১৫ বছর পর আবারও ভারতের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্ট বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলবেন বিরাট কোহলি। ২৪ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে দিল্লির হয়ে খেলবেন তিনি। দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ) কোহলির খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এর আগে শর্ত দেন, জাতীয় দলে খেলতে হলে অবশ্যই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হবে। গতকাল ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’কে একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলার ইচ্ছার কথা এর আগেই বিসিসিআইয়ের নির্বাচক কমিটিকে জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। কিন্তু কোহলি শুরুতে এই টুর্নামেন্টে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটিকে সূত্রটি বলেছে, ‘সমস্যাটি বিজয় হাজারে ট্রফিকে ঘিরে। সহজ কথায়, সে (কোহলি) এই টুর্নামেন্টে খেলতে চায় না। কিন্তু রোহিত শর্মা খেলতে চাইলে শুধু একজন খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যতিক্রম হবে? আর আমরা অন্য খেলোয়াড়দের কি বলব, কেউ একজন তোমাদের বাকি সবার চেয়ে আলাদা?’

৩৭ বছর বয়সী কোহলি এখন ভারতের হয়ে শুধু ওয়ানডে খেলেন। বিসিসিআই চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের ঘরোয়ায় খেলা বাধ্যতামূলক করেছে। ডিডিসিএ সচিব অশোক শর্মা ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেন, ‘তিনি অবশ্যই কিছু ম্যাচ খেলবেন। তবে পুরো টুর্নামেন্টে খেলবেন কি না, তা নিশ্চিত নই। এটা ভারতের ম্যাচের ওপর নির্ভর করবে।’

আরও পড়ুনক্রাইস্টচার্চ টেস্ট: ১১ উইকেট পতনের দিনে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড৫৬ মিনিট আগে

গত ৩০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলা কোহলি বিজয় হাজারে ট্রফিতে সর্বশেষ খেলেন ২০০৯-১০ মৌসুমে। সেটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে। সে বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি এই টুর্নামেন্টে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেন কোহলি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি পান কোহলি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই ট র ন ম ন ট ব জয় হ জ র

এছাড়াও পড়ুন:

তারেক রহমান না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন নয়: তৌহিদ হোসেন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে না এলে নির্বাচন হবে না বা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন ধারণার সঙ্গে একমত নন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, একজন ব্যক্তির কারণে নির্বাচন নষ্ট হয়ে যাবে বা হবে না; এটা তিনি মনে করেন না।

তারেক সাহেব না আসলে বা বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারেক সাহেব এখানে (ঢাকায়) উপস্থিত না থাকলেও তো বিএনপির সত্যিকার নেতৃত্ব তার হাতেই ছিল। কাজেই উনি ঢাকায় পদার্পণ না করলেই যে নির্বাচন হবে না বা সুষ্ঠু হবে না; এটা আমার ঠিক মনে হয় না।

আরো পড়ুন:

‘অসুস্থ মায়ের পাশে থাকতে না পারা কত যন্ত্রণার, সেটা সন্তানই বুঝতে পারে’

খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইলেন ডিপজল

তৌহিদ হোসেন বলেন, আমার মনে হয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, সেটা অন্যান্য আরো ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। ল অর্ডারের প্রশ্ন আছে, ইলেকশন কমিশন কতটুকু সফল হয়, সে বিষয় আছে। আমার মনে হয় না, একজন ব্যক্তির কারণে বা উনার দূরে থাকার কারণে নির্বাচন নষ্ট হয়ে যাবে, এটা আমি মনে করি না।

তবে দেখা যাক, সময় তো এখনো আছে। তো আল্টিমেটলি কী হবে, আমরা তো এখনো জানি না, বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, তারেক রহমানের দেশে আসার আগ্রহ আছে কি নাই, সেটা আপনাদের মাধ্যমে আমি জানি; পত্র-পত্রিকায় যতটুকু আসে। আমার কাছে আলাদা কোনো তথ্য নাই।

লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরতে চাইলে একদিনের মধ্যেই তাকে ‘ওয়ান টাইম পাস’ দিতে পারার কথা বলেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

রবিবার ঢাকায় ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশ্য বলেছেন, “এটার নিয়ম হচ্ছে যে, যখন পাসপোর্ট থাকে না বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়, তখন কেউ যদি আসতে চান, তাহলে তাকে আমরা ওয়ান টাইম পাস একটা দিয়ে দিই, একবার দেশে আসার জন্য।

“তো, এটাতে একদিন লাগে। কাজেই এটা উনি যদি আজকে বলেন যে, উনি আসবেন, আগামীকাল হয়তো আমরা এটা দিলে পরশু দিন প্লেনে উঠতে পারবেন। কোনো অসুবিধা নাই। এটা আমরা দিতে পারব।”

ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘সংকটময় পরিস্থিতিতে’ ছেলে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে ‘জটিলতা’ থাকার কথা শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে নিজেই তুলে ধরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

এক ফেসবুক পোস্টে তারেক রহমানের ‘স্পর্শকাতর’ বক্তব্যের প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন,“স্ট্যাটাস স্পর্শকাতর বিষয়। এটা উনি নিজে বলেছেন, পত্রিকায় এসেছে, সেটা আমরা সবাই দেখেছি।"

“আমার জ্ঞান যে পর্যন্ত আমি শুধু এটুকু বলতে পারব যে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ নেই যে উনি আসতে পারবেন না।”

বিদেশি কোনো দেশের চাপ আছে কি না, এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, “একটা দেশের নাগরিক তার দেশে ফিরতে দেওয়া যাবে না বা দেওয়া হবে না এটাতো আমার কাছে একটু অস্বাভাবিক লাগছে যে, বাংলাদেশ যদি তার নাগরিককে ফেরত আসতে দিতে চায়, আরেকটি দেশ সেটা কী করে নিষেধ করবে।”

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য আবার বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, তাকে বিদেশ নেওয়ার ব্যবস্থা তার দল করলে, সরকার সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে।

ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তার ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

পরদিন রবিবার দুপুরে ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করা তারেক রহমানের ফেরা এবং তার ফেসবুক পোস্টের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সব খাবারে কি কারও অ্যালার্জি হতে পারে?
  • আসিম মুনির: পাকিস্তানের নতুন ‘সুলতান’
  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় রাবিতে দোয়া
  • মুসলিম সভ্যতায় কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেওয়া
  • মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ আহত ১৫
  • শিবচরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১৫
  • মাধ্যমিকে কর্মবিরতি, বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি
  • ইমরান খানকে কি ভুট্টোর পরিণতি বরণ করতে হচ্ছে
  • তারেক রহমান না এলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, এমন নয়: তৌহিদ হোসেন