সোনারগাঁও পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
Published: 15th, January 2025 GMT
সোনারগাঁও পৌরসভা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গাজী আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর এলাকার উদ্ভবগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত গাজী আমজাদ হোসেন শ্রীরামপুর গ্রামের গাজী ছলিমউদ্দিনের ছেলে। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আমজাদ সোনারগাঁ পৌরসভা আ:লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সোনারগাঁ পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের মৃত্যু হলে যুগ্ম সম্পাদক গাজী আমাজাদ হোসেন স্থলাবিষিক্ত হন। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মামলায় তার নাম থাকায় আত্মগোপনে ছিল।
ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার গাজী আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনার মামলা হওয়ার পর থেকে সে আত্মগোপনে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
আদেশ না পৌঁছায় খালাসের ৮ বছর পর মুক্ত সাগর
উচ্চ আদালতে আপিলে হত্যা মামলায় ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পান খুলনা বটিয়াঘাটার বাসিন্দা ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর। কিন্তু আদালতের সেই আদেশের কপি কারাগারে না পৌঁছানোয় তাকে বন্দি থাকতে হয় আরও ৮ বছর। তবে আদালত থেকে মুক্তির আদেশের কপি সংগ্রহের পর মুক্তি পান সাগর।
রোববার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ইব্রাহিম আলী শেখ সাগর। তিনি খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়নের চরহরিণাবাদ এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে। হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও তিনি আরও তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। এর মধ্যে একটিতে যাবজ্জীবন, একটিতে ১০ বছর ও আরেকটিতে সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত। এর আগে যাবজ্জীবন সাজার মামলাও তিনি খালাস পান। বাকী দুটি মামলায় ইতোমধ্যে সাজার মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ইব্রাহিম আলী শেখ সাগরকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে মামলাটি উচ্চ আদালতে গেলে ২০১৭ সালে খালাস পান তিনি। কিন্তু কারাগারে তার মুক্তির আদেশ আট বছরেও পৌঁছায়নি। কারাগারে রিলিজ অর্ডার (মুক্তির আদেশ) না আসায় তিনি বন্দি ছিলেন।
বিষয়টি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারকে অবহিত করে সাগরের পরিবারের লোকজন। এরপর কারাগারের পক্ষ থেকে সংলশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ইব্রাহিম আলী শেখ সাগরের মুক্তির আদেশ (রিলিজ অর্ডার) যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম বলেন, ইব্রাহিম উচ্চ আদালতে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেও মুক্তির আদেশ না পাওয়ায় তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। উচ্চ আদালতে যোগাযোগ করে কাগজ পাওয়ার পর যাচাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।