রুশোর রেকর্ড ভাঙা হলো না, নাঈম কি পারবেন শীর্ষে থেকে শেষ করতে
Published: 6th, February 2025 GMT
পারলেন না নাঈম। মোহাম্মদ নাঈম পারলেন রাইলি রুশোর রেকর্ড ভাঙতে। বিপিএলের এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ভাঙতে ৬৭ রান দরকার ছিল খুলনা টাইগার্সের ব্যাটসম্যানের। মিরপুরে কাল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ১৯ রান করে আউট হয়েছেন খুলনা ওপেনার। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে তাঁর দল শেষ বলে হেরে গিয়ে বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। খুলনার শিরোপা-স্বপ্নের মতো নাঈমের রেকর্ড গড়ার স্বপ্নও তাতে উধাও হয়ে গেছে।
তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাঈম শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবেই সম্ভবত শেষ করতে যাচ্ছেন এবারের বিপিএল। ৫১১ রান নিয়ে এবারের বিপিএল শেষ করেছেন নাঈম। রাইলি রুশো (২০১৮-১৯ মৌসুমে ৫৫৮) ও নাজমুল হোসেনের (২০২২-২৩ মৌসুমে ৫১৬) পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক বিপিএলে ৫০০ রান করা নাঈমের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঝরে পড়েছেন টুর্নামেন্ট থেকে।
ফাইনালে আগে শীর্ষ পাঁচে থাকাদের প্রথম চারজনের দলই বিদায় নিয়েছে। নাঈমের খুলনা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত টিকে থাকলেও অন্য তানজিদ হাসান (৪৮৫), এনামুল হক (৩৯২) ও জাকির হাসানের (৩৮৯) দল বিদায় নিয়েছে প্রথম পর্ব থেকেই।
ফাইনাল ওঠাদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচে আছেন শুধু চিটাগং কিংসের ইংলিশ ক্রিকেটার গ্রাহাম ক্লার্ক। তবে নাঈমকে পেছনে ফেলতে ফাইনালে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১২৫ রান করতে হবে ক্লার্ককে।
ক্লার্ক ছাড়া ফাইনালের দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষ দশে আছেন বরিশালের তামিম ইকবাল (৩৫৯) ও চিটাগংয়ের শামীম হোসেন (৩৫০)।
ফরচুন বরিশাল
৩৫৯, তামিম ইকবাল
৩১৫, ডেভিড ম্যালান
২৮০, তাওহিদ হৃদয়
চিটাগং কিংস
৩৮৭, গ্রাহাম ক্লার্ক
৩৫০, শামীম হোসেন
২৮৫, উসমান খান
খুলনা টাইগার্স
৫১১, মোহাম্মদ নাঈম
৩৫৫, মেহেদী হাসান মিরাজ
৩১৬, মাহিদুল ইসলাম
রংপুর রাইডার্স
৩০৬, সাইফ হাসান
৩০৫, ইফতিখার আহমেদ
২৯৮, খুশদিল শাহ
দুর্বার রাজশাহী
৩৯২, এনামুল হক
৩৩৬, ইয়াসির আলী
২৯৩, রায়ান বার্ল
ঢাকা ক্যাপিটালস
৪৮৫, তানজিদ হাসান
৩৬৮, লিটন দাস
২১২, থিসারা পেরেরা
সিলেট স্ট্রাইকার্স
৩৮৯, জাকির হাসান
২৮৬, রনি তালুকদার
২৪১, জাকের আলী
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন র র কর ড ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
কেন ইরানি হামলার লক্ষ্যবস্তু হাইফা
ইরান-ইসরায়েলের হামলা পাল্টা-হামলায় সাম্প্রতিক সময়ে তেল আবিবের পরেই ইসরায়েলের যে শহরটির নাম সবচেয়ে বেশি এসেছে, সেটি দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ‘হাইফা’। শহরটি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, হামলার পর শহরটিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দাবি করা হয়েছে, শনিবার হাইফা ও তেল আবিব লক্ষ্য করে ১০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান। যার মধ্যে অনেকগুলোই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলেও দাবি করেছে ইরান। চ্যানেল টুয়েলভ, টাইমস অব ইসরায়েলসহ ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো হাইফায় বিস্ফোরণ ও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের খবর দিয়েছে।
ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম উত্তরাঞ্চলের উপকূলীয় হাইফাকে কেন লক্ষ্যবস্তু করছে ইরান– এই প্রশ্নের উত্তরে ওয়াশিংটন পোস্টসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটির অবস্থান এই শহরে। এ ছাড়া ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারসহ আরও কয়েকটি তেল শোধনাগার ও বহু গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক কারখানা হাইফায় অবস্থিত।
হাইফা ইসরায়েলের প্রধান গভীর সমুদ্রবন্দর। কয়েক শতাব্দী ধরেই অঞ্চলটির অন্যতম প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হাইফাকে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামুদ্রিক বাণিজ্যের একটি বড় অংশ এখান থেকে পরিচালিত হয়। এমনকি দেশটির মোট পণ্য পরিবহনের প্রায় অর্ধেকই হাইফা বন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয় বলে জানিয়েছে তারা।
হাইফায় অবস্থিত নৌঘাঁটি, তেল শোধনাগার ও রাসায়নিক কারখানাগুলো তেল আবিবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। অঞ্চলটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে হাইফায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম মোতায়েনসহ নানা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল। হাইফায় গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস অবকাঠামো থাকায় ইরানি হামলা প্রত্যাশিতই ছিল বলে উল্লেখ করেছে আলজাজিরা।
আলজাজিরা জানিয়েছে, হাইফায় ইরানের হামলা ইঙ্গিত দেয়, তেহরান অঙ্গীকার অনুযায়ী পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এর আগে তেহরান বলেছিল, ইসরায়েল ইরানের বেসামরিক অবকাঠামো বা জ্বালানি স্থাপনায় হামলা চালালে তারাও একই রকম জবাব দেবে।