বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক নারীর শরীরে ইট বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের জয়পুর এলাকার একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের নাম সারমিন বেগম (৩১)। তিনি নড়াইল জেলা সদরের আলাদাদপুর এলাকার মৃত করিম মোল্লার মেয়ে। মরদেহের শরীরে জামা-পায়জামা, লাল ওড়না, বোরকা, মোজা এবং কাঁধে একটি সাইড ব্যাগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানায়, সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের পরিবারের লোকজন পুকুরে থালা-বাসন ধোয়ার সময় ভাসমান অবস্থায় দুটি পা দেখতে পান। এরপর তারা পুলিশকে খবর দেন।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবীর জানান, নিহত নারীর শরীরে ইট বাঁধা ছিল এবং গলায় কালো রশি প্যাঁচানো ছিল। মরদেহ উদ্ধারের সময় পুকুরপাড় থেকে একটি জুতা পাওয়া গেছে। পুলিশ হত্যার কারণ ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুই দিন আগে তাকে হত্যা করে পুকুরে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে।

নিহতের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ