ঘাড় ঘোরানোর সময় মটমট করে, এটা কি স্বাভাবিক
Published: 29th, October 2025 GMT
প্রশ্ন: আমার বয়স ৪০ বছর। আমি একজন ব্যাংকার। আমার ঘাড় ঘোরানোর সময় হালকা মটমট শব্দ হয়। এটা কি স্বাভাবিক, নাকি কোনো সমস্যার কারণে হচ্ছে? লম্বা সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করার পর আমি যখন একটু ঘাড় ঘোরাই, তখনই সমস্যাটা হয়। ঘাড়ে ব্যথাও অনুভব করি।
মুরাদ হোসেন
আরও পড়ুনমাথাব্যথার যত কারণ, ভালো থাকতে যা করতে হবে২৩ মে ২০২৪পরামর্শ: ঘাড় ঘোরানোর সময় শব্দ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অনেকেই অভ্যাসবশত বারবার ঘাড় ঘোরান, যা ঠিক না। বিশেষ করে, চুল কাটার সময় নরসুন্দরের মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে ঘাড় ঘোরানো একেবারেই অনুচিত। এতে ঘাড়ের ফ্যাসেট জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করেন, তাঁদের ঘাড়ের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এ কারণে পেশি হঠাৎ শক্ত হয়ে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এ জন্য আপনি নিয়মিত ঘাড় ও কাঁধের হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এরপরও যদি শব্দের সঙ্গে ব্যথা বা অস্বস্তি বাড়তে থাকে, তাহলে সার্ভিক্যাল স্পাইন বি/ভি এক্স-রে করিয়ে একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানাঅধুনা প্রথম আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected], খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা’
আরও পড়ুনবয়স ৩০ পেরোতেই চোখ বসে যাচ্ছে? দেখুন তো এসব কারণে কি না১৯ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামের শিশির ভাবনায় বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ভাগ্যিস বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বল পুরোনো হওয়ার আগেই নিজেরাই আত্মসমর্পণ করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা নিজেদের চেষ্টা করেছেন। এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করেননি। তাতেই ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের রান তাড়ায় ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশের। অথচ বাংলাদেশের পরাজয় এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দিতে পারত মাঠের শিশির। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে শিশিরের প্রকোপে বোলারদের বল গ্রিপ করতে কষ্ট কচ্ছিল। তাতে ভয় ধরেছিল অতিথি শিবিরে। শেষ পর্যন্ত ১৬ রানে ম্যাচ জিতে নেওয়ায় খুশি তারা। তবে শিশির নিয়ে ভাবনা ছিলো দুই দলই। রোভমান পাওয়েল ৪৪ রান করেন ১ চার ও ৪ ছক্কায়। চতুর্থ উইকেটে হোপকে নিয়ে ৪৬ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন। যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তবুও শিশির নিয়ে ভয় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে।
রোভমান পাওয়ের ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই কথাই বললেন, ‘‘“এটা স্পষ্ট যদি বাংলাদেশের মূল ব্যাটসম্যানদের কেউ আরও লম্বা সময় কাটাতে পারত, তাহলে আমরা চাপে পড়ে যেতাম। কারণ, শেষ দিকে মাঠ ভিজে গিয়েছিল। আমাদের বোলারদের এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা পরিকল্পনায় অটল ছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছে। “আমরা পিচ নিয়ে তথ্য নিয়েছি, মাঠ নিয়ে তথ্য নিয়েছি। কিন্তু আমরা জানতাম না, মাঠ এতটা ভেজা থাকবে। পরের দুই ম্যাচে এই ব্যাপারটা আমাদের ভাবনায় রাখতে হবে।” বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পাওয়ার প্লে’তে উইকেট না হারালে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারত বলেই বিশ্বাস করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা তানজিম। কারণ শিশিরের কারণে শেষ দিকে ব্যাটিং করা সহজ হয়ে যাচ্ছিল।
সাকিব বলেছেন, ‘‘“যদি দেখেন, শেষের দিকে শিশিরের কারণে বল অনেক সহজে ব্যাটে আসছিল। আমার মনে হয়, যদি একজন থিতু ব্যাটসম্যান থাকত, তাহলে ম্যাচটা অনেক সহজ হয়ে যেত। শেষ দুই ওভারে ৩০ রান দরকার ছিল, একজন থিতু ব্যাটার থাকলে ম্যাচ হাতের মধ্যেই থাকত।” পরের ম্যাচ একদিন পরই। ম্যাচ শুরুর সময় সন্ধ্যা ৬টায়। সেই ম্যাচেও শিশির বড় ভূমিকা রাখতে পারে সেই বিষয়ে সতর্কবার্তা এই ম্যাচেই পেয়ে গেছে দুই দল।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন