ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কোলাজেন খুবই উপকারী। ভালো ত্বকের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোলাজেন এমন এক ধরনের প্রোটিন, যা ত্বকের একটি প্রধান বিল্ডিং ব্লক এবং ত্বকের গঠন, শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যারা ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে চান প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাদের কিছু ফল যোগ করা উচিত। যেমন-

কমলা: কমলালেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এই ফল শরীরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। দূষিত পদার্থ এবং সূর্যের সংস্পর্শে ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কমলা মুখের উজ্জ্বলতা বেজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি বা দুটি কমলা খেলে কালো দাগ ও ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যায়।

বেরি: সব ধরনের বেরি, যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং ক্র্যানবেরি কোলাজেন সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল। সব বেরিতেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি থাকায় এই জাতীয় ফল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও বেরিতে রয়েছে এলাজিক অ্যাসিড, যা ত্বককে ইউভি ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।

গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল: আনারস, কিউই, প্যাশন ফল, আম এবং পেয়ারার মতো ফল কোলাজেন বাড়ায়। এসব ফল শুধু খেতেই সুস্বাদুই নয়, শরীরকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এর পাশাপাশি পেঁপেতে প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে, যা ত্বকের এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্য বলে পরিচিত।

আঙ্গুর ফল : আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সাহায্য করে। আঙ্গুর খেলে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড পুনরায় পূরণ করতে সাহায্য করে, যা আপনাকে আরও কোলাজেন বুস্ট দিতে পারে।

অ্যাভোকাডো: এই ফলটি অনেক স্বাস্থ্য উপকারী এবং সুস্বাদুও। অ্যাভোকাডো খেলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। সেই সঙ্গে ত্বক নরম ও কোমল হয়। এতে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর থ ক য় এই পর ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ