কাশিপুর ইউনিয়নকে সিটির আওতাভূক্ত না করার দাবিতে ডিসি বরাবর স্মারকলিপি
Published: 27th, October 2025 GMT
ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নকে সিটি কর্পোরেশনের আওতা ভূক্ত না করার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে কাশীপুর ইউনিয়ন রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ।
সোমবার (২৭শে অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত এক মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, আমরা কাশিপুর ইউনিয়ন চাই, বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থায় কাশিপুর ইউনিয়ন জনগণের যে মাথাপিছু আয় সে হিসেবে তারা নগরীতে যেতে পারে না।
আইনগত কোনো কারনে যদি কাশিপুরকে দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা বলবো ঐতিহ্যবাহী কাশিপুর কে স্বতন্ত্র পৌরসভা করেন এবং এই পৌরসভা করার জন্য যে ধরনের ভোটার প্রয়োজন সবকিছুই কাশিপুর আছে।
বক্তারা আরও বলেন, কাশিপুর এলাকার অধিকাংশ মানুষ স্থায়ী বাসিন্দা। যাদের জীবিকা কৃষি নির্ভর। এখানে লক্ষাধীক মানুষের বসবাস। তাদের সন্তানের শিক্ষা ব্যবস্থা একপ্রকার ভালো চলছে।
বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে এই ইউনিয়নকে সিটির আওতায় আনার কোন যৌক্তিকতা নাই। তাই কাশিপুরবাসি সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিষয়ে ইচ্ছুক নয়। এলাকাবাসি ইউনিয়ন থাকার বিষয়ে মত প্রকাশ করছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাশীপুর ইউনিয়ন রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক শফিউদ্দিন প্রধান খোকন সরদার, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আরাফাত রহমান জিতু, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম টিটু, সালাউদ্দিন আহমেদ, সৈকত হোসেন ইকবাল ও মোহাম্মদ আমান সহ কাশিপুর ইউনিয়ন এর সর্বস্তরের জনগণ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে শ্রমিক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে সাধারণ শ্রমিকদের হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে। যাদুকাটা নদীর বালু-পাথর শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে আজ রোববার দুপুরে নদীর তীরে এই মানববন্ধন হয়। এতে হাজারো শ্রমিক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বলা হয়, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যাদুকাটা নদীতে চলতি মাস থেকে সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল মব সৃষ্টি করে নদীর পাড় কেটে বালু লুট করে। সাধারণ শ্রমিকেরা সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করলেও অভিযানের নামে নিরীহ শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁদের ধরে নিয়ে জরিমানা, সাজা দেওয়া হচ্ছে। এতে শ্রমিকেরা আতঙ্কে আছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ করে জেলার ৫০ হাজার শ্রমিক জীবিকা নির্বাহ করেন। একটি চক্র নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। নদীতে নির্বিঘ্নে সাধারণ শ্রমিকদের বালু উত্তোলনের সুযোগ দিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রমজান মিয়া, সহসভাপতি সাহিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম, শ্রমিক আতিকুল ইসলাম, মাসুক মিয়া প্রমুখ।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানিয়েছেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।