ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, জুবিলী রোড শাখা ও চাকতাই শাখা হতে নামে বেনামে ঋণ গ্রহণের নামে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে প্রায় ৩৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক আহসানুল আলমসহ মোট ৫২ জনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন-১.

আহসানুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান, ইসি কমিটি এবং পরিচালক, পরিচালনা পর্ষদ, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ পিএলসি, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা ২. মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সেঞ্চুরী ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড ৩. মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, সেঞ্চুরী ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেড ৪. ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ, সাবেক পরিচালক ও চেয়ারম্যান, ইসি কমিটি ৫. সৈয়দ আবু আসাদ, সাবেক নমিনী পরিচালক ৬. ডা. তানভীর আহমদ, সাবেক সদস্য, ইসি কমিটি ও ভাইস চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ ৭. মো. কামরুল হাসান, সাবেক সদস্য, ইসি কমিটি ও পরিচালক, পরিচালনা পর্ষদ ৮. ড. মোহাম্মাদ সালেহ জহুর, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ও সদস্য, ইসি কমিটি ৯. প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান, সাবেক পরিচালক ও সদস্য, ইসি কমিটি ১০. ড. মো. ফসিউল আলম, সাবেক পরিচালক ও সদস্য, ইসি কমিটি ১১. আবু সাইদ মোহাম্মদ কাশেম, সাবেক সদস্য, ইসি কমিটি ১২. জামাল মোস্তফা চৌধুরী, সাবেক পরিচালক ও সদস্য, ইসি কমিটি ১৩. মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং সদস্য (পদাধিকার বলে), পরিচালনা পর্ষদ এবং ইসি কমিটি ১৪. মো. মাহবুব উল আলম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সদস্য ইসি কমিটি ১৫. তাহের আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ডিএমডি, আই অ্যান্ড সিটিডব্লিউ, সদস্য ইনভেস্টমেন্ট কমিটি, ১৬. হাসনে আলম, ডিএমডি, আইবিডব্লিউ এবং সদস্য ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ১৭. মো. আব্দুল জব্বার, ডিএমডি, আরআইডব্লিউ এবং সদস্য ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ১৮. মো. সিদ্দিকুর রহমান, এসইভিপি, আইএডি এবং সদস্য ইনভেস্টমেন্ট কমিটি।

আরো পড়ুন:

লোগো ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক

মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি হলেন

১৯. এ.এ.এম হাবিবুর রহমান, এসইভিপি, এএমডি এবং সদস্য ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ২০. মোহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, এসইভিপি, এএমডি এবং সদস্য, ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ২১. মো. ওমর ফারুক খান, এএমডি, আইবিডব্লিউ এবং সদস্য, ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ২২. জে, কিউ, এম হাবিবুল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সদস্য, আইসি-১ ২৩. মুহাম্মদ কায়সার আলী, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আহবায়ক, আইসি-১ ২৪. মোহাম্মদ আলী, সাবেক ডিএমডি (সিআরও), আরএমডব্লিও, (বিনিয়োগ কমিটি-১ এর সদস্য) ২৫. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সাবেক ডিএমডি (সিএইচআরও) ও সদস্য, আইসি-১ ২৬. মো. আলতাফ হোসেন, সাবেক এসইভিপি, আইএমডব্লিও, বর্তমানে এএমডি ও সদস্য আইসি-১ ২৭. মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক ডিএমডি, আইটি ডব্লিউ ও সদস্য, বিনিয়োগ কমিটি-১ ২৮. জি. এম. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, এসইভিপি, সিআইডব্লিও-২ ও সদস্য সচিব বিনিয়োগ কমিটি-১ ২৯. মিফতাহ উদ্দিন, সাবেক ডিএমডি ৩০. মোহাম্মদ উল্লাহ, সাবেক এসইভিপি (আইএম ডব্লিউ) ও সদস্য, বিনিয়োগ কমিটি-১ ৩১. আবুল ফাইয়াজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক ডিএমডি ও সদস্য, আইসি-১।

৩২. মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক এসইভিপি, বর্তমানে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইটিডব্লিও ও সদস্য আইসি-১ ৩৩. মো. ফরিদ উদ্দিন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের (আইএডি) প্রধান ও সদস্য, বিনিয়োগ কমিটি-১ ৩৪. কাজী মো. রেজাউল করিম, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চুক্তি ভিত্তিক) ও সদস্য, আইসি-১ ৩৫. খালেদ মাহমুদ রায়হান, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট বিভাগ, বর্তমান পদবী এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ৩৬. মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ভিপি ও সাবেক শাখা প্রধান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, খাতুনগঞ্জ শাখা, চট্টগ্রাম বর্তমানে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজার, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, পাহাড়তলী শাখা, চট্টগ্রাম ৩৭. মো. মনজুর হাসান, এসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, চাকতাই শাখা, চট্টগ্রাম ৩৮. মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা প্রধান।

৩৯. মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, এসএভিপি, কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশন (সিআইডি-১) (৪-৩৯ নম্বর ক্রমিকের সবাই ইসলাম ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর কর্মকর্তা) ৪০. মো. ছাদেকুর রহমান, প্রোপাইটর, দুলারি এন্টারপ্রাইজ ৪১. মো. মুছা চৌধুরী, প্রোপাইটর: মুছা এন্টারপ্রাইজ ৪২. মোহাম্মদ রফিক, প্রোপাইটর: এমএম কর্পোরেশন ৪৩. এস এম নেছার উল্লাহ, প্রোপাইটর, অ্যাপার্চার ট্রেডিং হাউজ ৪৪. আরশাদুর রহমান চৌধুরী, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশন, ৪৮/এ/০৩ (গ্রাউন্ড ফ্লোর) ৪৫. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড ৪৬. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, পরিচালক, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লি. ৪৭. আনছারুল আলম চৌধুরী, প্রোপাইটর, আনছার এন্টারপ্রাইজ ৪৮. রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, প্রোপাইটর, রেইনবো কর্পোরেশন ৪৯. এরশাদ উদ্দিন, প্রোপাইটর, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউজ ৫০. এম এ মোনায়েম, প্রোপাইটর, গ্রীন এক্সপোজ ট্রেডার্স ৫১. মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, স্বত্বাধিকারী, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স এবং ৫২. সহিদুল আলম, প্রোপাইটর, সোনালী ট্রেডার্স।

দুদক জানায়, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, প্রতারণায় ইসলামী মাধ্যমে ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, খাতুনগঞ্জ শাখা, চট্টগ্রাম হতে ০৩.১০.২০২৪ পর্যন্ত আটশত সাতাশ কোটি বিয়াল্লিশ লাখ পনের হাজার চারশ পঁচিশ টাকা (মুনাফাসহ ৯১৮.৫৭.৫৪.৭১৮/-টাকা) বিনিয়োগকৃত আত্মসাৎসহ অর্থের প্রকৃত উৎস ও প্রকৃতি গোপন করার জন্য হস্তান্তর/স্থানান্তর রূপান্তরের মানিলন্ডারিং অপরাধ।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭৩/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭এর ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ৪৪ (৩) ধারা আনা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন য় গ কম ট ল দ শ প এলস স ব ক ড এমড ক ও সদস য র রহম ন ইসল ম ল আলম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রযুক্তি কি ডিমেনশিয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে? ৫৭টি ভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে বিস্ময়কর তথ্য

প্রযুক্তির কল্যাণে হুটহাট বড় পরিবর্তন আসা নতুন কিছু নয়। করোনা মহামারির আগে বাসা থেকেও যে অফিস করা সম্ভব, সেটা মানতে চাইতেন না অনেকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হোম অফিস হয়েছে স্বাভাবিক। একই ঘটনা ঘটেছে ডিজিটাল দুনিয়ায়। একসময় যেকোনো তথ্য খুঁজে বের করার জন্য শরণাপন্ন হতে হতো সার্চ ইঞ্জিনের; এআই সেই উত্তর সবিস্তারে দিয়ে দিচ্ছে মুহূর্তেই। ফলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন শুধু জীবনকে সহজতর করছে না, বাঁচিয়ে দিচ্ছে সময় ও পরিশ্রমও। কিন্তু এই বেঁচে যাওয়া সময় ও পরিশ্রম মস্তিষ্কের ওপর ঠিক কীভাবে প্রভাব ফেলছে?

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ও বেলোর ইউনিভার্সিটির এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, এত দিন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানব মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমার যে গুঞ্জন ভেসে বেড়িয়েছে, তার কোনো সত্যতা নেই। ‘নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ডিজিটাল ডিমেনশিয়া’ নামে যে হাইপোথিসিস আছে, তার কোনো প্রমাণ নেই গবেষকদের কাছে। বরং পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষদের স্মার্টফোন, কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার তাঁদের স্বাভাবিক স্মৃতিভ্রম অনেকটা স্তিমিত করে।

ডিজিটাল ডিমেনশিয়া কী

২০১২ সালে প্রথম ‘ডিজিটাল ডিমেনশিয়া’ তত্ত্ব নিয়ে হাজির হন জার্মান স্নায়ুবিজ্ঞানী ও মনোবিদ ম্যানফ্রেড স্পিৎজার। মূলত যে হারে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে এবং মানুষ যান্ত্রিক পর্দার সামনে প্রতিদিনের বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছে, তাতে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে অনেকটাই। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলোও মনে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে অনেকে। যেমন ফোন নম্বর। একসময় প্রিয়জনের ফোন নম্বর আমাদের মুখস্থ থাকত। এখন ফোন নম্বর ঠাঁই পায় মুঠোফোনের কনটাক্ট লিস্টে। ফোন নম্বর মনে রাখার চেষ্টাই করে না কেউ। আবার অনেকক্ষণ যান্ত্রিক পর্দার সামনে থাকলেও সেখান থেকে শেখার ইচ্ছা থাকে না অনেকের। চোখের সামনে যা আসছে, স্ক্রল করে চলে যাচ্ছে পরের কোনো কনটেন্টে। এতে মনোযোগ হারিয়ে যায় দ্রুত। আর প্রযুক্তির এমন অতিব্যবহার যে স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে, একেই ধরা হয় ‘ডিজিটাল ডিমেনশিয়া’ হিসেবে।

আরও পড়ুনডিজিটাল স্ক্রিন ব্যবহারের সময় ২০-২০-২০ নিয়ম মানাটা কেন জরুরি২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩গবেষণা যা বলছে

প্রায় ৪ লাখ ১১ হাজার পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের ওপর চালানো ৫৭টি ভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যে স্মৃতিভ্রম দেখা দেয়, তার অনেকটাই হ্রাস করে প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের ফলে স্মৃতিশক্তি কমে আসার আশঙ্কা প্রায় ৫৮ শতাংশে নেমে আসে।

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বরং আরও কিছু সূচকের (যেমন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থা) ওপর নির্ভর করে। মজার ব্যাপার হলো, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার থেকেও বেশি কার্যকর প্রযুক্তির ব্যবহার।

তবে এর সবকিছুই নির্ভর করছে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের ওপর। পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা বেশির ভাগ সময়ই অনলাইনে কাটান ইউটিউব ভিডিও অথবা ফেসবুক স্ক্রল করে। এতে তাঁদের মস্তিষ্কের ব্যবহার হয় না বললেই চলে। মস্তিষ্ক সচল রাখতে পারে এমন কনটেন্টে তাঁদের মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারলে আনন্দ যেমন পাবেন, তেমনই ডিজিটাল দুনিয়া সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিও পালটে যাবে। এ ছাড়া অনলাইনের হাজারো গুজব ও উসকানি থেকে মুক্ত থাকবেন তাঁরা।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

আরও পড়ুনমাত্রাতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ