বাংলাদেশ এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। মঙ্গোলিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গ্যানবোল্ট তামবাযাও। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, ‘‘আমাদের উচিত এই কূটনৈতিক সদিচ্ছাকে ব্যবসা-বাণিজ্যিক যোগাযোগে রূপান্তর করা যেন আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয়।”

মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, “কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের অনুকূলে ভিসা অব্যাহতি চুক্তির পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্যও ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা যেতে পারে।”

মঙ্গোলিয়ার প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গ্যানবোল্ট তামবাযাও ও মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুল জেনারেল, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল। 

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফয়সল আহমেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত উইং) মোহাম্মদ নুরে আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তিতে মোট ১১টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এটি স্বাক্ষর হওয়ার ফলে উভয় দেশের কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী নাগরিক অপর পক্ষের ভূখণ্ডে প্রবেশ, বহির্গমন ও ট্রানজিটের ক্ষেত্রে অনধিক ৩০ দিনের জন্য ভিসা ছাড়াই অবস্থান করতে পারবেন। এ চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য বলবৎ থাকবে। চুক্তিবদ্ধ যে কোনো পক্ষ ৯০ দিনের লিখিত নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে এ চুক্তির অবসান ঘটাতে পারবে।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক অধিকতর ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এ পর্যন্ত ৩৪ দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই হয়েছে।

ঢাকা/এএএম/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক টন ত ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যা মামলায় একজন গ্রেপ্তার

রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে নিজ বাড়িতে হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মোরছালিন (২২)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাইয়ুম তালুকদার জানান, হত্যার দুই দিন আগে মোরছালিন যোগেশ চন্দ্রের বাড়িতে টাইলস লাগানোর কাজ করেন। আজ শুক্রবার মোরছালিনকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।

আরও পড়ুনপরোপকারী দম্পতির এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

এর আগে গত শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে খুন হন মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়। পরদিন রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও তাঁদের সাড়া পাননি। একপর্যায়ে বাড়ির ভেতরে ঢুকে ওই দম্পতির রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনায় ওই দম্পতির বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় মোরছালিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুনরংপুরে নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

বিষয়টি নিশ্চিত করে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত জানানো হচ্ছে না।

আরও পড়ুনরংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ