Samakal:
2025-05-01@14:05:00 GMT

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি

Published: 15th, January 2025 GMT

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হয়েছে। গতকাল বুধবার কাতারের রাজধানী দোহায় দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা এ চুক্তিতে সই করেন।

চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি সরাসরি উপস্থিত থেকে দুই পক্ষকে চুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে ১৫ মাস ধরে চলা সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী লড়াইয়ের অবসান হতে যাচ্ছে।

চুক্তি হওয়ার পরপরই সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে জিম্মি মুক্তিতে একটি চুক্তি হয়েছে। তারা শিগগিরই মুক্তি পাবে।

কয়েক মাস ধরে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছিল। বারবার চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত চুক্তি করা যাচ্ছিল না। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর সে অনুযায়ী তিনি দূত পাঠিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যান। এ প্রেক্ষাপটে দুই পক্ষ চুক্তিতে পৌঁছাল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। জিম্মি করে ইসরায়েলের ২৫০ বাসিন্দাকে। এর জেরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গাজায় ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েন। ৮০ শতাংশ বাড়িঘর স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র– সব জায়গায় বেপরোয়া হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করে ইসরায়েল। 

শুরুর দিকে যুদ্ধবিরতিতে শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তবে শেষ পর্যন্ত ৯৪ জন জিম্মি হামাসের হাতে ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছেন বলেই ধরে নেওয়া হয়। চুক্তির ফলে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিবিসির রুশদি আব্দুল রউফ বলেন, এ চুক্তির কারণে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি তাদের তাদের নিজ গ্রাম, শহর ও বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। এ চুক্তির অধিনে ৬০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় সরবরাহের অনুমোদন রয়েছে। এগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রিও যাবে। এছাড়া জ্বালানিবাহী ৫০টি লরিও গাজায় পাঠানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্প এটাকে ‘ঐলতিহাসিক জয়ে’র পর ‘মহাকাব্যিক চুক্তি’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে আমাদের ঐতিহাসিক বিজয়ের কারণে মাহকাব্যিক চুক্তি’ সম্ভব হয়েছে। 

আল জাজিরা জানায়, মধ্যস্ততায় সাফল্যের পর কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান জসিম আল থানি হামাস ও ইসরায়েলের আলোচনাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী ধাপে ধাপে নেটজারিম করিডোরের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের সেনাদের গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।

দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।

ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেন, রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চাল ও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাল–তেলের দাম বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাহলে জনগণ এখন তাদের এমন ভোগান্তির কথা কার কাছে, কোথায় কীভাবে বলবে?

নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঢাকা, ১ মে

সম্পর্কিত নিবন্ধ