মাগুরায় পূজা উপলক্ষে ৯০ ফুটের তোরণ, নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের
Published: 28th, October 2025 GMT
মাগুরায় শতবর্ষী কাত্যায়নী পূজা উপলক্ষে শহরের নতুন বাজার সেতুর ওপর নির্মিত হয়েছে প্রায় ৯০ ফুট উচ্চতার একটি বর্ণিল তোরণ, যা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। আয়োজকদের দাবি, জেলায় সাধারণত এত উঁচু তোরণ চোখে পড়ে না। তোরণটির নির্মাণে কাজ করেছেন ৩০ জনের বেশি শিল্পী ও শ্রমিক। গতকাল সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের এই উৎসব।
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকার নিতাই গৌর গোপাল সেবাশ্রম পূজা উদ্যাপন কমিটির পক্ষ থেকে এই তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা হলেও মাগুরায় জাঁকজমকভাবে কাত্যায়নী পূজাই অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবছর শারদীয় দুর্গাপূজার এক মাস পরই মাগুরায় কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী হবে আগামী শুক্রবার।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, কাত্যায়নী পূজার সময় প্রতিবছর উৎসবের শহরে পরিণত হয় মাগুরা। এবারও গোটা শহরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এবার পূজামণ্ডপ এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ, প্যান্ডেল ও চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা। দিনে ও রাতে পূজা মণ্ডপগুলোয় হাজারো মানুষের ঢল নামে। পূজামণ্ডপগুলো তৈরি করা হয়েছে প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্থাপত্যকলার আদলে। কয়েক শ পটুয়াশিল্পী প্রায় এক মাস পরিশ্রম করে এসব প্রতিমা, মণ্ডপ ও পূজার আনুষঙ্গিক সাজসজ্জা করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার জেলায় ৮৭টি মণ্ডপে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে পৌর এলাকায় ২০টি, সদর উপজেলার অন্য এলাকায় ২০টি, শালিখায় ২৫টি, মহম্মদপুরে ১২টি এবং শ্রীপুরে ১০টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এর মধ্যে পৌর এলাকার মণ্ডপগুলো ঘিরেই দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি থাকে। পূজাকে ঘিরে প্রতিটি মণ্ডপে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
গতকাল সকালে নতুন বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দূর থেকে চোখ আটকে যাচ্ছে বর্ণিল এই তোরণে। মাথা উঁচু করে সেটি দেখার চেষ্টা করছেন অসংখ্য দর্শনার্থী।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তোরণটির উচ্চতা প্রায় ৯০ ফুট ও প্রস্থ ৩০ ফুট। এটি বাঁশ, কাঠ, কর্কশিট ও নানা রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তোরণটির কাঠামোয় ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ৫৫০টি বাঁশ। খুলনার শিল্পী নিতাই বিশ্বাস এটির নকশা করেছেন এবং নির্মাণ করেছে স্থানীয় একটি ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠান।
ডেকোরেটরটির স্বত্বাধিকারী তরুণ ভৌমিক বলেন, ‘কাত্যায়ানী পূজা মাগুরার বিশেষ একটি উৎসব। এখানে আমরা প্রতিবছর নতুন কিছু প্রদর্শনের চেষ্টা করি। এর আগে একই জায়গায় ৭০ থেকে ৭৫ ফুট উচ্চতার তোরণ নির্মাণ করেছিলাম। তবে এবার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।’
শিল্পী নিতাই বিশ্বাস বলেন, তোরণটির বিশেষত্বই হচ্ছে এর উচ্চতা। এ ধরনের তোরণ দেশের কোনো প্রান্তেই তেমন একটা চোখে পড়ে না। জনবহুল একটি সেতুর ওপর এটির নির্মাণ করাটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেক দূর থেকে এটি চোখে পড়ছে। ৩০ জনের বেশি শিল্পী ও শ্রমিক প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে এটি তৈরি করেছেন।
নিতাই গৌর গোপাল সেবাশ্রম পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাপাই শিকদার বলেন, ‘বড় আকারের তোরণ আমাদের কাত্যায়নী পূজার ঐতিহ্য। গত ১০ বছর লাইট বোর্ডের তোরণ নির্মাণ করা হতো। এবার আমরা আবার পুরোনো ঐতিহ্যে ফিরে গেছি। এবার এই তোরণ নির্মাণে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ম ণ কর ত রণট র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে যুবদলের বর্ণাঢ্য র্যালি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে উৎসবমূখর পরিবেশে এ র্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে শুরু হয়ে শিমরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ড থেকে শত শত যুবদলকর্মী মিছিল নিয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে উল্লাসে মেতে উঠে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য শহিদুল ইসলামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেন, যখনই বাংলাদেশ বিপদের মূখে পড়েছে এই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সবসময় অগ্রণী ভুমিকা রেখেছে। আন্দোলন-সংগ্রামে যুবদলের অনেক ভুমিকা।
বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পিছনে এই যুবদলের অনেক ভুমিকা রয়েছে। যুবদল রাস্তা-ঘাটে সব সময় আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল। এই সিদ্ধিরগঞ্জে যুবদলের নেতৃত্ব দিয়েছিল আজকে যারা এই যুবদলের র্যালি করছে তারা। সুতরাং এই যুবদল আগামী দিনেও বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবে।
আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে এই দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরাও ইনশাআল্লাহ এই যুবদলকে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখতে বলব যেন ধানের শীষ প্রতীক যে প্রার্থীই পায় তাকে বিজয়ী করে আনতে পারে।
মহানগর যুবদলের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যুবদল সব সময় অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। ছাত্র দল যেভাবে দাবানলের মত চলে ঠিক যুবদল দাবানলের মত ভুমিকা রেখেছে। আমাদেরকে আন্দোলন শিখাতে হবে না।
আমরা পুলিশলীগ, আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এই অবস্থায় এসে ছোট কিছু দুধের বাচ্চা আর এক মুনাফেকের দল সেটা হচ্ছে জামাত ইসলামটাকে তারা ব্যবহার করছে।
বর্তমানে সেই জামায়াত ইসলামকে বিকৃত ও গনতন্ত্রকে বিকৃত করার জন্য, মানুষের অধিকার নষ্ট করার জন্য তারা দাড়ি-টুপি রেখে ভোট চাচ্ছে। এই ধরণের গৃনীত কাজের জন্য ধিক্কার জানাই।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাসিক ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহজালাল কালু, যুবদল নেতা মাহবুব হোসেন, নাসিক ৯নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা আরিফ সাউদ, নাসিক ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম ভুট্টু, ডা. জাহিদ, ওসমান গনি, রাশেদ, ডালিম, ২নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা জাহিদ, ইব্রাহিম, শামীম, শাহ আলম, আশিক, যুবদল নেতা আলম, রুবেল, মাইয়াদসহ আরো অনেকে।