ঘোষণা দিয়ে দল ছেড়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুল। যদিও ছাত্র-জনতার আন্দোলন-পরবর্তী সময় গত বছরের ১৭ আগস্ট জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর বিষয়টি আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জানান তিনি। 

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের কারণ তুলে ধরেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের ২০ জুলাই আমি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে যুক্তরাজ্যে যাই। সেখানে অবস্থানকালেই দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করি। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্র-জনতার ওই আন্দোলন প্রতিহত করতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত করে। তৎকালীন বিরোধী দল হিসেবে সে সময় জাতীয় পার্টি দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই দলের দায়িত্বশীল সদস্য হয়ে আমি এ দায় এড়াতে পারি না। একজন সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমার পক্ষে নিরস্ত্র এবং নিরপরাধ মানুষ হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই ঘৃণ্য অপরাধের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আমি জাতীয় পার্টির সব দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। বিষয়টি এতদিন গণমাধ্যমকে জানাতে পারিনি।’ 

কোনো দলে যোগ দেবেন কিনা প্রশ্নে বাবুল বলেন, ‘এখন আমি কোনো দলে যুক্ত নই। আমার ব্যবসা ও পত্রিকা নিয়ে থাকতে চাই। আপাতত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা নেই।’

নজরুল ইসলাম বাবুল এক সময় মহানগর তাঁতী দলের সহসভাপতি ছিলেন। বিএনপির রাজনীতে যুক্ত থাকাবস্থায় কয়েক বছর আগে যোগ দেন জাপায়। গত সিটি নির্বাচনে দলের মেয়র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত শুক্রবার নগরীর সাগরদীঘিরপারের মৎস্য ভবনসংলগ্ন সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টায় তাঁর নাম আসে। যদিও বাবুল দাবি করেন, এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় সংস্থার সভাপতি হিসেবে তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে ছিলেন। রাজনৈতিক কোনো দলের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ