ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশার কারণে মধ্যরাত থেকে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হয়েছে। রানওয়ে ঝাপসা হয়ে যাওয়ায় ৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলে যায়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কুয়েত সিটি ও মাস্কাট থেকে আসা কুয়েত এয়ারওয়েজ এবং সালাম এয়ারের ফ্লাইটগুলো কলকাতায় অবতরণ করে এবং পরে সকাল ৯টার পর ঢাকা ফিরে আসে।

বিমানবন্দর নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফ্লাইট চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে একসঙ্গে অনেক ফ্লাইটের আসা-যাওয়ার কারণে রানওয়েতে কিছুটা ট্রাফিকের সৃষ্টি হয়েছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মধ্যরাতে কুয়েত সিটি থেকে আসা কুয়েত এয়ারওয়েজের ২টি ফ্লাইট ও ওমানের মাস্কাট থেকে আসা সালাম এয়ারের ফ্লাইটটি ঢাকায় নামতে না পেরে কলকাতায় চলে যায়। পরবর্তীতে সকাল ৯টার পর তারা ঢাকায় অবতরণ করে।

এদিকে, ঘন কুয়াশার মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৬টি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় অবতরণ করতে পারেনি। তাদের মধ্যে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাই, মাস্কাট, রোম, জেদ্দা ফ্লাইট, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের দুবাই, গাল্ফ এয়ারের বাহরাইন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুবাই, দোহা, শারজাহ, জেদ্দা, সিঙ্গাপুর, ড্রুক এয়ারের পারো থেকে আসাসহ আরো বেশ কয়েকটি রুটের ফ্লাইট।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, জানুয়ারির শুরু থেকে দেশে ঘন কুয়াশার প্রবণতা বাড়ছে এবং কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল ব্যহত হতে পারে।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘন ক য় শ ফ ল ইট কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ 

সাগরে এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ আড়তে এই মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে ওঠানো হয়। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ টাকায়। ট্রলারটিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ ইলিশ তুলে দেওয়া হয়। 

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সূত্রে জানাগেছে, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাইফ কোম্পানির এফবি সাফওয়ান-৩ মাছ ধরার ট্রলার গত ২৯ অক্টোবর সকালে পাথরঘাটা থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। 

ওই দিন বিকেলে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার পরই রাতে মাছগুলো ধরা পড়ে। ট্রলারটিতে জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ তুলে দেওয়া হয়। জেলেরা বলছে, সব মিলিয়ে ১৭০ থেকে ১৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। 

এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের মাঝি রুবেল হোসেন বলেন, “আমরা ২৯ অক্টোবর সাগরে যাই। বিকেলে লম্বা জাল (ইলিশ জাল) ফেলার পর রাত আটটার দিকে জালের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। রাত আটটা থেকে জাল টানা শুরু করে পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জাল ট্রলারে উঠানো শেষ হয়।”

সাইফ ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম জানান, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছিল। ইলিশ মৌসুমে কাঙ্খিত মাছ ধরা না পড়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। সাগরে অবৈধ ট্রলিং বোট বন্ধ করা হলে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে। 

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, “মাছগুলো আমার আড়তে বিক্রি হয়েছে। ইলিশের প্রকারভেদ ২৭ হাজার, ২২ হাজার, ১২ হাজার টাকায় মণ দরে সব মিলিয়ে ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় এই মাছ বিক্রি হয়।” 

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে গিয়েই মাছ পেয়েছে- এটা খুশির খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। হঠাৎ এক ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ পাওয়ায় আমরাও খুশি।”

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “মা ইলিশ সংরক্ষণের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।”

তিনি বলেন, “জেলেরা সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানলে এবং অবৈধ জাল বন্ধ তাদের জেলেদের সুদিন ফিরবে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ