রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির ভাঙা কংক্রিটের স্ল্যাব থেকে করাত দিয়ে রড কেটে নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আজ শুক্রবার  সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনি ৬ কেজি রড কেটেছেন।

এত রড কী করবেন জানতে চাইলে বললেন, বাজারে বিক্রি করবেন। সেই টাকা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো কিছু খাবেন। কী করেন জানতে চাইলে বলেন, তিনি দিনমজুর।

বাড়িটির পেছনের ছয়তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে লোহালক্কড় খুঁজে বের করছেন  এক নারী। সেসব লোহালক্কড় তিনি সঙ্গে আনা ব্যাগের ভেতরে ঢোকান। কী করবেন জানতে চাইলে বলেন, এসব লোহালক্কড় তিনি ভাঙারি দোকানে বিক্রি করে দেবেন।  

৩২ নম্বরের বাড়িটির ধ্বংসস্তূপ থেকে  অনেকেই রড, লোহালক্কড় ও ইট নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নিম্নবিত্তের।

আরও পড়ুনধানমন্ডিতে আজ দুপুর পর্যন্ত কী কী হলো০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আজ  সকাল থেকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙার কাজ দেখা যায়নি। গত বুধবার রাত ৮ টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র), ক্রেন ও বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনখুলনায় ‘শেখ বাড়ি’ দিয়ে ঢাকার বাইরে ভাঙচুর শুরু, আর কোথায় কী হলো২০ ঘণ্টা আগে

সকালে ভাঙা বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড়। তাঁদের অনেকেই ভাঙা বাড়ির ভেতরে ও আশপাশে ঘুরে দেখছেন। সেলফি তুলছেন। ৩২ নম্বর সড়ক দিয়ে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই গাড়ির গতি কমিয়ে জানালা দিয়ে বাড়িটি দেখছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সেখানে মানুষের ভিড় বাড়ছে।

কয়েকজনকে হাতুড়ি দিয়ে কংক্রিটের বড় স্ল্যাব ভেঙে রড বের করে আনতে দেখা গেছে। একদল মানুষ করাত দিয়ে সেই রড কাটছেন। আবার তাঁরা সেই রড নিয়ে যাচ্ছেন। কাউকে বাড়িটির ইট নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।

ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে লোহালক্কড় বের করছেন এক নারী। আজ শুক্রবার সকালে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ