দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে দেশটির কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। দুই যুগেরও বেশি সময় পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরছে দলটি। নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি)। দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজ আসনেও হেরেছেন কেজরিওয়াল। গত দুই নির্বাচনে এএপির ঝোড়ো ফলাফল উল্টে ৪৮টি আসনে ফুটেছে পদ্মফুল। এএপি জয় পেয়েছে ২২টিতে। কোনো আসনে জয় পায়নি কংগ্রেস। খবর এনডিটিভির।
গতকাল শনিবার সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিজেপি বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরে বেলা আড়াইটার দিকে ৮৫ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হলে কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায় ফলাফল।
দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজ আসনে বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ ভার্মার কাছে হারেন। পরাজয় মেনে নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, ‘আজ দিল্লি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা জনগণের রায় শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছি। জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমি বিজেপিকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই। আশা করি তারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবেন।’
এদিকে দিল্লির বিধানসভায় বিজেপির বড় জয়কে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন ও সুশাসন বিজয়ী হয়েছে’। ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, দিল্লির সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন নিশ্চিত এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করতে বিজেপি চেষ্টায় কমতি রাখবে না। পাশাপাশি একটি উন্নত ভারত গঠনে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনও নিশ্চিত করবেন তারা।
এর আগে এএপি ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৬৭টি ও ২০২০ সালে ৬২টি আসনে জয় পেয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি ২০১৫ সালে মাত্র তিনটি ও ২০২০ সালে আটটি আসন জিতেছিল। ভোটের মাঠে কংগ্রেস থাকায় আম আদমি পার্টির ভোট ভাগাভাগি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ধ নসভ ভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপগঞ্জে লিফলেট বিতরণ
আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের অধিকার হনন করেছে। তাই, দেশে এক গণবিপ্লবের সৃষ্টি হয়েছে। ২৪এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ এ দেশ থেকে বিতারিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও রূপগঞ্জ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ দুলাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়নের আতলাপুর বাজার এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণকালে মোহাম্মদ দুলাল হোসেন এসব কথা বলেন।
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ, বিএনপি-যুবদলসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মোহাম্মদ দুলাল হোসেন আরও বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে এ দেশের জনগণ একদলীয় শাসন ও ফ্যাসিবাদের শিকার হয়ে জিম্মি হয়ে ছিল। মানুষের বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের গণজাগরণের মধ্য দিয়ে জনগণ আবারও তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে। এখন সময় এসেছে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার, একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানের ৩১ দফা দেশের পুনর্গঠনের পথনির্দেশনা। এই দফাগুলোতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।”
এসময় স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দও লিফলেট বিতরণে অংশগ্রহণ করেন। তারা সাধারণ মানুষকে বিএনপির পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেন যে, দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে তারা রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত এবং জনগণের পাশে থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার। একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা এবং নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করছেন তারা। এ ধরনের লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে জনগণ আরও বেশি সচেতন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
প্রসঙ্গত, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি বছরের শুরুতে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যেখানে রাষ্ট্র সংস্কার ও জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তুলে ধরা হয়।