ধানমন্ডি ৩২: কেউ কাটছেন রড, কেউ নিচ্ছেন লোহালক্কড়
Published: 7th, February 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির ভাঙা কংক্রিটের স্ল্যাব থেকে করাত দিয়ে রড কেটে নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনি ৬ কেজি রড কেটেছেন।
এত রড কী করবেন জানতে চাইলে বললেন, বাজারে বিক্রি করবেন। সেই টাকা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো কিছু খাবেন। কী করেন জানতে চাইলে বলেন, তিনি দিনমজুর।
বাড়িটির পেছনের ছয়তলা ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে লোহালক্কড় খুঁজে বের করছেন এক নারী। সেসব লোহালক্কড় তিনি সঙ্গে আনা ব্যাগের ভেতরে ঢোকান। কী করবেন জানতে চাইলে বলেন, এসব লোহালক্কড় তিনি ভাঙারি দোকানে বিক্রি করে দেবেন।
৩২ নম্বরের বাড়িটির ধ্বংসস্তূপ থেকে অনেকেই রড, লোহালক্কড় ও ইট নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নিম্নবিত্তের।
আরও পড়ুনধানমন্ডিতে আজ দুপুর পর্যন্ত কী কী হলো০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আজ সকাল থেকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভাঙার কাজ দেখা যায়নি। গত বুধবার রাত ৮ টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র), ক্রেন ও বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনখুলনায় ‘শেখ বাড়ি’ দিয়ে ঢাকার বাইরে ভাঙচুর শুরু, আর কোথায় কী হলো২০ ঘণ্টা আগেসকালে ভাঙা বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড়। তাঁদের অনেকেই ভাঙা বাড়ির ভেতরে ও আশপাশে ঘুরে দেখছেন। সেলফি তুলছেন। ৩২ নম্বর সড়ক দিয়ে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই গাড়ির গতি কমিয়ে জানালা দিয়ে বাড়িটি দেখছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সেখানে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
কয়েকজনকে হাতুড়ি দিয়ে কংক্রিটের বড় স্ল্যাব ভেঙে রড বের করে আনতে দেখা গেছে। একদল মানুষ করাত দিয়ে সেই রড কাটছেন। আবার তাঁরা সেই রড নিয়ে যাচ্ছেন। কাউকে বাড়িটির ইট নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।
ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে লোহালক্কড় বের করছেন এক নারী। আজ শুক্রবার সকালে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট