সিনেমার প্রস্তাব দিলেও ভয়ে রাজি হইনি: ফারিয়া
Published: 23rd, January 2025 GMT
ঢাকাই চলচ্চিত্রের এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং কলকাতার এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘আশিকী’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এরপর দুই বাংলার বেশ কিছু সিনেমায় তাকে দেখা গেছে। জাজের মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখলেও দীর্ঘদিন ধরে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাকে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হঠাৎ জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের সঙ্গে দেখা গেল ফারিয়াকে। এই প্রযোজকের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
নুসরাত ফারিয়া বলেন, “২০১৪ সালে কাতারে চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠের গ্র্যান্ড ফিনালে আজিজ ভাই আমাকে প্রথম পারফর্ম করতে দেখেন। এরপর অনেকবার সিনেমায় অভিনয়ের অফার করলেও ভয়ে রাজি হইনি। ২০১৫ সালে কলকাতায় বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে আবার দেখা। এরপর আমার প্রথম সিনেমা জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে।”
আরো পড়ুন:
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মদিন আজ
‘ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার আগে, আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাই’
দীর্ঘ ৭ বছর পর প্রযোজক আব্দুল আজিজের দেখা পেয়ে উচ্ছ্বসিত নুসরাত ফারিয়া বলেন, “২০২৫ সালে আমার সিনেমা ক্যারিয়ারের ১০ বছর হবে। এই লোকটাকে ছাড়া এই স্বপ্ন কোনো দিনও পূরণ হতো না। অনেক কিছু বদলে গেছে আশেপাশে। কিন্তু উনার ভালো কাজ করার আগুনটা কমেনি। আজ ৭ বছর পর দেখা, ঘরের মেয়ে ঘরে আসার মতো আনন্দ।”
নুসরাত ফারিয়ার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। নেটিজেনদের অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন— ফের কি জাজের ব্যানারে নতুন কোনো কাজে দেখা যাবে ফারিয়াকে? যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।