ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরণসহ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে বেঁধে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মঙ্গলবার নান্দাইল উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ নেতার নাম ফজলুল হক সরকার (৫৫)। তিনি উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

মঙ্গলবার ময়মনসিংহের নান্দাইল সদর বাজার থেকে তাকে ধরে একটি বৈদ্যুতিক পিলারে বেঁধে রাখে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে নিয়ে আসে। সোমবার রাতে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের আবালধনী বাজারে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে ফজলুল হক সরকার লিফলেট বিতরণ করেছিলেন বলে জানায় স্থানীয়রা। 

নান্দাইল মডেল থানার ওসি ফরিদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জনতা আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আটক আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ময়মনসিংহে ফের রেল অবরোধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ‘যৌক্তিক সময়ের’ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রেখেছেন তাঁরা।

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও আন্দোলনকারীরা ট্রেন আটকে রেখেছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে আবদুল জব্বার মোড়ে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এরপর তাঁরা আবদুল জব্বার মোড়সংলগ্ন রেললাইনে অবস্থান নেন। পরে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী তিস্তা এক্সপ্রেস আটকে দেন। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহগামী রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনকারী মেহরাজ হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম প্রস্তুতির সময় দিতে হবে, যাতে তাঁরা ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারেন। আমাদের এই যৌক্তিক দাবি পিএসসিকে মানতেই হবে। যে পর্যন্ত পিএসসি এই সময় পরিবর্তন না করছে, সেই পর্যন্ত অবরোধ চলবে। পিএসসি যদি আমাদের সঙ্গে স্বৈরাচারী আচরণ চলমান রাখে, তাহলে আমাদের অবরোধও চলমান থাকবে।’

ট্রেন অবরোধ করে রাখায় দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা। আবদুল কাদির নামে তিস্তা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তবে জনদুর্ভোগ যাতে না হয় সেদিকেও তাঁদের নজর দিতে হবে। তাঁদের যা দাবি-দাওয়া আছে তা প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। এতক্ষণ ধরে ট্রেনে আটকে আছি। এই পরিস্থিতি প্রচণ্ড বিরক্তিকর।’

ট্রেনের চ-বগিতে বসেছিলেন ষাটোর্ধ্ব এক দম্পতি। তাঁরা বলেন, ‘সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বসে আছি। ট্রেন রাস্তা থেকে অনেক উঁচুতে হওয়ার একটু নেমে কোথাও বসতে বা হাঁটাচলাও করতে পারছি না। আমরা ডায়াবেটিসের রোগী। এতক্ষণ ধরে বসে থেকে পা ফুলে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা সময় থাকতে পড়াশোনা করে না, পরে এসে আন্দোলন করে। এসব আর সহ্য হচ্ছে না।’

অবরোধের একপর্যায়ে ট্রেন থেকে কিছু যাত্রী নেমে এসে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। অবরোধের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম ও সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহকে ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁরা অবরোধের কারণে জনদুর্ভোগের বিষয়টি উল্লেখ করে অবরোধ ছেড়ে দিতে বলেন। তবে আন্দোলনকারীরা তাঁদের কথা শোনেননি।

আরও পড়ুনবিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাজশাহী ও ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ১৮ ঘণ্টা আগে

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ৪৭তম বিসিএসের সময়সূচি নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে সেটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ময়মনসিংহের স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ ধৈর্যসহকারে ছাত্রদের বোঝানোর চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহের স্থানীয় প্রশাসন বিসিএস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবে। তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রদের জনভোগান্তি বাড়ানোর পথ থেকে সরে আসতে বলছি। আমি তাদের বলব, তারা যেন এই মুহূর্তে ট্রেন ছেড়ে দেয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সম–অধিকারের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সমঝোতা করতে চাইলে স্বাগত জানাই: মামুনুল হক
  • নারীর ভোট মানেই পরিবর্তনের ঘোষণা: এমরান সালেহ
  • ময়মনসিংহে ক্লিনিকে অভিযানে কারাদণ্ড-জরিমানা 
  • সৌরভ শুরু করেছিলেন দুই হাজার টাকায়, এখন মাসে লাখ টাকার পণ্য বেচেন
  • সাড়ে ৮ ঘন্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ থেকে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা
  • ময়মনসিংহে রেললাইন অবরোধ অব্যাহত, দুর্ভোগ চরমে
  • বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ময়মনসিংহে ফের রেল অবরোধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ