ইসলামী ব্যাংকের ৩৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: কর্মকর্তাসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 28th, January 2025 GMT
ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, জুবিলী রোড শাখা ও চাকতাই শাখা হতে নামে বেনামে ঋণ গ্রহণের নামে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে প্রায় ৩৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক আহসানুল আলমসহ মোট ৫২ জনকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন-১.
আরো পড়ুন:
লোগো ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক
মাসরুর আরেফিন পুনরায় সিটি ব্যাংকের এমডি হলেন
১৯. এ.এ.এম হাবিবুর রহমান, এসইভিপি, এএমডি এবং সদস্য ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ২০. মোহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, এসইভিপি, এএমডি এবং সদস্য, ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ২১. মো. ওমর ফারুক খান, এএমডি, আইবিডব্লিউ এবং সদস্য, ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ২২. জে, কিউ, এম হাবিবুল্লাহ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সদস্য, আইসি-১ ২৩. মুহাম্মদ কায়সার আলী, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আহবায়ক, আইসি-১ ২৪. মোহাম্মদ আলী, সাবেক ডিএমডি (সিআরও), আরএমডব্লিও, (বিনিয়োগ কমিটি-১ এর সদস্য) ২৫. মো. মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সাবেক ডিএমডি (সিএইচআরও) ও সদস্য, আইসি-১ ২৬. মো. আলতাফ হোসেন, সাবেক এসইভিপি, আইএমডব্লিও, বর্তমানে এএমডি ও সদস্য আইসি-১ ২৭. মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক ডিএমডি, আইটি ডব্লিউ ও সদস্য, বিনিয়োগ কমিটি-১ ২৮. জি. এম. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, এসইভিপি, সিআইডব্লিও-২ ও সদস্য সচিব বিনিয়োগ কমিটি-১ ২৯. মিফতাহ উদ্দিন, সাবেক ডিএমডি ৩০. মোহাম্মদ উল্লাহ, সাবেক এসইভিপি (আইএম ডব্লিউ) ও সদস্য, বিনিয়োগ কমিটি-১ ৩১. আবুল ফাইয়াজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক ডিএমডি ও সদস্য, আইসি-১।
৩২. মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক এসইভিপি, বর্তমানে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইটিডব্লিও ও সদস্য আইসি-১ ৩৩. মো. ফরিদ উদ্দিন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের (আইএডি) প্রধান ও সদস্য, বিনিয়োগ কমিটি-১ ৩৪. কাজী মো. রেজাউল করিম, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চুক্তি ভিত্তিক) ও সদস্য, আইসি-১ ৩৫. খালেদ মাহমুদ রায়হান, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট বিভাগ, বর্তমান পদবী এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ৩৬. মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ভিপি ও সাবেক শাখা প্রধান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, খাতুনগঞ্জ শাখা, চট্টগ্রাম বর্তমানে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজার, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, পাহাড়তলী শাখা, চট্টগ্রাম ৩৭. মো. মনজুর হাসান, এসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, চাকতাই শাখা, চট্টগ্রাম ৩৮. মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা প্রধান।
৩৯. মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, এসএভিপি, কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশন (সিআইডি-১) (৪-৩৯ নম্বর ক্রমিকের সবাই ইসলাম ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর কর্মকর্তা) ৪০. মো. ছাদেকুর রহমান, প্রোপাইটর, দুলারি এন্টারপ্রাইজ ৪১. মো. মুছা চৌধুরী, প্রোপাইটর: মুছা এন্টারপ্রাইজ ৪২. মোহাম্মদ রফিক, প্রোপাইটর: এমএম কর্পোরেশন ৪৩. এস এম নেছার উল্লাহ, প্রোপাইটর, অ্যাপার্চার ট্রেডিং হাউজ ৪৪. আরশাদুর রহমান চৌধুরী, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশন, ৪৮/এ/০৩ (গ্রাউন্ড ফ্লোর) ৪৫. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড ৪৬. মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, পরিচালক, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশন লি. ৪৭. আনছারুল আলম চৌধুরী, প্রোপাইটর, আনছার এন্টারপ্রাইজ ৪৮. রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, প্রোপাইটর, রেইনবো কর্পোরেশন ৪৯. এরশাদ উদ্দিন, প্রোপাইটর, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউজ ৫০. এম এ মোনায়েম, প্রোপাইটর, গ্রীন এক্সপোজ ট্রেডার্স ৫১. মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, স্বত্বাধিকারী, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স এবং ৫২. সহিদুল আলম, প্রোপাইটর, সোনালী ট্রেডার্স।
দুদক জানায়, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, প্রতারণায় ইসলামী মাধ্যমে ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, খাতুনগঞ্জ শাখা, চট্টগ্রাম হতে ০৩.১০.২০২৪ পর্যন্ত আটশত সাতাশ কোটি বিয়াল্লিশ লাখ পনের হাজার চারশ পঁচিশ টাকা (মুনাফাসহ ৯১৮.৫৭.৫৪.৭১৮/-টাকা) বিনিয়োগকৃত আত্মসাৎসহ অর্থের প্রকৃত উৎস ও প্রকৃতি গোপন করার জন্য হস্তান্তর/স্থানান্তর রূপান্তরের মানিলন্ডারিং অপরাধ।
আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭৩/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭এর ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ৪৪ (৩) ধারা আনা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন য় গ কম ট ল দ শ প এলস স ব ক ড এমড ক ও সদস য র রহম ন ইসল ম ল আলম
এছাড়াও পড়ুন:
৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুল ও সাইফুল আলমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার মো. আমিনুল ইসলাম, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন।
দুদকের মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রক্রিয়া ছাড়াই ভুয়া কোম্পানি ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বাই-মুরাবাহাভিত্তিক বিনিয়োগের নামে গুলশান সার্কেল-১ শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এরপর অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য, নাবিল ও এস আলম গ্রুপের মালিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাকি আসামিরা হলেন নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামের মামা ও গ্রুপের রাজশাহীর মার্কেট মাস্টার এনালাইজার মো. শরিফুল ইসলাম, নওগাঁর মার্কেট মাস্টার এনালাইজার ও গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম, ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের ইভিপি মো. মোজাহিদুল ইসলাম, নিউ মার্কেট শাখার এভিপি মো. কাইয়ুম সিকদার, মাধবদী শাখার এভিপি মো. জহুরুল হক, গুলশান সার্কেল-১ শাখার এফএভিপি মো. আবদুল কাইয়ুম, ডিএমডি ও এসআইডব্লিউ প্রধান মাহমুদুর রহমান, ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের সাবেক এসভিপি মো. নাজমুল হুদা সিরাজী, শ্যামলী শাখার এফএভিপি মো. আলমগীর হোসেন, এভিপি মো. কামরুজ্জামান, ধোলাইখাল শাখার ভিপি মো. মমতাজউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ডিএমডি ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ্ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডিএমডি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এসইভিপি মোহাম্মদ শাব্বির, এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সেলিম উদ্দিন, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, তানভীর আহম্মদ, মো. কামরুল হাসান, মো. সালেহ জহুর, মো. ফসিউল আলম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুনিরুল মওলা, কোম্পানি সচিব ও এএমডি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ্, নাবিল ট্রেডিংয়ের মালিক ইসরাত জাহান, এস আলম ভিজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল আলম, এস আলম ভিজিটেবল অয়েলের পরিচালক ফারজানা পারভীন, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের এমডি মিশকাত আহমেদ, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের পরিচালক শাহানা ফেরদৌস।