অধিকৃত পশ্চিম তীরে গতকাল শুক্রবারও অভিযান চালিয়ে ইসরায়েল। এ অবস্থায় জেনিন শরণার্থী শিবির ও আশপাশের এলাকা থেকে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার অন্যত্র সরে গেছে। আটক করা হয়েছে ফিলিস্তিনের ২২ বাসিন্দাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখন পশ্চিম তীরকে টার্গেট করছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। 

জেনিনের গভর্নর আবু আল রুব এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ড্রোন ও সামরিক যানবাহনে লাউড স্পিকার ব্যবহার করে শরণার্থী শিবির খালি করার নির্দেশ দেয়। এর পরই ক্যাম্পের শত শত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ইসরায়েলের পাবলিক রেডিও জানিয়েছে, ২ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়েছেন। এ অবস্থায় আইডিএফ পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, ইসরায়েলের বাহিনী পশ্চিম তীরজুড়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা জোরদার করেছে। জেরিকো থেকে রামাল্লা পর্যন্ত শহরগুলোতে আরও তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। ফলে অঞ্চলজুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

জেনিন ক্যাম্পের জুরেট আল-ধাহাবপাড়া থেকে পালিয়ে আসা ৬৫ বছর বয়সী সালেহ আম্মার বলেন, তিনি নিজের চোখে দেখেছেন ১২টি ইসরায়েলি বড় বুলডোজার তারা শহর ধ্বংসের জন্য আনে। ভয় দেখিয়ে শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এমনকি ছাদ থেকে স্নাইপার স্থাপন করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী ক্যাম্পটি ধ্বংস করে গাজার জাবালিয়ার মতো করে তুলতে চায়।

এদিকে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই নতুন স্বপ্ন দেখছেন বাসিন্দারা। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, যুদ্ধবিরতির পর সেখানে দৈনিক ত্রাণ চাহিদা ১০ গুণ বেড়েছে। প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা ৬০০ ট্রাক ছাড়িয়ে গেছে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখতে তাৎক্ষণিক তহবিল বাড়ানো প্রয়োজন। এ বছর ফিলিস্তিনিদের জন্য ৪১০ কোটি ডলারের সহায়তা জরুরি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল শরণ র থ

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫: বিজ্ঞানে ভালো নম্বর পাওয়ার ৮টি টিপস

প্রিয়,

এসএসসি পরীক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিষয়টি মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জন্য। তোমাদের জন্য বিষয়টি একটু কঠিন, ভালো করে রিভিশন দিলে তা সহজ হবে। এ বিষয়ে কীভাবে পরীক্ষায় ভালো নম্বর তোলা যায়, তার টিপস। পুরো পাঠ্যবইতে অধ্যায় রয়েছে ১৪টি। পরীক্ষায় প্রশ্ন কিন্তু পুরো বই থেকেই হবে।

দেখে নাও নম্বর বিভাজন

পরীক্ষায় পুরো বিজ্ঞান বই থেকে বহুনির্বাচনি অংশে মোট ৩০টি প্রশ্ন থেকে সব কটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। নম্বর থাকবে ১x৩০, অর্থাৎ ৩০ নম্বর। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য বরাদ্দ থাকবে ১ নম্বর করে। আর সৃজনশীল অংশে প্রশ্ন থাকবে ১১টি। ১১টি প্রশ্ন থেকে যেকোনো ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। নম্বর থাকবে ৭x১০, অর্থাৎ ৭০ নম্বর।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫

গুরুত্ব দাও পাঠ্যবই

এবারের এসএসসি পরীক্ষা বিজ্ঞানের পুরো সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে হবে। ভূগোল ও পরিবেশ বিষয় কিন্তু অনেক তথ্যভিত্তিক, সিলেবাসও বেশ বড়। মনোযোগ দিয়ে বুঝে পড়লেই ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। সঠিক প্রস্তুতিই তোমাকে সৃজনশীল প্রশ্ন সহজে বুঝতে এবং বহুনির্বাচনি অংশে অধিক নম্বর তুলতে সহায়তা করবে।

বহুনির্বাচনি অংশ

বহুনির্বাচনিতে ভালো করতে নির্ধারিত অধ্যায়গুলো খুব ভালোভাবে রিভিশন দেবে। প্রতিটি অধ্যায়ে অনেক বিজ্ঞানীর নাম, রক্তের বিভাগের নাম, ভিটামিনের নামসহ বিভিন্ন বিষয়ে মনে রাখতে হবে। হৃদ্‌যন্ত্রের যত কথা, পলিমার, জীবপ্রযুক্তি, দেখতে হলে আলো চাই, অম্ল, ক্ষারক ও লবণের ব্যবহার অধ্যায়টি বহুনির্বাচনিতে ভালো করলেই সহজে বেশি নম্বর উঠবে। বহুনির্বাচনি অংশে প্রশ্নের উত্তর তোমাকে খুব বুঝে করতে হবে। এটাই তোমার জিপিএ বাড়াতে সাহায্য করবে।

সৃজনশীল অংশ

সৃজনশীল অংশের প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই চার ধাপে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে লিখবে। প্রতিটি প্রশ্ন জ্ঞানমূলক, অনুধাবন মূলক, প্রয়োগমূলক ও উচ্চতর দক্ষতা অংশকে প্যারা করে লিখবে। এতে পরীক্ষক খুব সহজেই তোমার লেখা উত্তর বুঝতে পারবে। তবে উত্তর লেখার সময় খেয়াল রাখবে, যাতে নির্দিষ্ট সময়ের লেখা শেষ করতে হবে। উত্তরে কোনো ধরনের অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখবে না। অনেক পরীক্ষার্থী অযথাই অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখে খাতা ভরিয়ে রাখে। এটা কখনোই করবে না ।

আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের২৮ এপ্রিল ২০২৫

রিভিশন দাও

মনে রেখো, বিজ্ঞান পরীক্ষার আগে সময়কে ঠিকভাবে কাজে লাগাবে। পরীক্ষার আগে সময় নষ্ট না করে সময়কে কাজে লাগাও, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করো, রিভিশন দাও, দেখবে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। লেখা শেষে অবশ্যই পুরো খাতা ভালো করে রিভিশন দেবে। রিভিশন দিলেই চোখে পড়বে পরীক্ষার খাতায় কোনো ভুল আছে কি না। আর ভুল থাকলে তা সহজেই ঠিক করতে পারবে। তাই রিভিশনের বিষয়টি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।

কয়েকটি দরকারি কথা

১. জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর সঠিক হতে হবে। সংজ্ঞা বা কাকে বলে ধরনের প্রশ্নের উত্তর লিখতে কখনো বানিয়ে লিখবে না।
২. অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর লিখতেও পাঠ্যবই অনুসরণ করবে।
৩. খাদ্যের উপাদান, রক্তের উপাদান, সুষম খাদ্যের উপাদান ঠিকমতো বুঝে পড়বে।
৪. আলো প্রতিসরণ, লেন্সের ক্ষমতা, তন্তুর ব্যবহার, মাটির গঠন নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন হবে।
৫. অম্ল, ক্ষারক ও লবণের ব্যবহার অধ্যায়ে অনেক রাসায়নিক বিক্রিয়া রয়েছে, তা ঠিকমতো লিখবে।
৬. দুর্যোগের সঙ্গে বসবাস অধ্যায়ে ভূমিকম্প অংশটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৭. জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান অধ্যায় থেকে বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল প্রশ্ন হতে পারে।
৮. বিজ্ঞানে বেশ কিছু কঠিন নাম রয়েছে, তার বানান সঠিকভাবে লিখবে।

লেখক: মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান, প্রভাষক, রূপনগর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার দুই মাস বাকি, পরীক্ষার্থীদের করণীয় ১০ পরামর্শ৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ