এবারের বইমেলায় আসছে জামশেদ নাজিমের ‘মৃত্যু কখনো কখনো জরুরি হয়’
Published: 21st, January 2025 GMT
চলতি বছরের বইমেলায় আসছে সাংবাদিক ও লেখক জামশেদ নাজিমের পঞ্চম উপন্যাস ‘মৃত্যু কখনো কখনো জরুরি হয়’। ‘একটি গল্পের গল্প’ উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘গল্পটির বাকি অংশ’ পাঠক প্রিয়তা পাওয়ার পর থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি লেখালেখিতে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন তিনি।
জামশেদের তৃতীয় উপন্যাস ‘আবেগ জল ডুবি’ উপন্যাস বাংলাদেশ ও ভারতের পাঠকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলে। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ‘নিষিদ্ধ নাগরিক’ উপন্যাস পৃথকভাবে অমর একুশে বইমেলা ঢাকার ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ ও আন্তর্জাতিক বই মেলায় কলকাতার অভিযান পাবলিসার্স থেকে প্রকাশিত হয়। ওই বছর মেলায় ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের বেস্টসেলার হয় উপন্যাসটি।
এ বছর বইমেলায় আসছে তার থ্রিলার বই ‘মৃত্যু কখনো কখনো জরুরি হয়’। উপন্যাসটি সম্পর্কে প্রকাশক আদিত্য অন্তর বলেছেন, জামশেদ নাজিমের লেখা নিষিদ্ধ নাগরিক উপন্যাস দিয়ে ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের লেখক হন জামশেদ নাজিম। নিষিদ্ধ নাগরিক উপন্যাসটি বই মেলায় ভীষণ পাঠক টেনেছে। এক মাসের মধ্যেই উপন্যাসটির দুটি মুদ্রণ শেষ হয়ে যায়। পরের বছর বই মেলা ওই উপন্যাসটি সমানতালে বিক্রি হয়েছে। নিষিদ্ধ নাগরিকের পাশাপাশি ‘মৃত্যু কখনো কখনো জরুরি’ হয় উপন্যাসটি আরও বেশি পাঠকপ্রিয়তা পাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ১০ শ্রমিক আহত
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ‘বিদ্রোহী’ ছাত্রাবাসের পাশে একটি ১০ তলা ছাত্রাবাস নির্মিত হচ্ছে। নির্মাণাধীন ছাত্রাবাসের নিচতলায় একটি বারান্দার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। আজ সকাল থেকে ঢালাইয়ের কাজ চলতে থাকে। কিন্তু বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিকট শব্দে ধসে পড়ে পুরো ছাদ। এ সময় সেখানে কাজ করা অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) এস এম জিয়াউল বারী বলেন, আহত অবস্থায় ১০ শ্রমিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আজ দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। ছাদ ঢালাই দেওয়ার জন্য খুঁটিগুলো ছিল দুর্বল। অনেক স্থানে লোহার পাইপের পরিবর্তে খুঁটি হিসেবে বাঁশ ও পাটের দড়ি ব্যবহার করা হয়। দুর্বল কাঠামোর কারণেই ছাদ ধসে যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, ১০ তলা ভবনের নিচে বারান্দার অংশের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। নির্মাণকাজ করছিল সিএসআই নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছাদ ধসে কয়েকজন শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কী কারণে ধসে পড়ল, কারও গাফিলতি আছে কি না, তা তদন্তে দেখা হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।