লিফলেট বিতরণ করায় আ.লীগ নেতাকে বেঁধে পুলিশে সোপর্দ
Published: 4th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরণসহ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে বেঁধে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মঙ্গলবার নান্দাইল উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ নেতার নাম ফজলুল হক সরকার (৫৫)। তিনি উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহের নান্দাইল সদর বাজার থেকে তাকে ধরে একটি বৈদ্যুতিক পিলারে বেঁধে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে নিয়ে আসে। সোমবার রাতে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের আবালধনী বাজারে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে ফজলুল হক সরকার লিফলেট বিতরণ করেছিলেন বলে জানায় স্থানীয়রা।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি ফরিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জনতা আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আটক আওয় ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্ক: নোটিশের জবাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সেই চিকিৎসক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়ার পর তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে নোটিশের জবাব দেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেলা দুইটার দিকে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শোকজের চিঠি হাতে পেয়ে আজ বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে জমা দিয়েছি। ডিজি বয়স্ক মানুষ, আমারও বেয়াদবি হয়েছে। শোকজের জবাবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে নিঃশর্ত ক্ষমতা চেয়েছি।’
গতকাল শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসেন স্বাস্থ্যের ডিজি আবু জাফর। সেমিনারে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের ইনচার্জ হিসেবে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ধনদেব চন্দ্র বর্মণ। চলতি বছরের জুলাই মাসে আবাসিক সার্জন থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান তিনি। গতকালের ঘটনায় তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘ডিজির কাছ থেকে গুরুজনের মতো ব্যবহার আশা করেছিলাম। কিন্তু তিনি এসে কী কী সমস্যা, সেগুলো জানতে না চেয়ে ভেতরে কেন টেবিল, এ নিয়ে কথা বলেন।’ তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধুরা সব অধ্যাপক হয়ে গেছে। আমার চাকরিজীবন শেষ; কিন্তু আমার হয়নি বিভিন্ন কারণে। এ জন্য আমার চাকরি থেকে সাসপেনশন হলে আমি খুশি হই।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি, শোকজ১৭ ঘণ্টা আগেএ ঘটনায় গতকাল বিকেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অসদাচরণ করায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে শোকজ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌসের দেওয়া নোটিশের জবাব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে বলা হয়। এরপর আজ তিনি শোকজের জবাব দেন।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইনউদ্দিন খান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ওই চিকিৎসককে শোকজ করেছি, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। তাঁর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’২২ ঘণ্টা আগে