লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইউসুফ আলীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত ইউসুফ আলী রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাইজের বাড়ির মৃত এরশাদ হোসেনের ছেলে। 

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুন্ডু।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, নিহত ব্যবসায়ী আনোয়ারের সাথে তার দোকান থেকে বাকি নেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউসুফের সাথে পূর্বে বাকবিতণ্ডা হয়। ঘটনার দিন ২৫ নভেম্বর সকালে পূর্বের ন্যায় ইউসুফ ৩/৪ জনকে নিয়ে আনোয়ারের দোকানে বাকিতে মালামাল নিতে যায়। তখন আনোয়ার ইউসুফের কাছে পূর্বের বাকির টাকা চাই এবং নতুন করে বাকি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। 

এ নিয়ে উভয়ের মাঝে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ইউসুফসহ তার সাথে থাকা অন্যরা ব্যবসায়ী আনোয়ারের বুকে, পেটে ও মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। তখন ব্যবসায়ী আনোয়ারের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 

এরই প্রেক্ষিতে নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী (৩৫) বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

এ ঘটনায় র‌্যাব-১১ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাকে রামগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

 ঢাকা/লিটন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় র মগঞ জ ইউস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী আটক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রিয়া মনি (২৪) নামের এক তরুণীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আদিল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। 

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সোনারগাঁ উপজেলার কামারগাঁও এলাকায় র‍্যাংকস কারখানার স্টাফ কোয়ার্টারে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

নিহত রিয়া মনি জামালপুর সদর উপজেলার চুনুটিয়া গ্রামের হালিম মন্ডলের মেয়ে। তার স্বামী আদিল হোসেন একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। 

রিয়া মনি র‍্যাংকস কারখানার বাবুর্চি ছিলেন। পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিয়া মনির সঙ্গে আদিল হোসেনের ৯ মাস আগে বিয়ে হয়। এর আগে একটি বিয়ে করেছিলেন আদিল।

আদিল হোসেন দাবি করেছেন, আজ সকালে তিনি স্ত্রীর জন্য খাবার কিনতে বাইরে যান। এর পর এক ঘণ্টা পর ফিরে এসে রুমের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় রিয়া মনির লাশ দেখতে পান। তার চিৎকার করে লোকজন জড়ো হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, নিহতের স্বামী আদিল হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ