Samakal:
2025-08-01@21:55:42 GMT

ধুলাবালি থেকে ত্বক সুরক্ষায়

Published: 28th, January 2025 GMT

ধুলাবালি থেকে ত্বক সুরক্ষায়

বর্তমানে দূষণ ও ধুলাবালির প্রকোপ থেকে মুক্ত থাকা অসম্ভব। এর প্রভাব আমাদের ত্বকের ওপরও পড়ে, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।  কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে ত্বককে দূষণ ও ধুলাবালির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে শোভন’স মেকওভারের রূপবিশেষজ্ঞ শোভন সাহা বলেন, ‘দূষণ ও ধুলাবালি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। দূষণের মাত্রা বেশি এমন কোনো জায়গায় গেলে অবশ্যই ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে ত্বককে যথাসম্ভব কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে ত্বক তুলনামূলক সুরক্ষিত থাকবে।’
তিনি জানান, বাইরে বের হওয়ার সময় মুখে ভালো সানস্ক্রিন এবং গায়ে সান প্রটেকশনযুক্ত লোশন লাগাতে হবে। বাইরে থেকে এসে প্রথমে ভালোভাবে ফেস ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুতে হবে। তারপর শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং বডিওয়াশ ব্যবহার করে ভালোভাবে গোসল করতে হবে। গোসল শেষে চুলে সিরাম এবং বডি লোশন বা বডি অয়েল লাগিয়ে নেবেন। ফেসে টোনার লাগিয়ে এরপর ভালো রিপেয়ারিং নাইট ক্রিম লাগাতে হবে।
ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে কী করবেন
ত্বক পরিষ্কার রাখা
ধুলাবালি ও দূষণ ত্বকের পোরসগুলো বন্ধ করে দিতে পারে; যা ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। এ কারণে প্রতিদিন অন্তত দু’বার মুখ পরিষ্কার করুন। স্যালিসাইলিক এসিড বা চারকোলযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন, যা ত্বকের গভীর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে। বাইরের কাজ শেষে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
দূষণের কারণে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যেতে পারে। এ জন্য নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী হালকা বা গভীর ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। অ্যালোভেরা জেল, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করলেও ত্বক আর্দ্র থাকবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ও দূষণ একত্রে ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে। এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগান। ঘরেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। কারণ, জানালা দিয়ে আসা আলোও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। আবার লাইটের আলোও ত্বকের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। 
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ স্কিন কেয়ার পণ্য
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে দূষণের কারণে সৃষ্ট ফ্রি র‍্যাডিকাল থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন সি, ভিটামিন ই বা গ্রিন টিসমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করুন। এ ধরনের পণ্য ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এবং ত্বকের ক্ষতি পূরণে সহায়তা করে।
মেকআপের আগে প্রাইমার লাগিয়ে নিন
মেকআপ করার সময় প্রাইমার ব্যবহার করলে ত্বক মেকআপ এবং বাইরের ধুলাবালির প্রভাব থেকে কিছুটা রক্ষা পায়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী অয়েল ফ্রি বা সিলিকনভিত্তিক প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন।
প্রাকৃতিক ক্লিনজার ব্যবহার
কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকর হতে পারে। গোলাপজল বা কাঁচা দুধ ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করুন। বেসন ও হলুদের মিশ্রণ দূষণ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। মধু ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে।
হাইড্রেটেড থাকুন
ত্বকের সুস্থতার জন্য পানি পানের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে স্যুপ, ডাবের পানি ও ফলের রস পান করুন।
সুষম খাবার
খাদ্যাভ্যাসের ওপর ত্বকের স্বাস্থ্য অনেকাংশে নির্ভর করে। ভিটামিন এ, সি, ই এবং জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খান। বাদাম, ফলমূল ও সবুজ শাকসবজি ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। ভাজাপোড়া বা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের অভাবে ত্বকে ক্লান্তি দেখা দেয় এবং বলিরেখা পড়ে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুমানোর আগে মেকআপ বা ধুলাবালি পরিষ্কার করে নিতে হবে। 
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করুন
ত্বকের মরা কোষ দূর করতে স্ক্রাব ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চিনি ও মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ২-৩ বার এক্সফোলিয়েট করুন।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন
দূষণ শুধু ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়, মানসিক চাপও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন। পছন্দের কাজ করে মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। v

মডেল: রুহি; ছবি: কাব্য

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র করত র ব যবহ র ক ম কআপ ত বকক

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ