টেকনাফে রোহিঙ্গাসহ অপহৃত ১৫ জন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
Published: 24th, January 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফ পাহাড় এলাকা থেকে ১০ রোহিঙ্গাসহ অপহৃত ১৫ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে টেকনাফের বাহারছড়ার নুরুল ইসলাম মেম্বারের বসতবাড়ির পেছনের পাহাড়ের চূড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি ও ১০ জন রোহিঙ্গা। গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো.
পুলিশ সূত্র জানায়, অপহরণকারী চক্রটি ভিকটিমদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ১৬-১৭ দিন আগে ধাপে ধাপে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাদের আটক করে রাখে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, অপহরণকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধে জড়িত। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এসপি রহমত উল্লাহ আরও বলেন, উদ্ধার করা ভিকটিমদের নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের ঘটনায় ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
বন্দরে দুই যুবককে অপহরণের পর ২ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (১১ জুন) রাতে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার গ্রামে অপহরণের এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দরের মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার হাজী শহিদুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান শিশির (৩৫), বন্দরের নেহাল সরদারেরবাগ গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া(২৯) ও সোনারগাঁ উপজেলার নাজিরপুর বড়বাড়ি গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন (২৮)।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম কেওঢালা এলাকার ফয়েজ আহমেদের ছেলে রনি( ৪০), বাবুল (৪৮) ও অপুসহ ১০-১২ জন অপহরণকারী। এ ব্যাপারে অপহরণের শিকার ফাহিমের (১৭) এর মামা হৃদয় হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বন্দর থানায় মামলা করেছেন।
মামলার বাদী হৃদয় হোসেন জানান, ভাগ্নে ফাহিম ও তার বন্ধু মোহন মিয়া বুধবার রাত নয়টার দিকে তাদের আরেক বন্ধু অপুর সাথে দেখা করতে বন্দরের লাউসার এলাকার জনৈক জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণকারীরা দুজনকে একটি কক্ষে আটকে রাখে।
তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানতে পেরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ তে কল করে পুলিশকে জানান। পরে বন্দর থানা পুলিশ ফাহিম ও মোহনকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, অপহরণ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।