চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে নাম লেখায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (০৩ জানুয়ারি, ২০২৫) প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় চিটাগং-ফরচুন বরিশাল। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করে চিটাগং। তাড়া করতে নেমে ১৭.
তাওহীদ হৃদয় ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৫৬ বলে এই রান করেন হৃদয়। চলমান বিপিএলে এটি তার প্রথম ফিফটি। তার সঙ্গে মালান ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। তামিম ইকবাল ২৯ রান করে আউট হলে ভাঙে ৫৫ রানের জুটি। খালেদ আহমেদ ১ উইকেট নেন।
আরো পড়ুন:
সাধারণ ভাবনায় অসাধারণ নাসুম
ধাক্কা সামলে শামীম ঝড়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল চিটাগং
এর আগে খাজা নাফের চারে শুরু হয় চিটাগং কিংসের ইনিংস। পরের বলে আউট হয়ে ধাক্কা খায় বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এরপর ৩৪ রান না হতেই আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে। এরপর হাল ধরেন শামীম পাটোয়ারি। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পারে দলটি।
শামীম সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন। ৯টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে ৪৭ বলে এই রান করেন তিনি। ফিফটির দেখা পান ২৯ বলে। পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে শামীমের ৭৭ রানের জুটি মূলত চিটাগংয়ের চেহারা বদলে দেয়। ইমন ৩৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হন।
ইমন ছাড়া শুরুর পাঁচ ব্যাটারের চারজনই আউট হন দুই অঙ্কের ঘর ছোয়ার আগে। আর শেষের ৬ ব্যাটারের মধ্যে শামীমই একমাত্র দুই অঙ্কের ঘর পার হন। ১৯তম ওভারে ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ আলী। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই পেসার। এ ছাড়া কাইল মায়ার্স নেন ২ উইকেট।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।