যে কারণে পুরোনো ঠিকানায় ফিরলেন নুসরাত ফারিয়া
Published: 23rd, January 2025 GMT
গল্পটা ২০১৫ সালে। উপস্থাপনা থেকে সিনেমার নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয়েছিল নুসরাত ফারিয়ার। চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে সিনেমা জগতে পা রেখেছিলেন তিনি। মুক্তি পেয়েছিল তার প্রথম সিনেমা ‘আশিকী’।
যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সেই সিনেমায় নুসরাত ফারিয়ার নায়ক হিসেবে ছিলেন কলকাতার অঙ্কুশ হাজরা। সেই যে শুরু, পর পর বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ঢাকার চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের আলাদা জায়গাও তৈরি করেছেন। উপস্থাপিকা থেকে হয়ে উঠেছেন চিত্রনায়িকা। দেখতে দেখতে এই বছরে তার সিনেমার নায়িকা হওয়ার দশ বছর হলো। সেই তথ্য জানিয়ে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজের সঙ্গে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন নুসরাত ফারিয়া। সেখানে তাঁর নায়িকা জার্নির গল্প বলেছেন। সেইসঙ্গে বলেছেন, ‘জাজ আমার কাছে অন্যরকম আবেগের একটি নাম। যখনই তারা আমাকে ডাকবে গল্প-চরিত্র পছন্দ হলে অবশ্যই আমি কাজ করব।’
জাজের নায়িকা হলেও প্রায় সাত বছর হয় এই ঘরের সিনেমায় নেই ফারিয়া। জাজও নেই আগের অবস্থানে। হঠাৎ করে ফারিয়া কেন পুরোনো ঘর নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করলেন? জানা গেছে তার হেতু। শিগগিরই জাজের নতুন সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। হাউসটির ‘জ্বীন ৩-মা’ নামের সিনেমাতে এবার নেওয়া হয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে। অভিনেতা সজলের বিপরীতে থাকছেন নুসরাত। সম্প্রতি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে জাজ ও নুসরাত কেউ কিছুই জানায়নি। তবে জানা গেছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুটিং শুরু হবে। প্রথম দিন থেকেই অংশ নেবেন ফারিয়া।
পূজা চেরি ও সজলকে নিয়ে প্রথম ‘জ্বীন’ বানিয়েছিল জাজ। গত বছর রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ‘জ্বীন ২-মোনা’। কামরুজ্জামান রোমানের পরিচালনায় সিনেমাটি প্রযোজনা করে জাজ মাল্টিমিডিয়া। এবার তারই সিকুয়াল হচ্ছে ‘জ্বীন ৩-মা’। এবারও ছবিটি পরিচালনা করবেন রোমান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।