শত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও জাতীয় প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব- এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। জনগণের কল্যাণে কে কত অগ্রগামী এই চেষ্টা/ডিবেট থাকবে।”

আরো পড়ুন:

ফারুকীকে উপদেষ্টা করায় হেফাজতের নিন্দা

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক

“তবে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফ্যাসিবাদী শক্তি ব্যতীত কারো সাথে কারো শত্রুতা থাকবে না।”

আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, “শত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও জাতীয় প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। সব আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে, এ দেশের সার্বভৌমত্ব ও ডিগনিটির প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত ডিগনিটির প্রশ্নে এই অঞ্চলের মানুষ কখনো ছাড় দেয়নি।”

“আমরা আবারো মধ্যযুগের মতো স্বয়ংসম্পূর্ণ বেঙ্গল হিসেবে গড়ে উঠব। পরাশক্তিগুলো আমাদের স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে বিবেচনা করতে বাধ্য হবে। অর্থনৈতিক, সামাজিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিবেশীদের জন্য ঈর্ষার কারণ হবে বাংলাদেশ।”

“এর জন্য প্রয়োজন মতানৈক্য সত্ত্বেও কিছু বেসিক প্রিন্সিপালে সবার ঐকমত্য। তাহলেই বহিঃশত্রুরা আমাদের আমাদেরই বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে না। ক্ষুদ্র ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান পাবে জাতীয় স্বার্থ।”

“এমন একটা বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। এমন বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির মধ্যে ঐক্যের বোঝাপড়া থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।”

ঢাকা/এনএইচ/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ দল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’

ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ