কৃষিজীবী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতে আইএলওর দুই কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করা প্রয়োজন
Published: 28th, October 2025 GMT
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক অধিকারকর্মীসহ দেশের ২৭ জন নাগরিক। রোববার এক বিবৃতিতে কৃষিজীবী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতে আইএলও কনভেনশন-১৪১ ও আইএলও কনভেনশন-১৬৯ অনুস্বাক্ষরের আহ্বান জানান তাঁরা।
সরকারের অনুস্বাক্ষর করা আইএলওর তিন কনভেনশন হলো পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কনভেনশন-১৫৫, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান উন্নয়নে প্রচারণামূলক কাঠামো কনভেনশন-১৮৭ এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধবিষয়ক কনভেনশন-১৯০। ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট জাতিসংঘের গুম ও নির্যাতনবিরোধী সনদেও অনুস্বাক্ষর করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা এ কনভেনশনগুলোতে অনুস্বাক্ষর করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, এই কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা পালনে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যা বিশেষভাবে শ্রমিকদের এবং দেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর পাশাপাশি শ্রম আইন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পথকে সুগম করবে।’
বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৪ শতাংশ কৃষিকাজে নিয়োজিত বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘কৃষিতে যাঁরা দিনরাত শ্রম দিচ্ছেন, মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে একে যুগের পর যুগ বাঁচিয়ে রেখেছেন, সমৃদ্ধ করে চলেছেন তাঁরাই সবচেয়ে অবহেলিত-উপেক্ষিত। আমরা কৃষি এবং কৃষিজাত সব পণ্যের প্রসার, উন্নয়ন এবং কৃষিজীবী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর (নারী কৃষকসহ) ভাগ্য উন্নয়নের অতি জরুরি এবং অপরিহার্য হিসেবে আইএলও কনভেনশন-১৪১ (গ্রামীণ শ্রমজীবী কৃষকদের সংগঠন করার অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানবিষয়ক) অনুস্বাক্ষর করা প্রয়োজন মনে করি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং তাদের প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইএলও কনভেনশন ১৬৯ (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও উপজাতি জনগণের কনভেনশন) অনুস্বাক্ষর করাও জরুরি। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ সমতল ও পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে বেশি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবহেলা, বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না, নারী পক্ষের সদস্য শিরীন পারভীন হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী তবারক হোসেন, বেলার প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খাইরুল চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, সিডিএর নির্বাহী পরিচালক শাহ-ই-মবিন জিন্নাহ, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সাইদুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী দীপায়ন খীসা, মানবাধিকারকর্মী সাঈদ আহমেদ, গবেষক ও আদিবাসী অধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ এবং সাঙ্গাতের কোর গ্রুপ সদস্য মুক্তাশ্রী চাকমা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইএলও কনভ নশন ম নব ধ ক র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষিজীবী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতে আইএলওর দুই কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করা প্রয়োজন
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক অধিকারকর্মীসহ দেশের ২৭ জন নাগরিক। রোববার এক বিবৃতিতে কৃষিজীবী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতে আইএলও কনভেনশন-১৪১ ও আইএলও কনভেনশন-১৬৯ অনুস্বাক্ষরের আহ্বান জানান তাঁরা।
সরকারের অনুস্বাক্ষর করা আইএলওর তিন কনভেনশন হলো পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কনভেনশন-১৫৫, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মান উন্নয়নে প্রচারণামূলক কাঠামো কনভেনশন-১৮৭ এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধবিষয়ক কনভেনশন-১৯০। ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট জাতিসংঘের গুম ও নির্যাতনবিরোধী সনদেও অনুস্বাক্ষর করে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা এ কনভেনশনগুলোতে অনুস্বাক্ষর করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, এই কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা পালনে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যা বিশেষভাবে শ্রমিকদের এবং দেশের জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর পাশাপাশি শ্রম আইন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পথকে সুগম করবে।’
বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৪ শতাংশ কৃষিকাজে নিয়োজিত বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে বলা হয়, ‘কৃষিতে যাঁরা দিনরাত শ্রম দিচ্ছেন, মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে একে যুগের পর যুগ বাঁচিয়ে রেখেছেন, সমৃদ্ধ করে চলেছেন তাঁরাই সবচেয়ে অবহেলিত-উপেক্ষিত। আমরা কৃষি এবং কৃষিজাত সব পণ্যের প্রসার, উন্নয়ন এবং কৃষিজীবী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর (নারী কৃষকসহ) ভাগ্য উন্নয়নের অতি জরুরি এবং অপরিহার্য হিসেবে আইএলও কনভেনশন-১৪১ (গ্রামীণ শ্রমজীবী কৃষকদের সংগঠন করার অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানবিষয়ক) অনুস্বাক্ষর করা প্রয়োজন মনে করি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং তাদের প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইএলও কনভেনশন ১৬৯ (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও উপজাতি জনগণের কনভেনশন) অনুস্বাক্ষর করাও জরুরি। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ সমতল ও পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে বেশি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবহেলা, বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল, নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশি কবির, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না, নারী পক্ষের সদস্য শিরীন পারভীন হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী তবারক হোসেন, বেলার প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খাইরুল চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, সিডিএর নির্বাহী পরিচালক শাহ-ই-মবিন জিন্নাহ, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সাইদুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী দীপায়ন খীসা, মানবাধিকারকর্মী সাঈদ আহমেদ, গবেষক ও আদিবাসী অধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ এবং সাঙ্গাতের কোর গ্রুপ সদস্য মুক্তাশ্রী চাকমা।