বাংলাদেশের সব সরকার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দাবি করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এটি এক ধরনের দাবি হলেও জনগণের কাছে এটি ছিল প্রত্যাশা। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চেয়ে এসেছি। 

ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। আমাদের মানচিত্রের তিন দিক ঘিরেই ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান কখনোই আমারা অস্বীকার করি না। কিন্তু শুধু মধুর অতীত নিয়ে কোনো সম্পর্ক টিকে থাকতে পারে না। যে কোনো সম্পর্কে নতুন নতুন মাত্রা যোগ করতে হয়। সম্পর্ককে সামনে এগিয়ে নিতে হলে দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হয়। অথচ গত ৫৩ বছরে ভারতের দিক থেকে দেখা গেছে এর বিপরীত চিত্র।

স্বাধীনতার পাঁচ বছর পরেই পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে মওলানা ভাসানীকে লংমার্চ করতে হয়েছিল। আজও অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারিনি। তিস্তা নিয়ে কথা হচ্ছে বহু বছর। শুষ্ক মৌসুমে পানি না পাওয়া, ভরা মৌসুমে বানের পানি ছেড়ে দেওয়া যেন সাধারণ বাস্তবতা। এ ছাড়া ভারসাম্যহীন বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দাবিকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করছে। 
দুই দেশের সম্পর্কের পারদ যতে উষ্ণ বা শীতলই থাকুক; সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দুই দেশের মাঝে বিরাজ করছে শীতলতম সম্পর্ক। এর মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ উষ্ণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। 

বাস্তবত হচ্ছে, গত ১৬ বছরে দুই সরকারপ্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক উচ্চতায় পৌঁছালেও দুই দেশের জনগণের মাঝে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়নি, বরং তা তলানিতে ঠেকেছে। তিন তিনটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহণ ও অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যের সুযোগ নিয়েছে। এর ফলে ধীরে ধীরে ভারত বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র থেকে বড় দাদাসুলভ এক প্রতিবেশীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি তারই অংশ। অবশ্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি কখনোই খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। প্রতিবছর এখানে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। 
অথচ সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশে প্রায়শ তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত পতাকা বৈঠকও হয়। একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বারবার। কিন্তু সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, বরং উত্তেজনা বাড়ছেই।

এদিকে এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচারও হয় না। এজন্য বিএসএফকে জবাবদিহির আওতায় আনা যায়নি। ফলে হত্যাকাণ্ড আরও বাড়ছে। সীমান্তে এত হত্যাকাণ্ডের নজির বিশ্বে বিরল। সীমান্তে এভাবে নিরীহ বেসামরিক লোকদের হত্যা করা নিশ্চিতভাবেই ফৌজদারি অপরাধ। ভারতের ফৌজদারি আইন তো বটেই, আন্তর্জাতিক আইনেও এগুলো অপরাধ। কেউ সীমান্ত লঙ্ঘন করলে তাকে গ্রেপ্তার বা পুশব্যাকের সুযোগ আছে। কিন্তু নিরীহ মানুষকে এভাবে সরাসরি গুলি করে হত্যার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। 

সীমান্তে বিএসএফের বর্বরতার নজির হয়ে আছে ফেলানী। ওই কিশোরীকে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। ১৪ বছর হয়ে গেল; আজও বাংলাদেশ ফেলানী হত্যার বিচার পায়নি। ফেলানী হত্যার জন্য দায়ী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের বিচার তো ভারত করেইনি, উপরন্ত তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। বিষয়টি পরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। যদিও সেখানে ফেলানীর মামলার শুনানি অজ্ঞাত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত।

বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্রই নয়; দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২২-২৩ সালে এ দু্ই দেশের মধ্যে প্রায় ১৫.

৯ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছর গড়ে ২৫ লাখ বাংলাদেশি ভারতে যায় চিকিৎসা বা পর্যটনে। কিন্তু ভারত সবকিছুকে উপেক্ষা করে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়েই চলেছে।
বিদ্যমান সীমান্ত হত্যার সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে ভারত কর্তৃক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ। বিজিবি সব জায়গায় এর প্রতিবাদ করেছে। এর ফলে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ স্থগিত রেখেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বলেছেন, ভারত বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ীই বেড়া নির্মাণ করছে। আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী নো ম্যানস ল্যান্ডের ১৫০ গজের ভেতরে কোনো পক্ষই স্থায়ী কোনো স্থাপনা বা বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না। তাহলে প্রশ্ন, বিগত সরকার ভারতের সঙ্গে কী চুক্তি করেছে? বাংলাদেশ কি ভারতকে ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া নির্মাণের জন্য সম্মতি দিয়েছে? যদি তা-ই হয়, তবে বর্তমান সরকারকে এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।

আমরা ভারতের সঙ্গে অবশ্যই সুসম্পর্ক চাই। পারস্পরিক স্বার্থকে উপেক্ষা করে কোনো ‍সুসম্পর্কই টেকসই হতে পারে না। কিছুদিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ‘কোনো একক রাজনৈতিক দল’ বা একটি সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ‘বাংলাদেশের জনগণ’-এর সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় ভারত। আমরাও সেটা বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু রক্তাক্ত সীমান্ত পার হয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কীভাবে হতে পারে?

শুধু সীমান্তে শান্তি নয়; বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক তথা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও উন্নয়নের জন্যই ভারতকে তার প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাম্য ও সমতা দুটোই দরকার। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যও এর বিকল্প নেই।

এরশাদুল আলম প্রিন্স: আইনজীবী, প্রাবন্ধিক
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি-জামায়াত দেশকে অন্য এক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে অনৈক্যের সুর দেখতে পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘এই বিভেদ এবং অনৈক্য উসকে দিয়েছে বাংলাদেশের একটি বড় পার্টি, সেটা হলো বিএনপি। অভ্যুত্থানের পরে যদি ইতিহাসে লেখা থাকে, প্রথম কোন দল বাংলাদেশে অনৈক্য জন্ম দিয়েছে? সেটা হলো বিএনপি।’ একে ‘অসুস্থ রাজনৈতিক চর্চা’ উল্লেখ করে এখান থেকে সরে আসতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন কোন পথে’ শীর্ষক সেমিনারে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথাগুলো বলেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে দলের যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জামায়াত প্রশ্ন নিয়ে এসেছে, লোয়ার হাউসে (নিম্নকক্ষে) পিআর; বিএনপি প্রশ্ন নিয়ে এসেছে, নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত); এগুলো নিয়ে তারা সরকারের সাথে বার্গেইন (দর–কষাকষি) করতে চায়—কোথায় ডিসি নিয়োগ দিবে, কোথায় এসপি নিয়োগ দিবে? জাতি যখন সংকটে, এই দুই দল বাংলাদেশকে অন্য একটা সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’

গণভোটের প্রসঙ্গ তুলে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে এটি বাংলাদেশের জনগণের বিজয় হবে। তিনি বলেন, ‘এটা তো জামায়াতে ইসলামীর জয় হবে না। এ জন্য আমরা জামায়াতে ইসলামীর কাছে আহ্বান রাখব, ভণ্ডামি বাদ দেন আপনারা। ভণ্ডামি বাদ দিয়ে অন্তরে কী আছে, একটু খুলে বলেন।’

অসুস্থ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান

নোট অব ডিসেন্টের (ভিন্নমত) বিষয়ে বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘নোট অব ডিসেন্টের বিষয়ে সালাহউদ্দিন সাহেব (সালাহউদ্দিন আহমদ) বলেছেন, কমিশনে যে নোট অব ডিসেন্টগুলো দিয়েছে, আমি সেগুলোকে বলব, “নোট অব ডিসেন্ট” নয় “নোট অব চিটিং”। ঠিক এই “নোট অব চিটিং”য়ের মাধ্যমে তারা পুরো বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সাথে প্রতারণা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতারণাটা বাংলাদেশের তরুণ ছাত্র–জনতার কাছে ধরা পড়েছে।’

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ‘ভেটো’ দিয়েছে উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অথচ তারা (বিএনপি) একটা সময় এটা চেয়েছিল।’

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) নিরপেক্ষ হওয়ার প্রস্তাবে বিএনপির ভিন্নমতের সমালোচনা করেন নাসীরুদ্দীন। নিরপেক্ষ পিএসসি ও দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) গঠনের দাবি জানান তিনি।

জাতীয় পার্টি সম্পর্কে বিএনপিকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘এই কুসুম কুসুম প্রেম আপনারা আওয়ামী লীগের সাথে দিয়েছিলেন। এখন জাতীয় পার্টির সাথে দিচ্ছেন, জাতীয় পার্টি সম্পর্কে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, “‘নোট অব চিটিং” বাংলাদেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নিবে না। এবং এই “নোট অব চিটিং”য়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বিএনপি যে ধরনের অসুস্থতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, আমরা তাদেরকে আহ্বান জানাব যে আপনারা এই সব কার্যক্রম থেকে সরে আসুন। নতুনভাবে বাংলাদেশের মধ্যে রাজনীতি করুন।’

‘নিম্নকক্ষে পিআর জামায়াতের ভণ্ডামি’

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশে জামায়াত একটা “বাইট” দেওয়ার চেষ্টা করছে যে তারা খুব সংস্কারের পক্ষে। কিন্তু বিএনপি খারাপ হলেও একদিকে ভালো যে তারা যে সংস্কারের বিপক্ষে, এটা জনগণের সামনে সরাসরি বলে। আর জামায়াত হলো এমন যে মনে বলে সংস্কারের বিপক্ষে; মুখে তারা বলে সংস্কারের পক্ষে। আমরা এখনো সুপারিশমালার কোনো সমাধান করতে পারি...তারা নতুন করে মার্কেটে নিয়ে এসেছে গণভোট হবে।’

জামায়াতে ইসলামীকে সঠিক জায়গায় কথা বলার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘সঠিক জায়গায় কথা বলুন, বেজাগায় কথা বলিয়েন না। ’৭১–এ আপনারা (জামায়াতে ইসলামী) উল্টাপাল্টা কাজ করেছিলেন, ’২৪–এ এসে এখন উল্টাপাল্টা কাজ শুরু করেছেন। এ জন্য জামায়াতে ইসলামীকে আমরা বলব, গণভোট নিয়ে জনগণের আতঙ্ক সৃষ্টি না করে, সংস্কারের জন্য নোট অব ডিসেন্টের প্রক্রিয়াগুলো কীভাবে সমাধানে পৌঁছতে পারি, আদেশটা কীভাবে জারি করা যায়?... সে বিষয়ে আপনার দাবি তোলা উচিত। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে মনে করি, জামায়াত যে দাবিগুলো তুলছে, লোয়ার হাউসের পিআর...এগুলো হলো জামায়াতের ভণ্ডামি, এগুলো হলো কিছু সিটের (আসন) বার্গেনের (দর–কষাকষি) জন্য।’

এনসিপির রাজনীতির একটি সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা সেই সম্ভাবনার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা দেখছেন, আপনারা বিচার করবেন। পুরো বাংলাদেশ বিচার করবে।’ এনসিপির নেতাদের গাড়ি–বাড়ি অর্জনের অভিযোগও নাকচ করেন তিনি। এ ছাড়া প্রতীক হিসেবে এনসিপিকে শাপলা বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বানও জানান নাসীরুদ্দীন।

‘জনতা বঙ্গভবনে যাবে’

দেশবাসী উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তির জন্য গণ–অভ্যুত্থানের সরকারপ্রধান উপদেষ্টার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালা দ্রুত আদেশ জারি করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাঁদের আবেদন থাকবে।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার প্রধান উপদেষ্টার উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসকে বাংলাদেশের সামনে অতিসত্বর শহীদ মিনারে গিয়ে জনগণের সামনে উপস্থিত হয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির আদেশ জারি করতে হবে। যদি সে ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হয়, তাহলে সেটা আমরা কীভাবে করব, সেটা আমরা বাংলাদেশের জনগণকে আবার রাজপথে দেখিয়ে দিব ইনশা আল্লাহ। আমরা যথেষ্ট উৎকণ্ঠা এবং উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি।’

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে যে আপনাদের কাছে নীতিমালা এসেছে। আপনারা দ্রুত আদেশ জারি করুন। আমাদের এই উৎকণ্ঠা, বিএনপি অনৈক্য সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, এটা থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি দিন। আমরা দ্রুত ইলেকশনের ফেজে (নিবার্চনী পর্বে) ঢুকতে চাই।’

অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ জারির বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কোনো বৈধতা নেই, এমন মন্তব্য করে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘যদি চুপ্পুকে (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) দিয়ে আদেশ দেওয়ার বাংলাদেশে কোনো চেষ্টা চালানো হয়, তাহলে জনতা বঙ্গভবনে চলে যাবে। আগে গণভবনে গিয়েছিল, নতুন করে যদি এ ধরনের কোনো প্রচেষ্টা চালানো হয়, তাহলে জনতা আবার বঙ্গভবনে যাবে ইনশা আল্লাহ।’

জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
  • বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
  • বিএনপি ও জামায়াত কে কোন ফ্যাক্টরে এগিয়ে
  • অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: ফখরুল
  • সরকার নিরপেক্ষতা হারালে জনগণ মাঠে নামবে: তাহের
  • সংস্কার ইস্যুতে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকলেও বিএনপি অবস্থান পরিবর্তন করে
  • বিএনপি-জামায়াত দেশকে অন্য এক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
  • চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ