Risingbd:
2025-05-01@05:41:04 GMT

বারিশ হকের এই লুকগুলো দেখেছেন

Published: 30th, January 2025 GMT

বারিশ হকের এই লুকগুলো দেখেছেন

মডেল বারিশ হক। ইচ্ছা ছিল অভিন জগতে ক্যারিয়ার গড়বেন। কিন্তু চেহারা ‘ফটোজেনিক নয়’ এমন মন্তব্য তাকে শুনতে হয়েছে। হতাশ হয়েছেন, নিজের পথ তৈরি করতে চেয়েছেন। নিজেকে একটু একটু করে ব্র্যান্ড প্রমোটর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই নামের ব্র্যান্ড ভ্যালু এখন অনেক বেশি। শুরুতে সাজ, পোশাক নিয়ে নেটিজেনদের বিরূপ মন্তব্য শুনতে হতো তাকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাজ, পোশাক এমনকি তার হাসিতেও যুক্ত করেছেন পরিমিতি বোধ। বারিশ হকের সম্প্রতি তোলা কয়েকটি ছবি দেখে নেওয়া যাক।

প্রোফাইলের ছবিতে বারিশ হকের যে লুক তাতে মনে করিয়ে দিচ্ছে মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোকে। সাজে সৌন্দর্য বাড়িয়েছে চোখের সাজ। আইশ্যাডো ছুঁয়ে চিক পর্যন্ত নেমে গেছে পাথরের কারুকাজ। শিমার আইলুকে দেখা যাচ্ছে বারিশকে। তার সিল্কি চুল দুলছে বাতাসে। মিনিমাল মেকআপ আর ঠোঁটের ন্যুড লিপস্টিক সব মিলিয়ে শৈল্পিক করে তুলেছে বারিশ হককে।

হালকা রঙের লেহেঙ্গা, মুখের মিষ্টি হাসি আর আধো অবনমিত চোখে দারুণ লাগছে বারিশকে। বড় হার পরেছেন, কানের শোভা পাচ্ছে ম্যাচিং দুল। চোখের সাজে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জেগে উঠেছে গ্লসিভাব। ঠোঁট সাজিয়েছেন ম্যাট ন্যুড লিপস্টিক দিয়ে। 

আরো পড়ুন:

চাকরিজীবী নারীর ত্বকের যত্ন

যেভাবে আদা খেলে ব্রণ দূর হয়

গাঢ় সবুজ কাতান শাড়িতে ট্রেডিশনাল লুক ফুটে উঠেছে। ভ্রু যুগলের মাঝে স্থান পেয়েছে ছোট্ট একটি লাল টিপ। দুই গালে ফুটে উঠেছে গোলাপি আভা। কানের ঝুমকা, আর গলায় হার দারুণভাবে মানিয়ে গেছে। কোমরে শোভা বাড়িয়েছে বিছা। খোপায় স্থান পেয়েছে লাল গোলাপ।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র শ হক

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়। 

গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’ 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।

টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন। 

এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’ 

সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ