এ সপ্তাহের রাশিফল (১-৭ ফেব্রুয়ারি)
Published: 1st, February 2025 GMT
পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটির (বিএএস) যুগ্ম মহাসচিব জ্যোতিষশাস্ত্রী ড. চিন্ময় চৌধুরী মিথুন ।
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): অতিরিক্ত আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। পেশাগত কাজে মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। পারিবারিক জীবনে প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করুন। আত্মকেন্দ্রিক লোকদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়বে। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): অর্থ সম্পদের সঠিক ব্যবহার করুন। মানসিক অস্থিরতা বাড়বে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক ডায়েট মেনে চলুন। সম্পর্কে কিছু টানাপোড়েন থাকবে। শারীরিকভাবে কিছুটা সমস্যা থাকতে পারে। ভ্রমণ শুভ।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহে রাশিফল (২৫-৩১ জানুয়ারি)
এ সপ্তাহের রাশিফল (১৮-২৪ জানুয়ারি)
মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): ধৈর্য ও সহিষ্ণু আচরণের জন্য কর্মজীবনে সফলতা পাবেন। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। আবেগ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে প্রিয়জনের সঙ্গে মান অভিমান বাড়বে। মানসিক প্রশান্তির জন্য ধ্যান, যোগব্যায়াম করুন। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সফলতা পাবেন। অনেকে দূর ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): মেজাজ চড়া থাকবে। আর্থিক বিষয়ে সফলতা আসবে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। প্রিয়জনের শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন। ব্যবসায়িক কাজে সফলতা পাবেন। প্রিয়জনের সাঠে মানসিক দূরত্ব বাড়বে। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): একাকীত্ব অনুভব করবেন। আর্থিক বিষয়ে সফলতা আসবে। কর্পোরেট কাজে সফলতা পাবেন। শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করবেন। প্রেমে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। পারিবারিক বিষয়ে নমনীয়তা প্রয়োজন। অমিতব্যয়িতার কারণে দুশ্চিন্তা বাড়বে।
কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): আপনার সুনাম ও মর্যাদা বাড়বে। আর্থিক বিষয় নিয়ে চাপে থাকবেন। কর্মসূত্রে লাভবান হবেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করবেন।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): অংশীদারি ব্যবসায় সাফল্য পাবেন। দাম্পত্য জীবনে সুখ অনুভব করবেন। অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে মানসিক চাপ অনুভব করবেন। প্রিয়জনের সঙ্গে সন্দেহমূলক আচরণের জন্য দূরত্ব তৈরি হতে পারে। শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করবেন। ভ্রমণ শুভ।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়বে। আর্থিক ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য অনুকূল সময়। প্রেম ও রোমাঞ্চ শুভ। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করুন। বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন। প্রিয়জনের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো যাবে।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): আর্থিক দিক যথেষ্ট ভালো যাবে। কারো কারোর চাকরি লাভের সম্ভাবনা আছে। দূর থেকে শুভ সংবাদ পাবেন। ঘনিষ্ঠ কারো আচরণে মানসিক কষ্ট পেতে পারেন। প্রেমের জন্য এ সপ্তাহটি উষ্ণ। তবে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): সব ধরনের তর্ক বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। উচিত কথা এড়িয়ে চলুন। এ সপ্তাহ আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিপরীত লিঙ্গের কারো সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে আরো যত্নশীল হোন। পেশাগত কাজে আরো মনোযোগী হলে সফলতা পাবেন।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): বিদেশ যাত্রায় চলমান বাধা কেটে যাবে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়বে। প্রিয়জনের সঙ্গে মানঅভিমান হতে পারে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। পুরোনো কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। ভ্রমণ শুভ।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): সংসার জীবনে ভুল বোঝাবুঝি বাড়তে পারে। উচিত কথা বলে শত্রুতা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকুন। পুরোনো কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। মানসিক পরিশ্রমের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম বৃদ্ধি করুন। পেশায় সফলতা পাবেন। ভ্রমণ শুভ।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল ভ রমণ শ ভ ব যবস য় ক আর থ ক র জন য সমস য করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
টিনএজ সিনড্রোম: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এক নীরব সংকট
এক সময় ছিল, যখন সন্তানের আবেগ, দুষ্টুমি বা হঠাৎ রাগ দেখে বাবা-মা মুচকি হেসে বলতেন—“বয়স হয়েছে, ঠিক হয়ে যাবে।” কিন্তু আজ, সেই দুষ্টুমি পরিণত হয়েছে এমন আচরণে, যা অনেক সময় বাবা-মা পর্যন্ত চেনেন না। সন্তান চোখে চোখ রাখে না, ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়, কথা বললে রাগে ফেটে পড়ে। এই চিত্র এখন বিশ্বব্যাপী। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আমরা এক ‘Adolescent Syndrome’ বা ‘Teenage Behavioral Crisis’-এর মুখোমুখি, যা বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।
আচরণগত বিপর্যয়ের পেছনে বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিনএজ সিনড্রোমের প্রধান কারণ তিনটি:
হরমোনের দোলাচল: ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনের ওঠানামা টিনএজারদের আচরণে গভীর প্রভাব ফেলে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই হরমোনাল পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, যা আচরণে অতিরিক্ত আবেগ ও বিদ্রোহের জন্ম দেয়।
মস্তিষ্কের অসম্পূর্ণ বিকাশ: ১৩-১৯ বছর বয়সে মস্তিষ্কের যুক্তিবোধ ও নিয়ন্ত্রণ-সম্পর্কিত অংশ (prefrontal cortex) এখনও গঠনের পর্যায়ে থাকে। ফলে তারা আবেগে সিদ্ধান্ত নেয়, ঝুঁকি নেয়, এবং কখন কী বলতে হবে—তা বোঝে না।
প্রযুক্তির নীরব আগ্রাসন: TikTok, Instagram, Snapchat—এসব প্ল্যাটফর্মে মেয়েরা দিনে গড়ে ৬–৮ ঘণ্টা সময় কাটায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়া সৌন্দর্য ধারণা, জনপ্রিয়তার চাপ, ফিল্টার সংস্কৃতি তাদের আত্মপরিচয়কে বিকৃত করে তুলছে।
কেন বেশি দেখা যায় মেয়েদের মধ্যে?
Emotional Sensitivity: মেয়েরা আত্মপরিচয় ও আত্মমূল্যায়নে বেশি স্পর্শকাতর।
Beauty Pressure: সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের শরীর, ত্বক, স্টাইল—সবকিছু নিয়েই এক অনিয়ন্ত্রিত চাপ কাজ করে।
Hormonal Impact: মাসিক চক্র ও হরমোন ওঠানামা তাদের মুড, আবেগ ও আচরণে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
বাবা-মা কি আগের তুলনায় বেশি সমস্যায়?
হ্যাঁ, এবং এর পেছনে রয়েছে পরিবারে সংলাপের ঘাটতি। অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সারদের আধিপত্য। পিতামাতার নিজের মানসিক চাপ। বিকৃত প্রতিযোগিতামূলক সমাজব্যবস্থা। আজ অনেক অভিভাবক জানেন না—কীভাবে সন্তানের কাছে পৌঁছাতে হয়। তারা নিজেরাই কর্মব্যস্ত, ক্লান্ত, মানসিকভাবে নিঃশেষ।
বিশ্বের অবস্থা কী বলছে?
জাপানে টিনএজ আত্মহত্যার হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সুইডেনে, গত ১০ বছরে কিশোরীদের বিষণ্ণতা বেড়েছে ৪৭%। যুক্তরাষ্ট্রে, CDC বলছে—“Teenage girls are experiencing record levels of sadness, violence, and suicidal thoughts.” বাংলাদেশে, শহরাঞ্চলে স্কুলগামী কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্ণতা বেড়েছে প্রায় ৫০% (মনোরোগ ইনস্টিটিউট, ২০২৩)।
তাহলে বাবা-মা কী করবেন?
শুনুন, শাসন নয় – সন্তানকে সময় দিন, তার কথার পেছনে আবেগ বুঝুন।
প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ করুন – নিজেরাও মডেল হোন প্রযুক্তি ব্যবহারে।
কাউন্সেলিংয়ে ভীতি নয় – প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নিন।
নিজের মানসিক স্বাস্থ্যও রক্ষা করুন – সন্তানকে বোঝাতে গেলে নিজের ভেতরে শান্তি থাকা জরুরি।
একটি প্রজন্ম যেন না হারিয়ে যায়। এই সংকট নিছক পারিবারিক নয়—এটি এক সামাজিক দায়। টিনএজারদের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রণা বোঝা না গেলে, আমরা এক ‘চুপ করে থাকা বিষণ্ণ প্রজন্ম’ হারিয়ে ফেলব। সন্তান যখন বিদ্রোহ করে, সে আসলে জানিয়ে দেয়— ‘আমি ভালোবাসা চাই, বোঝার মানুষ চাই।’ আমাদের দায়িত্ব তাদের ভাষা বুঝে নেওয়া।
তারা//