বন্দরে দুই ছিনতাকারীকে পুলিশে দিলা জনতা
Published: 22nd, January 2025 GMT
বন্দরে দিন দুপুরে ২ ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা। আটককৃত ছিনতাইকারীরা হলো বন্দর উপজেলার চর ঘারমোড়া এলাকার মৃত নূর জামাল মিয়ার ছেলে রাসেল (৩৫) ও একই এলাকার মিজান মিয়ার ছেলে মিশুক চালক রিপন (৩২)।
বুধবার (২২ জানুয়ারী) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া এলাকা থেকে এদেরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। এর আগে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় বন্দর বালুচর এলাকায় ওই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ঘারমোড়া এলাকার জহির উদ্দিন মিয়ার ছেলে সনেট (২৮) তার আত্মীয় বাড়ি বালুচর এলাকায় দাওয়াতে যায়।
ওই সময় ছিনতাইকারী রাসেল ও রিপনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন দাওয়াতে আসা যুবক সনেটকে রাস্তা থেকে জোর পূর্বক তুলে নির্ঝন এলাকায় নিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
বুধবার সকালে ভুক্তভোগী যুবক সনেট উল্লেখিত ছিনতাইকারিদের চিন ফেললে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ঘারমোড়া এলাকা থেকে এদেরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।