কোরআন ও সুন্নাহর আইন চালু করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি: জামায়াত নেতা মুজিবুর
Published: 4th, December 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা ৫৪ বছরে শান্তি পাই নাই। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ইসলাম মানে এক হলো শান্তি, আরেক হলো পরিপূর্ণভাবে আনুগত্য করা। মানুষ যখন আল্লাহর আইনের পরিপূর্ণভাবে আনুগত্য করবে, তখন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আল্লাহর কোরআন, রাসুলের সুন্নাহ ভুল বুঝলে হবে না। কোরআন ও সুন্নাহর আইন বাংলাদেশে কায়েম হবে ইনশা আল্লাহ। এই আইন চালু করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহে আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, জুলাই গণহত্যার বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে নগরের সার্কিট হাউস ময়দানে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলা থেকে নেতা-কর্মী ও সংসদ সদস্য প্রার্থীরা মিছিল নিয়ে সার্কিট হাউস ময়দানে জড়ো হন। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া সমাবেশে দুইটা থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো.
‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’ স্লোগানের কথা উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান সমাবেশে বলেন, ‘এই যুদ্ধে শরিক হতে হবে আপনাকে-আমাকে। সামনে লড়াই হবে আদর্শিক লড়াই। এ দেশে মানুষের তৈরি মতবাদ বা জাতীয়তাবাদ চালু হবে না কোরআন-সুন্নাহর আইন চালু হবে—আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তার পরীক্ষা হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।’
ইসলামবিরোধী কোনো আইন এখানে চলতে পারবে না উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘যদি আপনারা একমত হয়ে থাকেন তাহলে বলতে চাই, এই হাত দুটি দিয়েছে আল্লাহ। এই হাত দুটি যদি আল্লাহর হয়, তাহলে এই হাত দিয়ে সিল মারব মানুষের আইনের পক্ষে, না আল্লাহর আইনের পক্ষে? যত দিন আমরা বেঁচে থাকব, আল্লাহর আইনের সাথেই থাকব ইনশা আল্লাহ।’
সার্কিট হাউস ময়দানে বিভাগীয় সমাবেশে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হলো জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আখনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের নায়েবে আমির মহিউদ্দিন রব্বানী, খেলাফতে মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির মুখপাত্র রাশেদ খান প্রধান প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম জ ব র রহম ন স ব ধ নত র আইন র আল ল হ ইসল ম ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
দিনভর আনন্দ উৎসবে ‘সোনার মানুষ’ হওয়ার প্রত্যয়
জেরিন, নিশাত ও নুসরাত তিনজনই ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতির পড়াশোনার চাপে ফলাফলের পর তিন বান্ধবীর আর দেখা হয়নি। আজ বুধবার কৃতী শিক্ষার্থী উৎসবে দেখা হওয়ায় তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
নিশাত তাসনিম বলেন, ‘পড়াশোনার চাপে অনেক দিন বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আজ দেখা হয়ে খুব ভালো লেগেছে। শুধু আড্ডা নয়, সবার ভর্তি প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
আজ ময়মনসিংহে ‘প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি–প্রথম আলো জিপিএ–৫ কৃতী শিক্ষার্থী উৎসব ২০২৫’–এ যোগ দিয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন কৃতী শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম। ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত উৎসবে নিবন্ধন করেন প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী। উৎসবে সহযোগিতা করে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা।
‘স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে, একসাথে’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবারই প্রথম এই উৎসবের আয়োজন করেছে প্রথম আলো। চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর পর আজ ময়মনসিংহে হলো ষষ্ঠ এ আয়োজন। অন্য বিভাগগুলোয়ও এমন আয়োজন হবে। উৎসবের পৃষ্ঠপোষক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি।
সকাল থেকেই কৃতী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে টাউন হল মাঠ। নির্ধারিত বুথ থেকে ক্রেস্ট, স্ন্যাকস ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। জীবনের লক্ষ্য লেখার বোর্ডে অনেকে লিখছিলেন নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। এসব লেখায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বৃত্তি নিয়ে বিদেশ গমন কিংবা ভালো মানুষ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন অতিথিরা। বুধবার ময়মনসিংহ টাউন হল মিলনায়তনে