বগুড়ায় শত বছরের ‘বকচর’ মাছের মেলা
Published: 5th, February 2025 GMT
প্রতিবছর মাঘ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের বগুড়ার ধুনটে শত বছরের ‘বকচর’ মাছের মেলা বসে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আজ বুধবার উপজেলার হেউডনগর-কোদলাপাড়া এলাকায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলা উপলক্ষে সপ্তাহখানেক আগেই জামাতা ও স্বজনদের দাওয়াত করেন স্থানীয়রা।
এই মেলার প্রধান আকর্ষণ মাছ। তবে এর সঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে দূরদূরান্ত থেকে আসেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। সব মিলিয়ে হাজারো মানুষের প্রাণের মেলবন্ধন হয়ে ওঠে ঐতিহ্যবাহী ‘বকচর’ মেলা। দিনব্যাপী মেলা হলেও রেশ থাকে সপ্তাহখানেক।
আজ সকালে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই মেলায় মানুষের ভিড়। মেলার বেশির ভাগ জায়গা মাছ ব্যবসায়ীদের দখলে। এর মধ্যে আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। এ ছাড়া পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন আরও নানা গ্রামের ব্যবসায়ীরা। মাছ, মিষ্টান্ন, খেলনা, চুড়ি, ফিতা, আলতা থেকে ঘর-গৃহস্থালির বিচিত্র জিনিসপত্রের বিক্রিও হচ্ছে দেদারসে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে নাগরদোলা।
মেলায় নদীর বোয়াল মাছ এনেছেন ব্যবসায়ী আবদুল জলিল। সেই বোয়াল মাছ ঘিরে ক্রেতারা ভিড় করছেন। মাছটি কেনার জন্য অনেকেই দরদাম করছেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত মাছটি বেচাকেনা হয়নি।
বকচরের মেলায় এসেছেন ওষুধ ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব। একটি বড় মাছ কেনার জন্য দরদাম করছেন তিনি। মেলায় মাছে দামে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। একদিনে মেলা হলেও আশপাশের গ্রামে রেশ থাকে প্রায় সপ্তাহজুড়েই।
‘বকচর’ মাছের মেলায় উঠেছে বড় বড় বোয়াল মাছ। ক্রেতারা মাছ দেখতে ও কিনতে ভিড় জমান। আজ বুধবার সকালে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।