বরিশালে শিক্ষার্থী ও বাস শ্রমিকদের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের পর শিক্ষার্থীরা গভীর রাতে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। তবে বুধবার সকালে শ্রমিকরা নতুন করে ধর্মঘট শুরু করায় নগরের রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে বিভাগের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। 

শ্রমিকদের দাবি, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। এই টার্মিনাল থেকে বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা জেলার বিভিন্ন বিভিন্ন রুট এবং বাগেরহাট-খুলনা রুটে বাস চলাচল করে। 

রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী জানান, শুধু বরিশাল নয়, বিভাগের অন্য জেলার শ্রমিক ইউনিয়নগুলো তাদের সঙ্গে ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা শ্রমিকদের ওপর হামলা, অফিস ও বাস ভাঙচুর করেছে তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাস শ্রমিকদের দোষ দিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

বিএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র কামরুল ইসলাম হাবিব বলেন, আমরা ৮ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সড়ক অবরোধ করেছিলাম। প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সভায় বাস মালিক-শ্রমিকরা ৮ দাবি মেনে নিলে গভীর রাতে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। দাবি মেনে নেওয়ার পর মালিক-শ্রমিকরা বুধবার সকালে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ধর্মঘট শুরু করেছে। হাবিব বলেন, সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলছে। বাস বন্ধ থাকায় পরীক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। 

প্রসঙ্গত, বিএম কলেজের এক ছাত্রী মঙ্গলবার বাসে ঝালকাঠি থেকে বরিশালে যাচ্ছিল। হাফ ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কিতে ছাত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগ করা হয়। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা রূপাতলী বাস টার্মিনালে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বাস ভাঙচুর হয়। শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ