ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতলেই সরাসরি ২০২৫ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ। তবে সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলো টাইগ্রেসরা। সেন্ট কিটসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয় নারীদের কাছে ৮ উইকেটে হেরে যাওয়ায় সিরিজের পাশাপাশি সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগও হাতছাড়া হলো নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। তবে এখনো সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হতে পারলেই মিলবে বিশ্বমঞ্চে খেলার টিকিট।  

শুক্রবার রাতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। শুরুটা ভালো হলেও ইনিংস মেরামতের পথে বড় ধস নামে টাইগ্রেসদের ব্যাটিং অর্ডারে। ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান থেকে এক পর্যায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৯৪। তবে সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪৩.

৫ ওভারে মাত্র ১১৮ রানে অলআউট হয় লাল-সবুজের দল।  

টপ অর্ডার ব্যাটার ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তার শুরুতে ধীরগতিতে ৫০ রানের জুটি গড়লেও কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শারমিন আউট হন ৩৭ রানে, আর ফারজানা যোগ করেন ২২ রান। তাদের বিদায়ের পর সোবহানা মোস্তারি ৬২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেললেও অন্য প্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।  

১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা তোলে ৪৫ রান। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস আউট হলেও ৩৯ রান করেন কিয়ানা জোসেফ। আর ডিয়ান্দ্রা ডটিনের ঝোড়ো ১৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।  

নারী বিশ্বকাপে ইতোমধ্যে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভারত। বাংলাদেশের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজও সরাসরি খেলতে পারছে না, যদিও তারা সুপার লিগে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে অষ্টম স্থানে রয়েছে।  

এখন পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাছাইপর্বে খেলবে বাংলাদেশ। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। এখন টাইগ্রেসদের তাকিয়ে থাকতে হবে বাছাইপর্বে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার দিকে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ