দাদিকে নিতে নিউইয়র্ক থেকে আসেন অপূর্ব, প্রেম হয় নিহার সঙ্গে
Published: 31st, January 2025 GMT
অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আর নাজনীন নাহার নিহা। দু’জনে এক হলেন প্রথমবার। ভালোবাসা দিবসে দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই তাদের এ মেলবন্ধন। সিএমভি’র প্রয়োজনায় নাটকটি নির্মাণ করছেন জাকারিয়া সৌখিন।
গল্পে দেখা যাবে, অপূর্ব নিউইয়র্ক থেকে দেশে এসেছেন তাঁর দাদিকে নিয়ে যেতে। কিন্তু পরিবারের লোকজন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে মিষ্টি ও দুষ্টু মেয়ে নিহার সঙ্গে অপূর্বর পরিচয় হয়। দু’জন ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। আর মিষ্টি মেয়ে নিহা অপূর্বর মনের সব বন্ধ দুয়ার খুলে দেয়। তাই সে মেয়েটির নাম দেয় ‘মন-দুয়ারী’।
নাটকটি যৌথভাবে রচনা করেছেন নাসির খান এবং জাকারিয়া সৌখিন। নিহাকে নিয়ে তাঁর প্রথম কাজ প্রসঙ্গে অপূর্ব বলেন, ‘নিহার মধ্যে প্রচণ্ড সম্ভাবনা আছে অনেক দূর যাওয়ার। ও শিখতে চায়, শিখে অভিনয় করতে চায়। এটাই ওর বড় গুণ। আর এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটিই যথেষ্ট। এ নাটকে নিহা এত ভালো করেছে, না দেখলে বিশ্বাস হবে না।’
নিহা বলেন, ‘অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে অভিনয়ের স্বপ্ন ছিল আমার। সেটি পূরণ হয়েছে। অনেক খুশি। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’ বড় আয়োজনে অনেক দিন ধরে ‘মন-দুয়ারী’ নির্মিত হচ্ছে। ১৩ দিনের শুটিংয়ে ঢাকা, নবাবগঞ্জ এবং রাজশাহীতে শুটিং হয়েছে। নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন বলেন, ‘ভ্যালেন্টাইনে সবসময় একই টাইপের গল্পে নাটক নির্মিত হয়। কিন্তু আমাদের গল্পটি সম্পূর্ণ আলাদা। আপাতত এটুকুই বলছি। বাকিটা দেখার পর আপনারাও বুঝতে পারবেন।’
‘মন-দুয়ারী’ নাটকের অপূর্ব-নিহা ছাড়াও অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, আমিনুর রহমান বাচ্চু, শফিউল আলম বাবু, মিলি মুন্সী, শারমীন সুলতানা শর্মী, রাইসা প্রমুখ। ‘মন-দুয়ারী’ নাটকে থাকছে দুটি গান। সোমেশ্বর অলির কথায় একটি গান সুর-সংগীত করেছেন সাজিদ সরকার, গেয়েছেন কনা এবং রেহান রসুল। আর দ্বিতীয় গানটি লিখেছেন লিমন। সুর এবং কণ্ঠ নাজির মাহমুদ, সংগীত সজীব দাশ। আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারির বিশেষ কনটেন্ট হিসেবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে ‘মন-দুয়ারী’।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মন দ য় র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।
এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।