বেভারেজ পণ্যে সম্প্রতি নতুন করে বাড়তি কর আরোপে এ খাতে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্সের ব্যানারে গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে দেশীয় এবং বহুজাতিক বেভারেজ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এক আলোচনায় সকল ফ্লেভার ড্রিংকস ও ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস (কার্বোনেটেড/নন-কার্বোনেটেড বেভারেজ) পণ্যের ওপর নতুনভাবে আরোপিত বাড়তি সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য ডিউটি বৃদ্ধিতে সার্বিক ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান। 
আলোচনা সভায় অতি সম্প্রতি সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় তারা ব্যাপক হতাশা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, নতুন করে করারোপের ফলে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে পণ্যের মূল্য আরও বাড়বে, যা ভোক্তার ক্রয়সীমার বাইরে চলে যেতে পারে। ফলে বেভারেজ শিল্প আরও সংকুচিত হবে। কোম্পানিগুলোর আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি সরকারও এ খাত থেকে ব্যাপক রাজস্ব হারাবে। এমনকি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। ফলে দেশে বেকারত্ব বাড়তে পারে। 

সভায় উপস্থিত সব কোম্পানির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি আরোপিত বাড়তি সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারসহ এ খাতে সার্বিকভাবে সম্পূরক শুল্ক কমানোর জোর দাবি করেন। সম্ভাবনাময় এ খাতের সুষ্ঠু প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের অপারেশনাল ডিরেক্টর সৈয়দ জহুরুল আলম, সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন, প্রাণ গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো.

নুরুল হক, আবুল খায়ের গ্রুপের হেড অব লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স মোহাম্মদ আমিনুল হক, সজীব গ্রুপের হেড অব এইচ আর অ্যান্ড এডমিন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মাহফুজুল হক, ব্রুভানা বেভারেজের হেড অব ফাইন্যান্স মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. মাইদুল ইসলাম প্রমুখ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ