‘হুক্কার খবর জানি না,’ লোকছড়ার বহুল প্রচলিত এ লাইন অন্যদের জন্য সত্য হলেও পাবনার নাজমুল হকের ক্ষেত্রে খাটে না। কারণ, হুঁকার খবর না জেনে তাঁর উপায় নেই। এ জিনিস সংগ্রহ করাই যে তাঁর শখ।

নাজমুল হকের সংগ্রহে আছে নানা নকশা ও আকারের প্রায় ৩৫০টি হুঁকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে এগুলো সংগ্রহ করেছেন তিনি। হুঁকার এই সংগ্রহশালার নাম দিয়েছেন তিনি ‘হুঁকালয়’। আবহমান বাংলার কৃষকের হাতে শোভা পাওয়া নারকেলের মালা দিয়ে গড়া গড়গড়া (হুঁকার আরেকটি নাম) তো আছেই, পাশাপাশি ঘরময় ছড়িয়ে আছে জমিদারদের আলিশান সব হুঁকা। তবে এগুলোর কোনোটাতেই টান দেওয়া যাবে না। কারণ, নাজমুল সাহেব ধূমপান করেন না, ধূমপানে কাউকে উৎসাহিতও করেন না; এ জিনিস সংগ্রহ করা শুধুই তাঁর শখ।

জমিদারি হুঁকা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‌‘মানসিক ভারসম্যহীন’ ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু

নেত্রকোণার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।

মদন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, “ছেলের আঘাতে মোস্তফা মিয়া নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন:

গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে গণপিটুনি, নিহত ৩

বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

নিহত মোস্তফা মিয়া একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। অভিযুক্তের নাম সাজ্জাদ মিয়া (২৫)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাজ্জাদ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি প্রায়ই অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় চলে যান। গতকাল শনিবার রাতে খাবার শেষে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মোস্তফা মিয়া। সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মোস্তফা মিয়া মারা যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

ঢাকা/ইবাদ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ