আগামী নির্বাচনে পি আর পদ্ধতির বিকল্প নেই: ফয়জুল করীম
Published: 30th, January 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে অর্ধশতাব্দী ধরে এ দেশের মানুষ বারবার ক্ষমতার পালাবদল দেখেছে। তারা সামরিক শাসনও দেখেছে, নির্বাচিত সরকারের শাসনও দেখেছে। প্রত্যেক শাসকই ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছে। এ দেশের মানুষ রক্ত ও জীবনের মায়া তুচ্ছ করে বারবার শাসক পরিবর্তন করেছে কিন্তু তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো সরকারই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “কোনো দল যখন এককভাবে সরকার গঠন করে, তখন তারা সহজেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। তাই দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আগামী নির্বাচনে পি আর পদ্ধতি (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) প্রবর্তন করতে হবে। এটি একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, যা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।”
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো.
সংগঠনের জেলা সভাপতি হাফেজ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাওলানা আহসানুল্লাহ খান, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস মল্লিক, সেক্রেটারি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. মনিরুল ইসলাম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুফতি এনায়েত হোসেন মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি প্রভাষক মনিরুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মৃধা, যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ সরদার।
ঢাকা/অলোক/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫