্থীর আপিল করার সময়সীমা।

প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর তালিকা প্রকাশের তারিখ।

নির্বাচনি প্রচার কখন থেকে শুরু হবে এবং কতদিন চলবে।

ভোটের তারিখ ও সময়, ভোট গণনার প্রক্রিয়া ও স্থান।

নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণা ও প্রচারের সূচি।

তফসিলের সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হয়
সংবিধানে কিছু বিষয় নিশ্চিতভাবে বলা থাকে। তাই সেগুলোতে আলাদা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। উদাহরণস্বরূপ, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে এবারের নির্বাচন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবিধানিক ক্ষমতার বলে সংসদ ভেঙে দেন এবং এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন। তাই এবার ৯০ দিনের বাধ্যবাধকতা নেই; কমিশন দুই মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করছে।

ঢাকা/এএএম/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ