বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় মানব পাচারে জড়িত অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি জানিয়েছে, ওই নারী মানব পাচার চক্রের সদস্য। ওই চক্র ১০ বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে এক সুলতানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বুধবার রাতে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে ফাবিহা জেরিন নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তামান্না ‘ড্রিম হোম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানির অংশীদার। তিনি একটি মানব পাচার চক্রেরও সদস্য। চক্রটি রাশিয়ায় মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতনে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ জনকে পাচার করেছে। চক্রটি প্রথমে ওই ১০ জনকে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে পাঠায়। সেখানে তাঁদের ওমরাহ করানোর পর রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে এক সুলতানের কাছে বিক্রি করে দেয়। সুলতান তাঁদের দাস হিসেবে রাশিয়ার সৈনিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। সেখানে তাঁদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না দিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাধ্য করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুদ্ধে নাটোরের সিংড়া থানার হুমায়ুন কবির নামের একজন নিহত এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের আমিনুল নামের আরেকজন গুরুতর আহত হন। পাচার হওয়া ১০ জনের মধ্যে নরসিংদীর পলাশ থানার বাসিন্দা আকরাম হোসেন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যান। পরে নিজ ব্যবস্থাপনায় গত ২৬ জানুয়ারি দেশে ফিরে অন্যান্য ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। গত মঙ্গলবার ‘যুদ্ধাহত’ আমিনুলের স্ত্রী ঝুমু আক্তার রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তামান্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি জানতে পেরেছে, তামান্না নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। সাধারণ মানুষকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রেরণা জুগিয়েছেন তামান্নার ভাই তুহিন, যিনি বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।

সিআইডি জানায়, পাচার হওয়া ১০ জনের আরেকটি দল বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছে। যুদ্ধ করতে বাধ্য করা হবে জেনে তাঁরা রাশিয়ায় যেতে অস্বীকার করেছেন। এর ফলে তাঁদের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়ায় সৌদি আরবে থাকা ১০ জন কোনো কাজ করতে পারছেন না এবং দেশেও ফিরতে পারছে না। সিআইডি তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১০ জন স আইড

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএইচএস মোটরস দেশে আনল চীনের ‘জিএসি’ ব্র্যান্ডের গাড়ি

ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড তার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করেছে আরেকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড চীনের ‘জিএসি’। জিএসি চীনের পঞ্চম বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা। নিজস্ব গাড়ির পাশাপাশি জিএসি চীনে হোন্ডা এবং টয়োটা গাড়ির যৌথ উদ্যোগ অংশীদার।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ঢাকা মোটর শোতে এ খ্যাতনামা ব্র্যান্ড উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশে জিএসির যে মডেলগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে, সেগুলো হলো— কমপ্যাক্ট এসইউভি জিএসি EMKOO, ছোট ও স্পোর্টি এসইউভি জিএসি EMZOOM এবং বিলাসবহুল এমপিভি জিএসি E9।

বাংলাদেশের বাজারে জিএসি উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের অটোমোবাইল শিল্পকে আরো শক্তিশালী করল ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভবিষ্যতে ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড জিএসির ইভি মডেল যুক্ত করে তাদের মডেল লাইনআপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, ডিএইচএস খুব শিগগিরই দেশে জিএসি গাড়ির অ্যাসেম্বলি শুরু করার পরিকল্পনা করছে।

অনুষ্ঠানে ডিএইচএস মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান জামান খান, জেনারেল ম্যানেজার আরমান রশীদ ও ফারহান সামাদ, জিএসির কান্ট্রি ম্যানেজার ড্যানিয়েল ঝাউ, রেমন ওয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ