করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া গণ–অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী: এবি পার্টি
Published: 13th, January 2025 GMT
নাগরিকদের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী বলে মনে করে এবি পার্টি। দলটির নেতারা বলছেন, কোনো অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ না করে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অন্যায্য ও অদূরদর্শী।
আজ সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভ্যাট বৃদ্ধি ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এ কথা বলেন।
ভ্যাট–শুল্ক বাতিলের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লুটেরাদের মতো আচরণ আপনারা দেশের গরিব মানুষের সঙ্গে করবেন না। যেভাবে দিনকে দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে, তার ওপর আবার নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে, তাতে জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।’
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আমরা মনে করি যে ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ভ্যাট ব্যবস্থা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে উপার্জন–মুনাফাভিত্তিক একক প্রত্যক্ষ কর নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা তৈরি করা দরকার। কম সামর্থ্যের নাগরিকদের ভোগান্তিকে পুঁজি করে বাজেট বাস্তবায়ন করার আয়োজন সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফের সমাজ কায়েমের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি যুবপার্টির সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হালিম, মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব আহমাদ বারকাজ, উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুর রব, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।